তামিমের ব্যাটে রোমাঞ্চকর জয় কুমিল্লার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, সিলেট থেকে
কুমিল্লার জয়ের নায়ক তামিম ইকবাল

কুমিল্লার জয়ের নায়ক তামিম ইকবাল

  • Font increase
  • Font Decrease

এনামুল হককে নিয়ে তামিম ইকবাল যেভাবে শুরুটা করেছিলেন, মনে হচ্ছিল হেসে-খেলেই জিততে যাচ্ছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। শতরানের উদ্বোধনী জুটিতে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু কে জানতো এই দুই ওপেনার বিদায় নিতেই এমন রোমাঞ্চ ছড়াবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে?

উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে সহজ ম্যাচটা কঠিন করে জিতল কুমিল্লা। শেষ মূহুর্তে থিসারা পেরেরার ছোট টর্নেডো ইনিংসে ২ বল থাকতেই হাসিমুখ তামিমদের। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুক্রবারের ম্যাচে ৩ উইকেটে খুলনা টাইটানসে হারাল কুমিল্লা।

ওপেনার তামিমের ব্যাটে ৪২ বলে ৭৩ রান। এনামুলের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ১১৫। সেই ম্যাচটা জিততেও বেগ পেতে হল কুমিল্লার। ছুটির দিনে সিলেটে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জুনায়েদ সিদ্দিকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে খুলনা করে ২০ ওভারে ১৮১ রান। ১৯.৪ ওভারে সেই রান টপকে যায় ইমরুল কায়েসের দল।

আগের দুই ইনিংসেই ব্যর্থ তামিম। ছিলেন হ্যাটট্রিক শূন্যর শঙ্কায়। তবে এবার সেই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে লাসিথ মালিঙ্গাকে প্রথম ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শুরু। তারপর সেই তামিমেরই দেখা মিলেছে। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এই বিপিএল মৌসুমের প্রথম পঞ্চাশ করতে খেলেন মাত্র ২৮ বল। সঙ্গে সাবলীল ছিলেন এনামুলও। তাদের দাপটে ১০ ওভারেই কুমিল্লা ছাড়িয়ে যায় দলীয় শতরান।

শেষ পর্যন্ত তামিম থামেন ১২ চার ও ১ ছক্কায় ৭৩ রানে। ৩৭ বলে ৪০ রানে আউট এনামুল।

এরপর ইমরুল ১১ বলে ২৮ রান ফিরতেই পথ হারায় কুমিল্লা। পরের বলে লিয়াম ডসনকে ফেরান জুনাইদ খান। এক পর্যায়ে শেষ ৩ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮ রান। এরইমধ্যে একটি করে চার ও ছক্কায় আফ্রিদি ফিরেন ১২ রানে। মাঝে শঙ্কা জাগলেও ৭ বলে ১৮ রান তুলে জিতিয়ে ফিরেন পেরেরা।

এর আগে খুলনার ইনিংসের নায়ক হয়ে রইলেন ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিক। ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৩০ বলে চলতি টুর্নামেন্টের নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরি পেলেন এই বাঁহাতি। এবারের টুর্নামেন্টে খুলনার ‘ব্যাটসম্যান’ হিসেবে একমাত্র তাকেই যে মানানসই মনে হচ্ছে। ৬ ম্যাচে ১৯১ রান করে সর্বোচ্চ রানের ব্যাটসম্যানদের তালিকার চতুর্থস্থানে এখন জুনায়েদ। কুমিল্লার বিপক্ষে যেভাবে খেলছিলেন তাতে সেঞ্চুরিটা তার পাওনাই ছিলো। কিন্তু খামোখা একটা রান নিতে গিয়ে ৭০ রানে রান আউট হয়ে ফিরলেন। ৪১ বলে সমান ৪ বাউন্ডারি ও ছক্কার ৭০ রানের এই ইনিংসে আফ্রিদির ওপরই যেন একটু বেশি রাগ ছিলো জুনায়েদের। আফ্রিদির তৃতীয় ওভার থেকে খুলনা তুলে নেয় ১৬ রান। যার মধ্যে দুই ছক্কায় ১৫ রানই জুনায়েদের। জুনায়েদের ৭০ রানের সঙ্গে দাউদ মালানের ২৪ বলে ২৯ রান খুলনার ইনিংসকে ১৮১ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেয়।

টসে হেরে ব্যাট করতে নামা খুলনা ম্যাচের চতুর্থ বলেই উইকেট হারায়। প্রথম স্কোরিং শট খেলতে গিয়েই শূন্য রানে বিদায় নেন ওপেনার জহুরুল ইসলাম অমি। তবে সেই ধাক্কা ঠিকই সামলে নেয় খুলনা টাইটানস। ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে খুলনার ইনিংসকে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ হয় ৭১ রান।  আল আমিন তার প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের ফর্ম যেন ফিরিয়ে আনছিলেন এই ম্যাচে। শহীদ আফ্রিদি বল হাতে নিয়েই তাকে থামিয়ে দিলেন। আফ্রিদির প্রথম বলেই স্ট্যাম্প উন্মুক্ত করে শট খেলার মাসুল দিলেন আল আমিন, বোল্ড হয়ে! ১ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারিতে তার ১৯ বলে ৩২ রানের সম্ভাবনাময় ইনিংসের মৃত্যু।

এবারের বিপিএল খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মোটেও ভাল যাচ্ছে না। ৭ রানে ক্যাচ ড্রপের সুবিধাটাও কাজে লাগাতে পারলেন না। আফ্রিদির দ্বিতীয় ওভারে নিচু হয়ে আসা বলে ১৬ রানে বোল্ড হয়ে মাহমুদউল্লাহ ফিরলেন। পরের ব্যাটসম্যান দাউদ মালান প্রথম বলেই আউট ছিলেন। কিন্তু আফ্রিদির বলে উইকেটের পেছনে আনামুল হক বিজয় ক্যাচটাই যে নিতে পারলেন না! প্যাড দিয়ে ঠেকালেন সেই ক্যাচ! তবে শেষ পর্যন্ত সেই আফ্রিদির বলেই মালান আউট হলেন। এবং হ্যাঁ সেই একই কায়দায়; উইকেটের পেছনে ক্যাচটা এবার ঠিকই নিলেন আনামুল।

তবে সামনের ম্যাচের একাদশ সাজানোর আগে দলে নতুন উইকেটকিপার খোঁজ এখন করতেই পারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আনামুলের উইকেটকিপিং গ্লাভসের ওপর আর সম্ভবত আস্থা রাখতে পারছে না কুমিল্লা!

সংক্ষিপ্ত স্কোর: খুলনা টাইটানস: ১৮১/৭ (২০ ওভারে, জুনায়েদ ৭০, আল আমিন  ৩২, মাহমুদউল্লাহ ১৬, মালান ২৯, ব্রাথওয়েট ১২, আরিফুল ১৩, আফ্রিদি ৩/৩৫, ওয়াহাব রিয়াজ ২/৩৪, সাইফুদ্দিন ১/২৯)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস: ১৮৬/৭ (১৯.৪ ওভারে, তামিম ৭৩, এনামুল ৪০, ইমরুল ২৮, শামসুর ১, ডসন ৪, থিসারা ১৮*, আফ্রিদি ১২, জিয়াউর ০, সাইফ ১*; মালিঙ্গা ১/২২, মাহমুদউল্লাহ ১/৩৬, জুনাইদ ৪/৩২)।
ফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৩ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: তামিম ইকবাল

   

ছয় ম্যাচ পর জয়ে ঘুম ভালো হওয়ার স্বস্তি ডু প্লেসির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হারের বৃত্তে আটকে গিয়েছিল। গত ২৫ মার্চ পাঞ্জাব কিংসকে হারানোর পর টানা ছয় ম্যাচ হেরে বসেছিল তারা। ঠিক এক মাস পর আবারও জয়ের দেখা পেয়েছে বেঙ্গালুরু। উড়তে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে দলটি। দীর্ঘ সময় পর জয় পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি।

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীতে ডু প্লেসি কণ্ঠে ঝরেছে স্বস্তি, ‘বড় স্বস্তি পেলাম। আপনি যে অবস্থানেই থাকেন না কেন, জয় না পেলে তা আপনার মানসিকতায়, আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। আজকে (গতকাল) রাতে একটু ভালো ঘুম হবে।’

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর গল্পটা তীরে এসে তরী ডোবার। হায়দরাবাদের বিপক্ষে আগের ম্যাচটাইতেই যেমন ২৮৮ রান তাড়া করতে গিয়ে ২৫ রান দূরে থামতে হয় তাদের। কলকাতার বিপক্ষে হারটা তো আরও হৃদয়বিদারক, ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল কোহলিদের।

অবশেষে হায়দরাবাদের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু কাঙ্ক্ষিত সে জয়ের দেখা। এই জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে বলে মনে করেন ডু প্লেসি, ‘আপনি শুধু কথা দিয়ে কাউকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলে পারবে না, ভুয়া আত্মবিশ্বাসও তৈরি করা সম্ভব না। শুধুমাত্র পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।’

এই জয়ের পর অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে বেঙ্গালুরুর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১০ দলের লিগে এখনো তলানিতেই তাদের অবস্থান। নামের পাশে যদিও পয়েন্ট দুই থেকে বেড়ে চার হয়েছে।

;

টানা দুই হারে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কায় পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা দারুণ ছন্দে শুরু করেছিল পাকিস্তান প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় কিউইদের বিপক্ষে। কিন্তু পরের দুই ম্যাচ জিতে এখন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৪ রানে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্ল্যাকক্যাপসরা।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ওপেনার টিম রবিনসনের ঝোড়ো ফিফটিতে শুরুটা দুর্দান্ত হয় সফরকারীদের। ৩৬ বলে ৫১ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন তিনে নামা ডিন ফক্সক্রফট। তাতে ২০ ওভারে কিউইদের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৭৮।

৩ ওভার বল করে পাকিস্তানের পক্ষে ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি।

জবাব দিতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা হয় নড়বড়ে। দ্বিতীয় ওভারে স্রেফ ৫ রানে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম। সাইম আইয়ুব, উসমান খান, ইফিতিখার আহমেদরা সেট হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দেন। পাকিস্তানের আশার ভেলা ভাসিয়ে রাখেন চারে নামা ফখর জামান। ৪৫ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৬১ রান করেন এই ব্যাটার।

শেষদিকে ইমাদ ওয়াসিম ১১ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে পাকিস্তানকে জয়ের হাতছোঁয়া দূরত্বে নিয়ে গেলেও শেষ ধাপ পার করাতে ব্যর্থ হন। লক্ষ্য থেকে চার রান দূরেই থামতে হয় পাকিস্তানকে। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৪ রান তুলতে সমর্থ হয় তারা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সামনে যেখানে থাকছে সিরিজ জয়ের সুযোগ, পাকিস্তানের জন্য সেটা সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ।

;

ডিপিএলে বিতর্কিত আউট নিয়ে মুশফিকের ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ম্যাচ শেষে প্রাইম ব্যাংকের ক্রিকেটাররা মোহামেডানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতেই আসেননি। তামিম মাঠে ঢুকলেও সেটা ছিল আম্পায়ারদের কারণ জানাতে। তিনিও শুধুমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেছেন। মূলত মুশফিকুর রহিমের একটা ক্যাচ ধরাকে কেন্দ্র করেই এমনটা। যার কারণে খেলাও বন্ধ ছিলো ১৬ মিনিট। তামিম তখন আম্পায়াদের ভিডিওটাও দেখিয়েছিলেন যে সেটা ক্যাচ নয়, ছক্কা ছিলো। আসলেও তাই। ক্যাচ ধরার পর ফিল্ডার আবু হায়দার রনির পা স্পর্শ করেছিলো বাউন্ডারি-লাইন।

এবার সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মুশফিকুর রহিমের ফেসবুক পোস্ট। ক্যাচ ধরার সময় রনির পা বাউন্ডারির দড়ি স্পর্শ করেছে, এমন ছবি আপলোড দিয়ে মুশফিক লিখেন, 'মাশাআল্লাহ।' মূহূর্তেই যা হয়ে যায় ভাইরাল। অনেকেই বাহবা দিচ্ছেন এমন প্রতিবাদের। আবার অনেকেই প্রশ্নও তুলছেন মুশফিকের পেশাদারিত্ব নিয়ে।

মুশফিকের সেই পোষ্টে দুঃখ পোষণ করে কমেন্ট করেছেন প্রাইম ব্যাংকের আরেক ক্রিকেটার রুবেল হোসেন। ক্রিকেটার ছাপিয়ে এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন চিত্রনায়ক আরেফিন শুভ।

ডিপিএলে আম্পায়ারিং বিতর্ক এই আসরে এবারই প্রথম না। প্রাইমের বিপক্ষে আবাহনীর নাঈম শেখের নিশ্চিত আউট না দেওয়ায় প্রতিবাদ করেছিলেন তামিম। সাকিবের স্টাম্পে লাথি কিংবা স্টাম্প উপড়ে ফেলা তো উদাহরণ হয়ে আছেই।

;

শেখ রাসেল বীচ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন সিলেট ও চট্টগ্রাম



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের ডিভাইন ইকো রিসোর্ট পয়েন্টে আয়োজিত হয়েছে ষষ্ঠ শেখ রাসেল বীচ ফুটবল টুর্নামেন্টের বালক ও বালিকা অনূর্ধ্ব-১৫। তিন দিন ব্যাপী হওয়া এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল ছিল শুক্রবার। যেখানে বালক বিভাগে চট্টগ্রাম বিভাগকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেট বিভাগ। অন্যদিকে বালিকা বিভাগে সিলেটকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ।

বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন ক্রীড়া পরিদপ্তর কর্তৃক এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। যেখানে খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, ‘শেখ রাসেল ফুটবল বীচ টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি স্পোর্টস ট্যুরিজমকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়াও খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা ও মনোবল বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এ বীচ ফুটবল টুর্নামেন্ট।
এখান থেকে বাছাইকৃত সেরা খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আবুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক আ ন ম তরিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ক্রীড়া পরিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এবারের অনূর্ধ্ব-১৫ বীচ ফুটবল টুর্নামেন্টে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের মোট ১৬টি দল অংশ নেয়।

;