সুন্দর শুরুর বাজে শেষে হতাশ তামিমও



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
তামিম ইকবাল :  ১২৮ বলে ১২৬ রান

তামিম ইকবাল : ১২৮ বলে ১২৬ রান

  • Font increase
  • Font Decrease

শুরুটা ভাল হচ্ছে না। তাই দল ভাল করতে পারছে না। ওয়ানডে সিরিজ জুড়ে টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের এই অভিযোগ শুনতে হচ্ছিলো। আর টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথমদিনে এসেই যখন টপঅর্ডারে বাংলাদেশ ভাল রান পেল তখনই মাঝের এবং শেষের সারির ব্যাটসম্যানরা গড়িয়ে পড়লেন। আধো ঘুমের ঝিমুনি ব্যাটিং করে ড্রেসিংরুমে ফিরে গেলেন বাকি ‘ঘুম’ পুরো করতে!

অথচ তামিম ইকবালের সেঞ্চুরি এবং ২ উইকেটে ১২২ রানের সংগ্রহ হ্যামিল্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে অনেক দুরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। সেই স্বপ্নকে হতাশায় পরিণত করলেন দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা। আর তাই ২১ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ১২৮ বলে ১২৬ রান করেও দিন শেষে তামিম ইকবাল হাসতে পারছেন না। দলের ব্যর্থতায় হতাশ তিনিও-‘এই রকম একটা ভাল শুরু পাওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার ছিলো। টেস্টের প্রথমদিন, সবুজ উইকেট। বাতাসে সুইং। এমনসব কন্ডিশনে সাধারনত দেখা গেছে শুরুতে আমরা বেশ কয়েকটা উইকেট হারায় ফেলি। যেটা কিন্তু আগে আমাদের সঙ্গে ঘটেছেও। কিন্তু এখানে এত সুন্দর শুরুর পরেও সেটাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে না পারার একটা হতাশাও তো অবশ্যই আছে। এই সুযোগটা কাজে লাগাতে না পারায় পুরো দল কিছুটা হতাশ। কারণ আমরা সবাই জানতাম একটা সময় এই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তো আমাদের হাতেই ছিলো।’

সেই নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হওয়ার হতাশা সেঞ্চুরিয়ান তামিমের একটু বেশি। এত ভাল পারফরমেন্স করার পরও আনন্দ হচ্ছে না। দল সঙ্কটে থাকলে ব্যক্তিগত সুখও যে তখন অসুখের কাঁটা!

হ্যামিল্টনের উইকেট সবুজ হলেও এটাকে মাইনফিল্ড বলার উপায় নেই।

-তাহলে কোথায় ভুল করলো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা? উইকেটে সবচেয়ে বেশি সময় কাটানো সেঞ্চুরিয়ান তামিম সেই ব্যাখায় বললেন-‘প্রথম ইনিংসে আমার মনে হয় আমরা ভাল করতে করতে হঠাৎ করে ভুলটা করে ফেলেছি। নিল ওয়াগনার বল হাতে কি করবে সেটা তো আমাদের জানাই ছিলো। তাকে তো আমরা আগেও দেখেছি। খেলেছি। প্রশ্ন হলো তার বিপক্ষে কোন ব্যাটসম্যান কিভাবে খেলবে এটা তো সেই ব্যাটসম্যানদের ওপর নির্ভর করে। কেউ তার বলে শটস খেলতে পছন্দ করে। কেউ মাথা নিচু করে ছেড়ে দেয়। আমি তো তার শর্ট বল ছেড়ে দিয়েছি। আমি বলবো ওরা যে খুবই ভাল কিছু বোলিং করেছে তাও কিন্তু না। আমাদের আউট গুলো দেখলেই বোঝা যায় আমরা খুব যে ব্রিলিয়ান্ট কোন ডেলিভারিতে আউট হয়েছি তা নয়। ওরা যে পরিকল্পনা করেছিলো সেই পরিকল্পার ফাঁদে আমরা পা দিয়েছি। ভুল শটস খেলেছি। সাফল্যটা ওদের হাতে তুলে দিয়েছি।’

দলের ২৩৪ রানের মধ্যে তার একার রানই ১২৬। শুরু থেকেই যে মার মার কাট কাট ব্যাটিং করেছিলেন, শেষ পর্যন্ত সেই স্টাইলই বজায় রাখলেন। হাফসেঞ্চুরি এলো মাত্র ৩৮ বলে। সেঞ্চুরি পাক্কা ১০০ বলে। তাহলে কি মেরে কেটে ব্যাট করবেন বলে আগেই বিশেষ কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে নেমেছিলেন তামিম? এই প্রশ্নের উত্তরে তামিমের স্বলাজ জবাব-‘আসলে খুব বিশেষ কোন পরিকল্পনা ছিলো না। তবে পরিস্কার একটা চিন্তা ছিলো লম্বা সময় ধরে ব্যাট করে যেতে হবে। মারার বল হতে মারতে হবে। আমার আওতার মধ্যে পাওয়া বলে ঠিকমতো শটস খেলতে পারছিলাম। ইনিংসের শুরুতে বেশ কিছু বাউন্ডারি পেয়ে যাই আমি। উইকেট সবুজ তবে ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই ভাল উইকেট এটা। এই উইকেটে আমাদের আরো বেশি স্কোর করা উচিত ছিলো। সারাদিন ব্যাট করতে পারলে আমাদের স্কোর ৩০০ বা ৩৫০ রান হতে পারতো। এই উইকেটে সেটাই হতো ভাল স্কোর।’

হতাশার সঙ্গে আফসোসের সুরও স্পষ্ঠ! তামিম এবং সেই সঙ্গে পুরো দলের!

   

দিল্লিতে মার্শের বদলি আফগান অলরাউন্ডার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আইপিএল শেষ হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মিচেল মার্শের। তার বদলি হিসেবে আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবকে বেছে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।

নাইব আফগানিস্তানের অন্যতম অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। এখন পর্যন্ত ৮২ ওয়ানডে এবং ৬২ টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করারও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ৫০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যে তাকে দলে ভিড়িয়েছে দিল্লি।

গত জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেন নাইব। বেঙ্গালুরু এবং ইন্দোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচ দুটিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের দুটি ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার।

আইপিএলের চলতি আসরে শুরুটা ভালো না হলেও ধীরে ধীরে ফর্ম ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে দিল্লি। ৯ ম্যাচ থেকে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে উঠে এসেছে তারা।

;

১৬ বছর পর অনুশীলনে ফিরে রোমারিওর জোড়া গোল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৫৮ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে ফেরার ঘোষণা দেয়ার পর প্রথম অনুশীলন করলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোমারিও। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তার চেয়ে অনেক কমবয়সী খেলোয়াড়দের সঙ্গে পাল্ল দিয়ে অনুশীলন করে জোড়া গোলও করেছেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।

বুটজোড়া তুলে রাখার পর রাজনীতিতে যোগ দেন রোমারিও। রিও ডে জেনেইরোর ক্লাব আমেরিকার সভাপতির পদও সামলান। এবার সেই ক্লাবের হয়েই ফের পেশাদার ফুটবলে মাঠে নামবেন তিনি। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য, ছেলে রোমারিনিওর সঙ্গে খেলা।

অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রোমারিও বলেন, ‘আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার ছেলের সঙ্গে একই দলে খেলা। অনেক অ্যাথলেটদেরই এমন ইচ্ছে থাকে। যেমন লেব্রন জেমস আগামী বছর এনবিএ’তে তার ছেলের সঙ্গে খেলতে চায়। রিভালদোরও এই সুযোগ হয়েছিল। আমি তেমনটা করতে চাই।’

ফুটবল পায়ে কারিকুরি দেখানোর জন্য তো জগৎজোড়া খ্যাতি ছিলই রোমারিওর। এর বাইরে ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্যও তার পরিচিত আছে। তার শব্দবাণ থেকে নিস্তার ছিল না পেলে, জিকো, মারিও জাগালোদের। তবে এবার রোমারিও নিজেকেই নিশানা বানিয়ে বললেন, ‘আমি অনেক ক্লান্ত। আমি উঠানোর জন্য জলদিই স্ট্রেচার লাগবে। ১৬ বছর ধরে অনুশীলন করিনি, আজ একটু দৌড়েছি।’ তবে অতটুকুর মধ্যেই নিজের জাত চিনিয়ে দুইবার পেয়েছেন জালের দেখা।

আগামী ১৮ মে মৌসুমের প্রথম লিগ ম্যাচ খেলবে রোমারিওর ক্লাব আমেরিকা। সব ম্যাচ যে তার খেলা হবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রোমারিও, ‘আমি পুরো টুর্নামেন্ট খেলব না। কিছু ম্যাচে কয়েক মিনিট খেলব।’

;

ছয় ম্যাচ পর জয়ে ঘুম ভালো হওয়ার স্বস্তি ডু প্লেসির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হারের বৃত্তে আটকে গিয়েছিল। গত ২৫ মার্চ পাঞ্জাব কিংসকে হারানোর পর টানা ছয় ম্যাচ হেরে বসেছিল তারা। ঠিক এক মাস পর আবারও জয়ের দেখা পেয়েছে বেঙ্গালুরু। উড়তে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে দলটি। দীর্ঘ সময় পর জয় পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি।

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীতে ডু প্লেসি কণ্ঠে ঝরেছে স্বস্তি, ‘বড় স্বস্তি পেলাম। আপনি যে অবস্থানেই থাকেন না কেন, জয় না পেলে তা আপনার মানসিকতায়, আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। আজকে (গতকাল) রাতে একটু ভালো ঘুম হবে।’

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর গল্পটা তীরে এসে তরী ডোবার। হায়দরাবাদের বিপক্ষে আগের ম্যাচটাইতেই যেমন ২৮৮ রান তাড়া করতে গিয়ে ২৫ রান দূরে থামতে হয় তাদের। কলকাতার বিপক্ষে হারটা তো আরও হৃদয়বিদারক, ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল কোহলিদের।

অবশেষে হায়দরাবাদের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু কাঙ্ক্ষিত সে জয়ের দেখা। এই জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে বলে মনে করেন ডু প্লেসি, ‘আপনি শুধু কথা দিয়ে কাউকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলে পারবে না, ভুয়া আত্মবিশ্বাসও তৈরি করা সম্ভব না। শুধুমাত্র পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।’

এই জয়ের পর অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে বেঙ্গালুরুর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১০ দলের লিগে এখনো তলানিতেই তাদের অবস্থান। নামের পাশে যদিও পয়েন্ট দুই থেকে বেড়ে চার হয়েছে।

;

টানা দুই হারে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কায় পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা দারুণ ছন্দে শুরু করেছিল পাকিস্তান প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় কিউইদের বিপক্ষে। কিন্তু পরের দুই ম্যাচ জিতে এখন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৪ রানে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্ল্যাকক্যাপসরা।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ওপেনার টিম রবিনসনের ঝোড়ো ফিফটিতে শুরুটা দুর্দান্ত হয় সফরকারীদের। ৩৬ বলে ৫১ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন তিনে নামা ডিন ফক্সক্রফট। তাতে ২০ ওভারে কিউইদের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৭৮।

৩ ওভার বল করে পাকিস্তানের পক্ষে ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি।

জবাব দিতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা হয় নড়বড়ে। দ্বিতীয় ওভারে স্রেফ ৫ রানে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম। সাইম আইয়ুব, উসমান খান, ইফিতিখার আহমেদরা সেট হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দেন। পাকিস্তানের আশার ভেলা ভাসিয়ে রাখেন চারে নামা ফখর জামান। ৪৫ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৬১ রান করেন এই ব্যাটার।

শেষদিকে ইমাদ ওয়াসিম ১১ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে পাকিস্তানকে জয়ের হাতছোঁয়া দূরত্বে নিয়ে গেলেও শেষ ধাপ পার করাতে ব্যর্থ হন। লক্ষ্য থেকে চার রান দূরেই থামতে হয় পাকিস্তানকে। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৪ রান তুলতে সমর্থ হয় তারা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সামনে যেখানে থাকছে সিরিজ জয়ের সুযোগ, পাকিস্তানের জন্য সেটা সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ।

;