নিউজিল্যান্ডের সমস্যার সমাধান এবং বাংলাদেশের সঙ্কটের শুরু!



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
তামিমের সঙ্গী হিসেবে লিটন দাস এখনো আস্থার প্রতীক হতে পারেননি!

তামিমের সঙ্গী হিসেবে লিটন দাস এখনো আস্থার প্রতীক হতে পারেননি!

  • Font increase
  • Font Decrease

বছরখানেক ধরে নিউজিল্যান্ডের বড় সমস্যার নাম ছিলো; ওপেনিং জুটি। জমতেই পারছিলো না কোন ম্যাচে তাদের এই জুটি। প্রায় প্রতি ম্যাচেই পাওয়ার প্লে’র শুরুতেই ওপেনিং জুটির ‘পাওয়ার কাট!’

ওয়ানডের ব্যর্থতায় শুরুর ব্যাটসম্যানদের এই জমতে না পারার কারণকেই বড় সমস্যা হিসেবে খুঁজে বের করে নিউজিল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট। বাংলাদেশের বিপক্ষে চলতি সিরিজের আগে ভারতের কাছে ১-৪ ব্যবধানে হারা ওয়ানডে সিরিজে নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটি ছিলো এমনই বেহাল; ৫, ২৩, ১০, ১৪, ১৮!

ওপেনিং জুটিতে যে সেঞ্চুরির পার্টনারশিপ হতে পারে-সেটা পেছনের এক বছরে দেখতেই পায়নি নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি আর কয়েক মাস। কিন্তু ওপেনিং জুটিতে আস্থার কোন লক্ষণই নেই! বড় বেশি দুঃশ্চিন্তায় ছিলো নিউজিল্যান্ড দলের বেহাল ওপেনিং জুটি নিয়ে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সেই সমস্যার সমাধান খুঁজে পেলো নিউজিল্যান্ড। সিরিজ জিতলো টানা দুই ম্যাচ জিতে। সেই সঙ্গে শুরুর দুই ম্যাচেই ওপেনিং জুটিতে পেলো বড় সংগ্রহ। নেপিয়ারে প্রথম ম্যাচে কিউইদের ওপেনিং জুটিতে এলো ১০৩ রান। ক্রাইষ্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ওপেনিং জুটি তুলে নিলো ৪৫ রান। দুই ম্যাচেই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের পেশি ফুলানো রান।

এই সিরিজ জয়ের মধ্যে দিয়ে দারুণভাবে ফর্মে ফিরলেন ওপেনার মার্টিন গাপটিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সিরিজে নামার আগে পেছনের ছয় ম্যাচে গাপটিলের রান গড় ছিলো ১০.৩৩!

অথচ সেই তিনিই টানা দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকালেন। দুটোতেই ম্যাচ সেরা। বিশ্বকাপে ওপেনিং জুটি নিয়ে এখন আর কোন দুঃশ্চিন্তাই নেই নিউজিল্যান্ডের। গাপটিলের সঙ্গে হেনরি নিকোলসই পারফেক্ট জুটি।

শুধু তাই নয়, ডেথ বোলিংয়ে লকি ফার্গুসনের মতো কার্যকর বোলারকেও খুঁজে পেয়েছে নিউজিল্যান্ড এই সিরিজে। শুধু ব্যাটিংয়ে নয়, বোলিংয়েও অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছে নিউজিল্যান্ড এই সিরিজে।

তবে নিউজিল্যান্ড এই সিরিজে নিজেদের অনেক সমস্যার সমাধান খুঁজে পেলে বাংলাদেশের সমস্যা আরো বাড়ছে তো বাড়ছেই! বিশ্বকাপের আগেভাগে দলের অনেক জায়গায় যেসব ফাইন টিউনের প্রয়োজন ছিলো সেটা তো হচ্ছেই না, বরং মুল সুরই যে কেটে যেতে বসেছে!

দুই ম্যাচেই ওপেনিং জুটি নামতার ভঙ্গিতে ৫ রানে বিছিন্ন হয়েছে । উভয় ম্যাচে টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানের সম্মিলিত সঞ্চয় যথাক্রমে ৪২ ও ৫২ ! ওপেনিং জুটিতে তামিম ইকবালের সঙ্গী হিসেবে লিটন দাস এখনো আস্থার প্রতীক হতে পারেননি। মিডল অর্ডারে কার কি ব্যাটিং পজিশন, সেটা এখনো সমাধাহীন। সৌম্য সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু তার ব্যাটিং আলোচনার চেয়ে সমালোচনাই বেশি শুনছে! উইকেটে সেট হয়েও একজন ব্যাটসম্যান কেন বারবার আউট হয়ে ফিরবেন?

সাম্প্রতিক সময়ে সাত নম্বর ব্যাটসম্যান নিয়ে এত বেশি বাক্য বিনিময় হয়েছে যে টপঅর্ডারের কাজ কি সেটাই যেন ভুলে বসেছে গোটা দল! সাত নম্বরে কে নামবেন, কে বেশি উপযুক্ত-এই খোঁজটাই যেন হয়ে পড়েছে একটা দলের প্রধান শিরোনাম!

আর তাই শুরুর ছয় ব্যাটসম্যানের প্রধান কাজ কি সেটাই যে ভুলে যেতে বসেছে গোটা দল। শুরুর ছয় ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে ম্যাচ জেতানোর মতো ব্যাটিং যদি না মিলে তবে সাত নম্বর ব্যাটসম্যান দলকে প্রতি ম্যাচে একাই হিমালয়ের চূড়ায় পৌছে দেবেন-এমন চিন্তাটা নেহাতই রক্ষণশীল ধাঁতের।

যা দিয়ে হয়তো কখনো সখনো আব্রু রক্ষা হবে, কিন্তু সবসময় ম্যাচ জেতা যাবে না!

নিউজিল্যান্ড সফরে ব্যাটিং নিয়ে বেশি চিন্তায় পড়ে বোলিং শক্তিতে ভারসাম্য আনার কথা যেন ভুলেই গেলো বাংলাদেশ দল। ওয়ানডে দলে পেস বোলার হিসেবে রুবেল হোসেনের কার্যকারিতা প্রমাণিত। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিং পরিকল্পনার অনেক বড় অংশ জুড়ে আছেন রুবেল হোসেন। অথচ সেই রুবেল এবারের সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে নেই! বিশ্বকাপের আগেভাগের ম্যাচ গুলোতে নিজেকে আরো টগবগে করে তুলতে নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে বোলিং করাটা রুবেলের জন্য কার্যকর হতো।

নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ প্রথম দুটো ম্যাচে যেভাবে হেরেছে তাতে শুধু নিস্প্রভ ব্যাটিং নয়, বোলিংয়ের ধারও ভীষণ ভোঁতা প্রমাণিত হয়েছে।

বিশ্বকাপের আগেভাগে কোথায় ব্যাটে-বলে, একাদশে, টিম কম্বিনেশনে সব সমস্যার সমাধান এতদিনে হয়ে যাওয়া উচিত ছিলো; তা না, উল্টো এখন সব সমস্যার শুরুই হলো যেন!

   

টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবলে (বিপিএল) আজ নামছে মোহামেডান ও বসুন্ধরা। এছাড়াও বিশ্ব ক্লাব ফুটবলে রয়েছে একাধিক ম্যাচ।


বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল

মোহামেডান-বসুন্ধরা

বিকেল ৪টা, টি স্পোর্টস

আইপিএল

কলকাতা-মুম্বাই

রাত ৮টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

বুন্দেসলিগা

কোলন-বার্লিন

সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট, সনি স্পোর্টস ২

মাইঞ্জ-ডর্টমুন্ড

রাত ১০টা ৩০ মিনিট, সনি স্পোর্টস ২

লা লিগা

মায়োর্কা-লাস পালমাস

সন্ধ্যা ৬টা, স্পোর্টস ১৮

ভিয়ারিয়াল-সেভিয়া

রাত ৮টা ১৫ মিনিট, স্পোর্টস ১৮

গ্রানাদা-রিয়াল মাদ্রিদ

রাত ১০টা ৩০ মিনিট, স্পোর্টস ১৮

বিলবাও-ওসাসুনা

রাত ১টা, স্পোর্টস ১৮

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

ফুলহাম-ম্যান সিটি

বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

টটেনহাম-বার্নলি

রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

নটিংহাম-চেলসি

রাত ১০টা ৩০ মিনিট, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

এভারটন-শেফিল্ড

রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২

;

ব্যাটিং ধসের পর জয়ে স্বস্তি বাংলাদেশের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসে শেষ ৪২ রানে ১০ উইকেট হারিয়েও দিন শেষে হাসিমুখ বাংলাদেশের। কারণ ১৪৪ রানের মামুলি লক্ষ্য পেয়েও তালগোল পাকিয়েছে জিম্বাবুয়ে। হেরে গেছে ৫ রানে। তাতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস হেরে আগে ব্যাট করতে হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। লিটন দাস ধারাবাহিক বাজে ফর্মের কারণে একাদশ থেকে ছিটকে গেছেন। তার জায়গা নেন সদ্য হাঁটুর চোট থেকে সেরে ওঠা সৌম্য সরকার।

তানজিদ তামিমের সঙ্গে সৌম্যর উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাটিংয়ে সুদিন ফেরার স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বোলারদের ছাতু বানিয়ে যে ১১ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১০০ রান জমা করেন তারা।  লুক জংওয়ের বল কাভারের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে পয়েন্টে জোনাথান ক্যাম্পবেলের ক্যাচ হন তানজিদ। ফেরার আগে ৩৭ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করেন।

একই বোলারের বল বোল্ড হয়ে ফেরা সৌম্যর রান ৩৪ বলে ৪১। বাংলাদেশ যখন বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখছে তখনই আচমকা যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। একই ওভারে দুই ওপেনারকে হারানোর পর শুরু হয় আসা যাওয়ার মিছিল।

আগের দুই ম্যাচের ম্যাচসেরা তাওহিদ হৃদয় ফেরেন ১২ রানে। ৩০০ দিন পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফেরা সাকিব করেন ১ রান। অধিনায়ক শান্তর ব্যাটে তো রানখরা চলছেই, ৭ বলে ২ রান করে সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকেও।

বিনা উইকেটে ১০১ রান করা দলটা ১৪৩ রানে যেতেই সব উইকেট হারিয়ে বসে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়ার দিনে ৩ উইকেট নেন পেসার লুক জংওয়ে।

কিন্তু ১৪৪ রানের সহজ লক্ষ্য পেয়েও জিম্বাবুয়ে চোখে সর্ষেফুল দেখেছে। কোনো রান তোলার আগেই হারিয়েছে ওপেনার ব্রায়ান বেনেটকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে। জোনাথান ক্যাম্পবেল বাদে দায়িত্ব নিয়ে খেলার যেন আগ্রহই ছিল না অন্য কোনো ব্যাটারের। শেষ পর্যন্ত দলীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান করে ক্যাম্পবেল নিজেও একাকী লড়াইয়ে ক্ষান্ত দেন। শেষদিকে অবশ্য ৮ বলে ১৯* রানের ক্যামিও ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। তবে রোমাঞ্চকর শেষ ওভারে সাকিব দুই উইকেট তুলে নিলে ১৩৮ রানে জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পান এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা সাকিব আল হাসান, তিন উইকেট ঝুলিতে পোরেন মুস্তাফিজ।

আগামী ১২ মে একই মাঠে সকাল ১০টায় পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে।

;

শেষ মুহূর্তের গোলে পয়েন্ট খোয়াল আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের শিরোপার দৌড়ে আবাহনী নেই বললেই চলে। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের পার্থক্য ১১। এছাড়া দুই নম্বর মোহামেডানও একেবারে মন্দ খেলছে না। আবাহনীর জন্য এখন তাই চ্যালেঞ্জ একটা সম্মানজনক অবস্থানে থেকে লিগ শেষ করা। কিন্তু আজ (শুক্রবার) পুলিশের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে সে লক্ষ্যে একটা হোঁচট খেলো আকাশি-হলুদরা।

অথচ গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে শুরুটা দুর্দান্ত হয় আবাহনীর। নবম মিনিটে বক্সের ডান প্রান্ত থেকে আবাহনীর এনামুল গাজীর ক্রস ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে পারেননি পুলিশের ডিফেন্ডার আবদুল্লায়েভ। বল চলে যায় বাম প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢোকা কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্টের পায়ে। নিখুঁত শটে বল জালে পাঠিয়ে আবাহনীকে এগিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড।

প্রথমার্ধের বাকি সময় আরও ভালো কিছু সুযোগ এলেও সেসব লুফে নিতে ব্যর্থ হয় আবাহনী। পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া পুলিশ দ্বিতীয়ার্ধে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপায়। তবে দুর্বল ফিনিশিংয়ে পরম আরাধ্য গোল খুঁজে পাচ্ছিল না।

শেষ পর্যন্ত ৮৭ মিনিটে আবাহনীর গোলকিপার ভুলে গোলের দেখা পেয়ে যায় পুলিশ। এম এস বাবলুর বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শটে আবাহনী গোলকিপার শহীদুল আলম সোহেলের দুই পায়ের ফাঁক গলে বল পৌঁছে যায় জালে।

শেষ মুহূর্তের গোলে হতাশায় পুড়তে হয় আবাহনীকে। ১৫ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনেই রয়েছে তারা। সমান সংখ্যক ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ অবস্থানে পুলিশ।

;

উড়ন্ত শুরুর পর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের তিন ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং সমর্থকদের স্বস্তি দিতে পারেনি। তবে সৌম্য সরকার চোট থেকে ফিরে ওপেনিংয়ে কিছুটা আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশকে। তানজিদ তামিমও ব্যাটে সুর খুঁজে পেয়েছেন। সমর্থকরাও তাদের শতরানের জুটিতে বড় স্কোরের আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু এই দুই ওপেনার বাদে দলের অন্য ব্যাটারদের চূড়ান্ত ব্যর্থতায় ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে অলআউট হতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে তানজিদ তামিম এবং সৌম্য সরকারের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে দুরন্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। ১১ ওভারেই ১০০ রান জমা হয় স্কোরবোর্ডে। ফিফটি তুলে নেন তানজিদ। ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস আসে সৌম্যর ব্যাটে। তাদের আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে’তে ৫৭ রান তোলে বাংলাদেশ।

আগের তিন টি-টোয়েন্টিতে তানজিদের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেছিলেন লিটন। তবে তাদের রসায়ন যে ওপেনিংয়ে একেবারেই জমছে না, তা আজ সৌম্যর সঙ্গে তানজিদের বোঝাপড়াতে পরিষ্কার।

১২তম ওভারে লুক জংওয়ের বল কাভারের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে পয়েন্টে জোনাথান ক্যাম্পবেলের ক্যাচ হন তানজিদ। ফেরার আগে ৩৭ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করেন। সেই ওভারে ৩৪ বলে ৪১ রান করা সৌম্যও সাজঘরের পথ ধরেন।

দুই ওপেনার বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিলেও হঠাৎ ধসে সে সম্ভাবনা নস্যাৎ হয়। গত দুই ম্যাচের ম্যাচসেরা তাওহিদ হৃদয় (১২) ও ৩০০ দিন পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামা সাকিব আল হাসান (১) তিন বলের মধ্যে আউট হয়ে যান।

টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইকরেটের কারণে সমালোচিত হওয়া অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাট হাতে। ৭ বলে ২ রান করে ব্রায়ান বেনেটের বলে সাকিবের মতো তিনিও স্টাম্প বাঁচাতে পারেননি। বিনা উইকেটে শতরানের ঘর ছোঁয়া বাংলাদেশ এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে ১৪৩ রানে পৌঁছাতেই সব উইকেট খুইয়ে বসে স্বাগতিকরা।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান জংওয়ে। ৬৪ উইকেট নিয়ে এখন টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এই পেসার।

;