আফ্রিদির বয়সচুরির সত্যতা স্বীকার!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বয়স নিয়ে লুকোচুরিতে আলোচনায় শহীদ আফ্রিদি

বয়স নিয়ে লুকোচুরিতে আলোচনায় শহীদ আফ্রিদি

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিকেটারদের মধ্যে বয়স লুকানোর প্রবনতা বেশ পুরানো। আর এই বয়সচুরি করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি হাস্যরসের জন্ম দিয়েছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। চেহারা, স্বাস্থ্য, গোঁফ-দাড়ি দেখে নিশ্চিতভাবে মনে হচ্ছে বয়স ২২/২৩, অথচ তিনি দাবি করছেন তার বয়স ১৭! বয়স লুকানোর এই কান্ডে অনেকদিন পরে আরেকবার ক্রিকেট দুনিয়ায় হাস্যরসের তৈরি করেছেন পাকিস্তানের সাবেক শহীদ আফ্রিদি।

তবে এবার তিনি সত্যি সত্যি জানিয়েছেন তার প্রকৃত বয়স!

ক্রিকেটে বয়সের হিসেবটা হয় সাধারণ পাসপোর্টে লেখা বয়সটা ধরেই। সেই হিসেবে শহীদ আফ্রিদি যখন ১৯৯৬ সালের ৪ অক্টোবর কেনিয়ার নাইরোবিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৭ বলে সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন তখন তার বয়স ছিলো ১৬ বছর ২১৭ দিন। এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে কমবয়সী ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরির রেকর্ড সেটাই।  তখন জানানো হয়েছিলো আফ্রিদি জন্মেছেন ১৯৮০ সালে।

সেই আফ্রিদি এখন নিজের আত্মজীবনীতে জানাচ্ছেন তার জন্ম ১৯৭৫ সালে! অর্থাৎ ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেকের সময় তার বয়স ছিলো ২১ বা ২২ বছর। কিন্তু রেকর্ডে লেখা রয়েছে ১৬ বছর ২১৫ দিন।

অনেকদিন পরে আফ্রিদির সত্যভাষনে তার বয়সের রহস্যভেদ হলো। এখন প্রশ্ন হলো তার এই মিথ্যে বয়সের কারণে পেছনের ক্রিকেট রেকর্ড কি বদলানো হবে? সার্টিফিকেটে বয়স তো অনেকেই কমায়। কিন্তু তাই বলে একেবারে পাঁচ বছর বয়স কমিয়ে দেয়া হবে? এটা তো বিশাল বড় প্রতারণা!

পাকিস্তানি এই সাবেক অধিনায়ক তার ‘গেম চেঞ্জার’ নামের আত্মজীবনীতে নিজের বয়স নিয়ে আর কোনো লুকোছাপা করেননি। সত্যটা জানিয়েছেন। তবে বইয়ে যা লিখেছেন তাতেও তার প্রকৃত বয়স নিয়ে বাড়তি আরো সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। আফ্রিদি লিখেছেন-‘ নাইরোবির সেই সেঞ্চুরির সময় রেকর্ডে বলা হচ্ছে আমার বয়স ছিলো ১৬। আসলে তা নয়, আমার বয়স তখন ১৯ বছর। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ভুলভাবে আমার বয়স উল্লেখ করে।’

আফ্রিদি এখানে নিজের বয়স যা বলেছেন সেটাও নতুন জটিলতা তৈরি করছে। তিনি যদি ১৯৭৫ সালেই জন্ম নিয়ে থাকেন তাহলে নাইরোবির সেই সেঞ্চুরির সময় তার বয়স হওয়ার কথা ২০ বা ২১। কিন্তু তিনি বলছেন তখন তার বয়স ১৯!

১৯৯৬ সালে কেনিয়ার মাটিতে সেই সিরিজে খেলতে এসেছিলেন আফ্রিদি ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে। সেই সময় পাকিস্তানের হয়ে অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ খেলছিলেন তিনি।

-তাহলে কি দাড়ালো বিষয়টা?

পাকিস্তানের হয়ে অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলেছেন ২১ বছর বয়সী আফ্রিদি! যার সত্যতা লেখা আত্মজীবনীতেই।

আফ্রিদির ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টির জার্সির পেছনে নম্বরটা ৭৫। আফ্রিদির নতুন ঘোষণা অনুযায়ী তার জন্মসাল ১৯৭৫। জার্সিতে নিজের জন্মসালকে এভাবেই সঙ্গে নিয়ে খেলছেন, কিন্তু রেকর্ডের খাতায় লেখা মিথ্যে বয়স!

   

সাফের আগে তাইপের বিপক্ষে খেলবেন সাবিনারা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। গত আসরে সাবিনা খাতুনের নেতৃত্ব হিমালয়ের দেশ নেপালে বিজয় নিশান ওড়ান বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার ঘরের মাঠে সে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মিশনে মাঠে নামবেন তারা। দিনক্ষণ নিশ্চিত না হলেও আগামী অক্টোবরে হতে পারে নারী সাফ। তার আগে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।

তাইপের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলার কথা নিশ্চিত করেছেন বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ, ‘জুন উইন্ডোতে আমরা চাইনিজ তাইপের সঙ্গে খেলবো। প্রথম ম্যাচ ৩১ মে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ জুন। তারা অফিশিয়ালভাবে চিঠি দিয়ে আমাদের নিশ্চিত করেছে।’ ম্যাচ দুটি বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও মেয়েদের ম্যাচ আয়োজনে চেষ্টা চলছে বলে জানান এই নারী ক্রীড়া সংগঠক, ‘জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও আমরা ম্যাচ খেলার চেষ্টা করবো।’

চাইনিজ তাইপের ম্যাচগুলো খেলে বাংলাদেশের মেয়েরা সাফের আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবেন বলে মত কিরণের, ‘চাইনিজ তাইপে শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যখন ম্যাচগুলো খেলবে তারা তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারবে। সাফের আগে এটা অনেক বেশি কাজে দেবে বলে আমি মনে করি।’

;

দিল্লিতে মার্শের বদলি আফগান অলরাউন্ডার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আইপিএল শেষ হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মিচেল মার্শের। তার বদলি হিসেবে আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবকে বেছে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।

নাইব আফগানিস্তানের অন্যতম অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। এখন পর্যন্ত ৮২ ওয়ানডে এবং ৬২ টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করারও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ৫০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যে তাকে দলে ভিড়িয়েছে দিল্লি।

গত জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেন নাইব। বেঙ্গালুরু এবং ইন্দোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচ দুটিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের দুটি ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার।

আইপিএলের চলতি আসরে শুরুটা ভালো না হলেও ধীরে ধীরে ফর্ম ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে দিল্লি। ৯ ম্যাচ থেকে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে উঠে এসেছে তারা।

;

১৬ বছর পর অনুশীলনে ফিরে রোমারিওর জোড়া গোল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৫৮ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে ফেরার ঘোষণা দেয়ার পর প্রথম অনুশীলন করলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোমারিও। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তার চেয়ে অনেক কমবয়সী খেলোয়াড়দের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনুশীলন করে জোড়া গোলও করেছেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।

বুটজোড়া তুলে রাখার পর রাজনীতিতে যোগ দেন রোমারিও। রিও ডে জেনেইরোর ক্লাব আমেরিকার সভাপতির পদও সামলান। এবার সেই ক্লাবের হয়েই ফের পেশাদার ফুটবলে মাঠে নামবেন তিনি। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য, ছেলে রোমারিনিওর সঙ্গে খেলা।

অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রোমারিও বলেন, ‘আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার ছেলের সঙ্গে একই দলে খেলা। অনেক অ্যাথলেটদেরই এমন ইচ্ছে থাকে। যেমন লেব্রন জেমস আগামী বছর এনবিএ’তে তার ছেলের সঙ্গে খেলতে চায়। রিভালদোরও এই সুযোগ হয়েছিল। আমি তেমনটা করতে চাই।’

ফুটবল পায়ে কারিকুরি দেখানোর জন্য তো জগৎজোড়া খ্যাতি ছিলই রোমারিওর। এর বাইরে ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্যও তার পরিচিত আছে। তার শব্দবাণ থেকে নিস্তার ছিল না পেলে, জিকো, মারিও জাগালোদের। তবে এবার রোমারিও নিজেকেই নিশানা বানিয়ে বললেন, ‘আমি অনেক ক্লান্ত। আমাকে উঠানোর জন্য জলদিই স্ট্রেচার লাগবে। ১৬ বছর ধরে অনুশীলন করিনি, আজ একটু দৌড়েছি।’ তবে অতটুকুর মধ্যেই নিজের জাত চিনিয়ে দুইবার পেয়েছেন জালের দেখা।

আগামী ১৮ মে মৌসুমের প্রথম লিগ ম্যাচ খেলবে রোমারিওর ক্লাব আমেরিকা। সব ম্যাচ যে তার খেলা হবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রোমারিও, ‘আমি পুরো টুর্নামেন্ট খেলব না। কিছু ম্যাচে কয়েক মিনিট খেলব।’

;

ছয় ম্যাচ পর জয়ে ঘুম ভালো হওয়ার স্বস্তি ডু প্লেসির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হারের বৃত্তে আটকে গিয়েছিল। গত ২৫ মার্চ পাঞ্জাব কিংসকে হারানোর পর টানা ছয় ম্যাচ হেরে বসেছিল তারা। ঠিক এক মাস পর আবারও জয়ের দেখা পেয়েছে বেঙ্গালুরু। উড়তে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে দলটি। দীর্ঘ সময় পর জয় পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি।

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীতে ডু প্লেসি কণ্ঠে ঝরেছে স্বস্তি, ‘বড় স্বস্তি পেলাম। আপনি যে অবস্থানেই থাকেন না কেন, জয় না পেলে তা আপনার মানসিকতায়, আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। আজকে (গতকাল) রাতে একটু ভালো ঘুম হবে।’

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর গল্পটা তীরে এসে তরী ডোবার। হায়দরাবাদের বিপক্ষে আগের ম্যাচটাইতেই যেমন ২৮৮ রান তাড়া করতে গিয়ে ২৫ রান দূরে থামতে হয় তাদের। কলকাতার বিপক্ষে হারটা তো আরও হৃদয়বিদারক, ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল কোহলিদের।

অবশেষে হায়দরাবাদের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু কাঙ্ক্ষিত সে জয়ের দেখা। এই জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে বলে মনে করেন ডু প্লেসি, ‘আপনি শুধু কথা দিয়ে কাউকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলে পারবে না, ভুয়া আত্মবিশ্বাসও তৈরি করা সম্ভব না। শুধুমাত্র পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।’

এই জয়ের পর অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে বেঙ্গালুরুর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১০ দলের লিগে এখনো তলানিতেই তাদের অবস্থান। নামের পাশে যদিও পয়েন্ট দুই থেকে বেড়ে চার হয়েছে।

;