চট্টগ্রামের উইকেটে বোলারদের হোমওয়ার্ক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম থেকে
ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচ খালেদ মাহমুদ ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান

ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচ খালেদ মাহমুদ ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান

  • Font increase
  • Font Decrease

মাঠে এসেই ঢাকা ডায়নামাইটসের হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও বোলিং কোচ তালহা জুবায়ের সোজা ২২ গজের উইকেট চলে এলেন। উইকেটের চারপাশে দড়ি ঝুলিয়ে তখনো পরিচর্যায় ব্যস্ত কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু। দুজনেই তার সঙ্গে কথাবার্তা বললেন। বেশ খানিকক্ষণ সময় উইকেটের দিকে তাকিয়ে এর ‘চরিত্র’ বোঝার চেষ্টা করলেন ঢাকার দুই কোচ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চলতি বিপিএলে সব দল খেললেও এখন পর্যন্ত ঢাকা ডায়নামাইটস কোন ম্যাচ খেলেনি। সোমবার, ২৭ জানুয়ারির রাতে এখানে প্রথম ম্যাচ খেলবে ঢাকা। প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স। এই মাঠে এবারের বিপিএলে কোন ম্যাচ না খেললেও এখানকার উইকেট সম্পর্কে বেশ ভালই জানা ঢাকার টিম ম্যানেজমেন্টের। এখানে খেলা চারটি ম্যাচের পুরোটা জুড়েই ঢাকা চোখ রেখেছিলো টিভির পর্দায়। উইকেট এখানে কেমন আচরণ করবে এবং ব্যাটিং সহায়ক এই উইকেটে দলের বোলারদের কি কৌশল নিতে হবে-তা নিয়ে বেশ ভালই হোমওয়ার্ক করেছে ঢাকাও।

এই প্রসঙ্গে ঢাকার হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন-‘এই ধরনের উইকেটে সাধারনত দেখা যায় বল ব্যাটে আসছে বেশ ভালভাবে। তখন বোলারদের জন্য লাইন এবং লেন্থ বজায় রেখে বোলিং করাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়ায়। এমন উইকেটে কোন বোলার যদি এক্সপ্রেস গতিতে বল করে সেক্ষেত্রে হয়তো তার গতির জোরে পার পেয়ে যেতে পারে। কিন্তু মিডিয়াম পেস বোলার বা যাদের বোলিংয়ে বেশি পেস নেই, তেমন বোলার যদি এখানে মনে করে গায়ের শক্তিতে বল করবে, তবে সে এখানে নিশ্চিতভাবে পিটুনি খাবে। এই ধরনের উইকেটে বোলারদের জন্য আরেকটি বিষয় বেশ গুরুত্বপূর্ণ তা হলো বলে বৈচিত্র আনা। তবে আমি আবারও বলবো বোলারের লেন্থটাই এখানে তার সাফল্য-ব্যর্থতা মুলত ঠিক করে দেবে। স্পিনারদের ক্ষেত্রে একই বিষয়। ধরুণ কোন স্পিনার বেশ বৈচিত্র আনার চেষ্টা করলো, কিন্তু তার লেন্থ ঠিক রইলো না। নিশ্চিত জানবেন তার বল গ্যালারিতে আছড়ে পড়বে! এই উইকেট থেকে বোলারদের সহায়তা পাওয়ার মতো তেমনকিছু নেই।’

চট্টগ্রামের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে এখন পর্যন্ত হাতে গোনা যে কয়েকজন পেস বোলার সাফল্য পেয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। চিটাগংয়ের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জেতা ম্যাচে মাশরাফি ৩৪ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। এমন উইকেটে বোলারদের সাফল্য পেতে হলে কি করতে হবে সেই হোমওয়ার্ক সম্পর্কে মাশরাফির ব্যাখাটা এমন-‘এই উইকেটে বোলারদের জন্য কিছু নেই। ম্যাচের দ্বিতীয়ভাগে অর্থাৎ দ্বিতীয় ইনিংসে বোলাররা যেন প্রস্তুতি নিয়েই নামে যে ব্যাটসম্যানরা ব্যাট চালাবে। ম্যাচের প্রথমভাগে হয়তো বল এখানে কিছুটা গ্রিপ করবে। তবে দ্বিতীয়ভাগে উইকেট পুরোদুস্তর ব্যাটিং সহায়ক। এই উইকেটে বোলারদের সাফল্য নির্ভর করে সে কোন পরিকল্পনা নিয়ে নামছে সেটার ওপর। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া এই উইকেটে বল করা সম্ভব না। পরিকল্পনা করলেন একরকম, আর বোলিং করলেন আরেক ধরনের-তাহলে এই উইকেটে আপনার একটাই পরিচয় হবে; খরুচে বোলার। এই উইকেটে বোলারদের বাঁচতে হলে গুডলেন্থে বল রাখতে হবে। ব্যাটসম্যানদের গেঁড়ে বসার সুযোগ দেয়া যাবে না। ব্যাটসম্যানদের হিটিং জোনে বল দেয়াই যাবে না। একটু টেনে বল করতে হবে। তাই বলে শর্ট বলও দেয়া যাবে না। কারণ উইকেটের পেস ব্যবহার করে তখন ব্যাটসম্যান শর্ট বলের সুবিধাটা নিতে পারে।’

চট্টগ্রামের উইকেট ঢাকা ডায়নামাইটসের বোলার রুবেল হোসেনের জন্য খুব অপরিচিত কিছু নেই। এই মাঠে আর্ন্তজাতিক ম্যাচে বল করার বেশ ভাল অভিজ্ঞতা আছে রুবেলের। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই রুবেল জানেন এখানে সাফল্য পেতে হলে কিভাবে এগুতো হবে। সেই প্রসঙ্গে ঢাকার অনুশীলন পর্ব শুরুর আগে রবিবার দুপুরে রুবেল বলছিলেন-‘সুন্দর ব্যাটিং উইকেট। এখানে বুদ্ধি খাটিয়ে বোলিং করতে হবে। ব্যাটসম্যানদের ‘‘রিড’’ করে  বোলিং করা উচিত। সন্দেহ নেই এমন উইকেটে ব্যাটসম্যানরা সুবিধা পাবে। আগে টিম পরিকল্পনা জানতে হবে। সেই পরিকল্পনা মাথায় নিয়েই এখানে বোলিং করতে হবে। জানা কথা ব্যাটসম্যানরা এখানে শটস খেলবে। তবে বোলাররাও যাতে ব্যাটসম্যানদের নিয়ে খেলতে পারে তেমন বোলিংই করতে হবে।’

আঁটঘাঁট বেধে ব্যাটম্যানদের থামাতে বোলারদের এই হোমওয়ার্ক কাজে দিলো কিনা সেটা জানতে সোমবার রাত সাড়ে দশ’টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সেদিনের ম্যাচ শেষের সময় ওটাই!

   

সাফের আগে তাইপের বিপক্ষে খেলবেন সাবিনারা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। গত আসরে সাবিনা খাতুনের নেতৃত্ব হিমালয়ের দেশ নেপালে বিজয় নিশান ওড়ান বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার ঘরের মাঠে সে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মিশনে মাঠে নামবেন তারা। দিনক্ষণ নিশ্চিত না হলেও আগামী অক্টোবরে হতে পারে নারী সাফ। তার আগে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।

তাইপের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলার কথা নিশ্চিত করেছেন বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ, ‘জুন উইন্ডোতে আমরা চাইনিজ তাইপের সঙ্গে খেলবো। প্রথম ম্যাচ ৩১ মে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ জুন। তারা অফিশিয়ালভাবে চিঠি দিয়ে আমাদের নিশ্চিত করেছে।’ ম্যাচ দুটি বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও মেয়েদের ম্যাচ আয়োজনে চেষ্টা চলছে বলে জানান এই নারী ক্রীড়া সংগঠক, ‘জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও আমরা ম্যাচ খেলার চেষ্টা করবো।’

চাইনিজ তাইপের ম্যাচগুলো খেলে বাংলাদেশের মেয়েরা সাফের আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবেন বলে মত কিরণের, ‘চাইনিজ তাইপে শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যখন ম্যাচগুলো খেলবে তারা তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারবে। সাফের আগে এটা অনেক বেশি কাজে দেবে বলে আমি মনে করি।’

;

দিল্লিতে মার্শের বদলি আফগান অলরাউন্ডার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আইপিএল শেষ হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মিচেল মার্শের। তার বদলি হিসেবে আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবকে বেছে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।

নাইব আফগানিস্তানের অন্যতম অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। এখন পর্যন্ত ৮২ ওয়ানডে এবং ৬২ টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করারও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ৫০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যে তাকে দলে ভিড়িয়েছে দিল্লি।

গত জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেন নাইব। বেঙ্গালুরু এবং ইন্দোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচ দুটিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের দুটি ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার।

আইপিএলের চলতি আসরে শুরুটা ভালো না হলেও ধীরে ধীরে ফর্ম ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে দিল্লি। ৯ ম্যাচ থেকে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে উঠে এসেছে তারা।

;

১৬ বছর পর অনুশীলনে ফিরে রোমারিওর জোড়া গোল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৫৮ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে ফেরার ঘোষণা দেয়ার পর প্রথম অনুশীলন করলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোমারিও। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তার চেয়ে অনেক কমবয়সী খেলোয়াড়দের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনুশীলন করে জোড়া গোলও করেছেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।

বুটজোড়া তুলে রাখার পর রাজনীতিতে যোগ দেন রোমারিও। রিও ডে জেনেইরোর ক্লাব আমেরিকার সভাপতির পদও সামলান। এবার সেই ক্লাবের হয়েই ফের পেশাদার ফুটবলে মাঠে নামবেন তিনি। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য, ছেলে রোমারিনিওর সঙ্গে খেলা।

অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রোমারিও বলেন, ‘আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার ছেলের সঙ্গে একই দলে খেলা। অনেক অ্যাথলেটদেরই এমন ইচ্ছে থাকে। যেমন লেব্রন জেমস আগামী বছর এনবিএ’তে তার ছেলের সঙ্গে খেলতে চায়। রিভালদোরও এই সুযোগ হয়েছিল। আমি তেমনটা করতে চাই।’

ফুটবল পায়ে কারিকুরি দেখানোর জন্য তো জগৎজোড়া খ্যাতি ছিলই রোমারিওর। এর বাইরে ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্যও তার পরিচিত আছে। তার শব্দবাণ থেকে নিস্তার ছিল না পেলে, জিকো, মারিও জাগালোদের। তবে এবার রোমারিও নিজেকেই নিশানা বানিয়ে বললেন, ‘আমি অনেক ক্লান্ত। আমাকে উঠানোর জন্য জলদিই স্ট্রেচার লাগবে। ১৬ বছর ধরে অনুশীলন করিনি, আজ একটু দৌড়েছি।’ তবে অতটুকুর মধ্যেই নিজের জাত চিনিয়ে দুইবার পেয়েছেন জালের দেখা।

আগামী ১৮ মে মৌসুমের প্রথম লিগ ম্যাচ খেলবে রোমারিওর ক্লাব আমেরিকা। সব ম্যাচ যে তার খেলা হবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রোমারিও, ‘আমি পুরো টুর্নামেন্ট খেলব না। কিছু ম্যাচে কয়েক মিনিট খেলব।’

;

ছয় ম্যাচ পর জয়ে ঘুম ভালো হওয়ার স্বস্তি ডু প্লেসির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হারের বৃত্তে আটকে গিয়েছিল। গত ২৫ মার্চ পাঞ্জাব কিংসকে হারানোর পর টানা ছয় ম্যাচ হেরে বসেছিল তারা। ঠিক এক মাস পর আবারও জয়ের দেখা পেয়েছে বেঙ্গালুরু। উড়তে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে দলটি। দীর্ঘ সময় পর জয় পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি।

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীতে ডু প্লেসি কণ্ঠে ঝরেছে স্বস্তি, ‘বড় স্বস্তি পেলাম। আপনি যে অবস্থানেই থাকেন না কেন, জয় না পেলে তা আপনার মানসিকতায়, আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। আজকে (গতকাল) রাতে একটু ভালো ঘুম হবে।’

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর গল্পটা তীরে এসে তরী ডোবার। হায়দরাবাদের বিপক্ষে আগের ম্যাচটাইতেই যেমন ২৮৮ রান তাড়া করতে গিয়ে ২৫ রান দূরে থামতে হয় তাদের। কলকাতার বিপক্ষে হারটা তো আরও হৃদয়বিদারক, ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল কোহলিদের।

অবশেষে হায়দরাবাদের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু কাঙ্ক্ষিত সে জয়ের দেখা। এই জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে বলে মনে করেন ডু প্লেসি, ‘আপনি শুধু কথা দিয়ে কাউকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলে পারবে না, ভুয়া আত্মবিশ্বাসও তৈরি করা সম্ভব না। শুধুমাত্র পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।’

এই জয়ের পর অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে বেঙ্গালুরুর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১০ দলের লিগে এখনো তলানিতেই তাদের অবস্থান। নামের পাশে যদিও পয়েন্ট দুই থেকে বেড়ে চার হয়েছে।

;