‘গোল মেশিন’ সালাহ বন্দনায় লিভারপুল কোচ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের সঙ্গে মোহাম্মদ সালাহ

কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের সঙ্গে মোহাম্মদ সালাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

তিনি সত্যিকার অর্থেই গোল মেশিন! গোল করাটাকে রীতিমতো অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছেন মোহাম্মদ সালাহ! গত কয়েক মৌসুম ধরেই চলছে তার অভিযান। কোথায় থামবেন লিভারপুলের এই মহাতারকা? প্রশ্নের উত্তরটা সময়ই বলে দেবে। তবে আপাতত খবর নতুন উচ্চতায় পা দিয়েছেন সালাহ। এরপরই তার প্রশংসায় মেতেছেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। জানালেন, গত মৌসুমের চেয়ে এবার সালাহর খেলা আরো বেশি মুগ্ধ করেছে তাকে।

শুক্রবার অ্যানফিল্ডের ক্লাবটির হয়ে করেছেন জোড়া গোল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গোলদাতাদের তালিকার শীর্ষে উঠে গেছেন তিনি। হাডার্সফিল্ড টাউনের বিপক্ষে সাফল্যের পর দলের হয়ে অসাধারণ এক রেকর্ড গড়েন সালাহ।

সবার আগে লিগে ২০ গোলের মাইলফলকে পা রাখেন লিভারপুলের এই ফরোয়ার্ড। গত মৌসুমে তিনি করেন ৩২ গোল। রবি ফাওলার ও লুইস সুয়ারেজের পর অলরেডদের হয়ে টানা দুই মৌসুমে কমপক্ষে করেন ২০ গোল। একইসঙ্গে লিভারপুলের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১০০ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড দখলে নিয়েছেন সালাহ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/27/1556361120823.jpg

শুক্রবার লিভারপুলের হয়ে শততম ম্যাচ খেলে ফেলেছেন মিশরের এই মহাতারকা। সবমিলিয়ে করলেন ৬৯ গোল। পেছনে ফেলেন অ্যানফিল্ডেরই দুই সাবেক ফুটবলার রজার হান্ট ও স্যাম রেবোল্ডকে। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত লিভারপুলে খেলে হান্ট নিজের প্রথম ১০০ ম্যাচে করেছিলেন ৬৮ গোল। এর আগে ১৯০০ থেকে ১৯০৭ পর্যন্ত ১০০ ম্যাচ খেলে রেবোল্ড করেন ৬৮ গোল। লিভারপুলের সাবেক দুই ফুটবলারকে পেছনে ফেলে নতুন উচ্চতায় পা রাখলেন সালাহ।

অবশ্য লিভারপুলে নাম লেখানোর পর সাফল্যের ধারাবাহিকতাতেই আছেন সালাহ। এরইমধ্যে ক্লাবের দ্রুততম গোলের সব রেকর্ড, প্রিমিয়ার লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের (৪৪) রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। এবারের প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌড়েও এগিয়ে আছেন সালাহ! তার দলও লিভারপুলও শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে দাপটেই টিকে আছে।

সালাহ এমন সাফল্যে যারপরনাই খুশি ইয়ুর্গেন ক্লপ। লিভারপুল কোচ জানাচ্ছিলেন, ‘অবিশ্বাস্য সব রেকর্ড গড়ছে ও। এই মৌসুমটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ওর জন্য। সামনেই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনাল। একইসঙ্গে লিগের লড়াইয়েও আছে দল। আমি নিশ্চিত এই সালাহকেই আমরা মৌসুমের বাকী সময়টাতেও পাবো।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/27/1556361180096.jpg

প্রিমিয়ার লিগে ৩৬ ম্যাচে ৯১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে লিভারপুল। ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে ম্যানচেস্টার সিটি।

৩০ এপ্রিল সেমির প্রথম লেগে মুখোমুখি হবে লিভারপুল-বার্সেলোনা। লিওনেল মেসিদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ক্লপ জানিয়ে রাখলেন, তার দলে কোন কোন্দল নেই। যদিও অন্তর্জালের খবর-সালাহ সঙ্গে সময়টা ভাল কাটছে না রবার্তো ফিরমিনোর। এই জার্মান কোচ বলছিলেন, ‘আমি সবাইকে নিশ্চিত করে জানাতে চাই-নিন্দুকের কথায় কান দেবেন না। সালাহ-ফিরমিনো সম্পর্কের কোন টানাপোড়েন নেই। সবাই মিলে লিভারপুলের জন্য লড়বে এটাই শেষ কথা!

যদিও ইনজুরির কারণে বার্সার বিপক্ষে ম্যাচে খেলা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। শুক্রবার হাডার্সফিল্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও দেখা যায়নি দলের এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে।

   

দিল্লিতে মার্শের বদলি আফগান অলরাউন্ডার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আইপিএল শেষ হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মিচেল মার্শের। তার বদলি হিসেবে আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবকে বেছে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।

নাইব আফগানিস্তানের অন্যতম অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। এখন পর্যন্ত ৮২ ওয়ানডে এবং ৬২ টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করারও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ৫০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যে তাকে দলে ভিড়িয়েছে দিল্লি।

গত জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেন নাইব। বেঙ্গালুরু এবং ইন্দোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচ দুটিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের দুটি ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার।

আইপিএলের চলতি আসরে শুরুটা ভালো না হলেও ধীরে ধীরে ফর্ম ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে দিল্লি। ৯ ম্যাচ থেকে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে উঠে এসেছে তারা।

;

১৬ বছর পর অনুশীলনে ফিরে রোমারিওর জোড়া গোল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৫৮ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে ফেরার ঘোষণা দেয়ার পর প্রথম অনুশীলন করলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোমারিও। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তার চেয়ে অনেক কমবয়সী খেলোয়াড়দের সঙ্গে পাল্ল দিয়ে অনুশীলন করে জোড়া গোলও করেছেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।

বুটজোড়া তুলে রাখার পর রাজনীতিতে যোগ দেন রোমারিও। রিও ডে জেনেইরোর ক্লাব আমেরিকার সভাপতির পদও সামলান। এবার সেই ক্লাবের হয়েই ফের পেশাদার ফুটবলে মাঠে নামবেন তিনি। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য, ছেলে রোমারিনিওর সঙ্গে খেলা।

অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রোমারিও বলেন, ‘আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার ছেলের সঙ্গে একই দলে খেলা। অনেক অ্যাথলেটদেরই এমন ইচ্ছে থাকে। যেমন লেব্রন জেমস আগামী বছর এনবিএ’তে তার ছেলের সঙ্গে খেলতে চায়। রিভালদোরও এই সুযোগ হয়েছিল। আমি তেমনটা করতে চাই।’

ফুটবল পায়ে কারিকুরি দেখানোর জন্য তো জগৎজোড়া খ্যাতি ছিলই রোমারিওর। এর বাইরে ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্যও তার পরিচিত আছে। তার শব্দবাণ থেকে নিস্তার ছিল না পেলে, জিকো, মারিও জাগালোদের। তবে এবার রোমারিও নিজেকেই নিশানা বানিয়ে বললেন, ‘আমি অনেক ক্লান্ত। আমি উঠানোর জন্য জলদিই স্ট্রেচার লাগবে। ১৬ বছর ধরে অনুশীলন করিনি, আজ একটু দৌড়েছি।’ তবে অতটুকুর মধ্যেই নিজের জাত চিনিয়ে দুইবার পেয়েছেন জালের দেখা।

আগামী ১৮ মে মৌসুমের প্রথম লিগ ম্যাচ খেলবে রোমারিওর ক্লাব আমেরিকা। সব ম্যাচ যে তার খেলা হবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রোমারিও, ‘আমি পুরো টুর্নামেন্ট খেলব না। কিছু ম্যাচে কয়েক মিনিট খেলব।’

;

ছয় ম্যাচ পর জয়ে ঘুম ভালো হওয়ার স্বস্তি ডু প্লেসির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হারের বৃত্তে আটকে গিয়েছিল। গত ২৫ মার্চ পাঞ্জাব কিংসকে হারানোর পর টানা ছয় ম্যাচ হেরে বসেছিল তারা। ঠিক এক মাস পর আবারও জয়ের দেখা পেয়েছে বেঙ্গালুরু। উড়তে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে দলটি। দীর্ঘ সময় পর জয় পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি।

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীতে ডু প্লেসি কণ্ঠে ঝরেছে স্বস্তি, ‘বড় স্বস্তি পেলাম। আপনি যে অবস্থানেই থাকেন না কেন, জয় না পেলে তা আপনার মানসিকতায়, আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। আজকে (গতকাল) রাতে একটু ভালো ঘুম হবে।’

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর গল্পটা তীরে এসে তরী ডোবার। হায়দরাবাদের বিপক্ষে আগের ম্যাচটাইতেই যেমন ২৮৮ রান তাড়া করতে গিয়ে ২৫ রান দূরে থামতে হয় তাদের। কলকাতার বিপক্ষে হারটা তো আরও হৃদয়বিদারক, ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল কোহলিদের।

অবশেষে হায়দরাবাদের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু কাঙ্ক্ষিত সে জয়ের দেখা। এই জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে বলে মনে করেন ডু প্লেসি, ‘আপনি শুধু কথা দিয়ে কাউকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলে পারবে না, ভুয়া আত্মবিশ্বাসও তৈরি করা সম্ভব না। শুধুমাত্র পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।’

এই জয়ের পর অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে বেঙ্গালুরুর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১০ দলের লিগে এখনো তলানিতেই তাদের অবস্থান। নামের পাশে যদিও পয়েন্ট দুই থেকে বেড়ে চার হয়েছে।

;

টানা দুই হারে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কায় পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা দারুণ ছন্দে শুরু করেছিল পাকিস্তান প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় কিউইদের বিপক্ষে। কিন্তু পরের দুই ম্যাচ জিতে এখন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৪ রানে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্ল্যাকক্যাপসরা।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ওপেনার টিম রবিনসনের ঝোড়ো ফিফটিতে শুরুটা দুর্দান্ত হয় সফরকারীদের। ৩৬ বলে ৫১ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন তিনে নামা ডিন ফক্সক্রফট। তাতে ২০ ওভারে কিউইদের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৭৮।

৩ ওভার বল করে পাকিস্তানের পক্ষে ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি।

জবাব দিতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা হয় নড়বড়ে। দ্বিতীয় ওভারে স্রেফ ৫ রানে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম। সাইম আইয়ুব, উসমান খান, ইফিতিখার আহমেদরা সেট হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দেন। পাকিস্তানের আশার ভেলা ভাসিয়ে রাখেন চারে নামা ফখর জামান। ৪৫ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৬১ রান করেন এই ব্যাটার।

শেষদিকে ইমাদ ওয়াসিম ১১ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে পাকিস্তানকে জয়ের হাতছোঁয়া দূরত্বে নিয়ে গেলেও শেষ ধাপ পার করাতে ব্যর্থ হন। লক্ষ্য থেকে চার রান দূরেই থামতে হয় পাকিস্তানকে। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৪ রান তুলতে সমর্থ হয় তারা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সামনে যেখানে থাকছে সিরিজ জয়ের সুযোগ, পাকিস্তানের জন্য সেটা সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ।

;