আরেকটি দাপুটে জয়, ফাইনালে বাংলাদেশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেক শক্তিশালী।

-কে?

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

-কার তুলনায়?

ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

আয়ারল্যান্ডে তিনজাতি ক্রিকেটে দ্বিতীয় মোকাবেলায়ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারানোর পর এখন বাংলাদেশ এই দাবিটা করতেই পারে। টুর্নামেন্টে দ্বিতীয়বারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বাংলাদেশ উঠে এল ফাইনালে। ১৭ মে’র সেই ফাইনালেও বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসেবে আরেকবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই পাচ্ছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৪৭ রানের স্কোর বাংলাদেশ যে কায়দায় টপকে গেল তাকে বলে ক্লিনিক্যাল ফিনিশ। দুই ওপেনার তামিম ও সৌম্যের তৈরি করা শক্ত ভিতের ওপর দাড়িয়ে সাকিব দলের ইনিংসকে তিন অংকের ওপরে পৌঁছে দেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মুশফিক ও মিঠুনের দাপুটে ব্যাটিং এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের পথ সহজ করে দেয়। দুজনে যেভাবে খেলছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল এরাই ম্যাচ শেষ করে ফিরবেন।

কিন্তু দুই ছক্কা ও দুই বাউন্ডারিতে মোহাম্মদ মিঠুন ৫৩ বলে ৪৩ রান করে হোল্ডারের বলে বোল্ড হলে মাহমুদউল্লাহও টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলেন। ভাগ্যকেও সঙ্গে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যক্তিগত ৬ রানে উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ দিয়েও রক্ষা পেলেন সেই ভাগ্যের কল্যাণেই! মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর জুটিতেই ম্যাচ জয়ের পথে ছিল বাংলাদেশ। জয় থেকে ৮ রান দুরে থাকতে মুশফিক ফিরলেন ৬৩ রান করে। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে বাকি আনুষ্ঠানিকতা পুরো করেন সাব্বির রহমান। ১৬ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ ৫ উইকেটে।

আরেকটি দাপুটে জয়, ফাইনালে বাংলাদেশ

এই ম্যাচে উভয় দলের ব্যাটিংয়ের চালচিত্রের মধ্যে অদ্ভুত একটা মিল পাওয়া গেলো। দু’দলেরই ওপেনিংটা হলো যুতসই। পঞ্চাশের ওপর। দু’দলেরই একজন ওপেনার হাফ সেঞ্চুরি পেলেন। অন্যজন সম্ভাবনা জাগিয়েও আউট হলেন। বড় ব্যাটিং জুটি হলো বলতে গেল একটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ চতুর্থ উইকেটে হোপ ও হোল্ডারের জুটিতে যোগ হলো পাক্কা ১০০ রান। বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেটে মুশফিক ও মিঠুনের জুটিতে এল ৮৭ রান। ৭৩ বলে ৬৩ রান নিয়ে মুশফিক এই ম্যাচের ফিনিশার।

ডাবলিনের মালাহাইডের দ্য ভিলেজ ক্রিকেট মাঠের এই উইকেটের আচরণ আগের ম্যাচগুলো থেকে একটু ভিন্ন হলো। স্পিনাররা ভালো টার্ন পেলেন। উইকেটে বল একটু গাঁথল। থেমে এলো। ব্যাটসম্যানদের টাইমিং মেলাতে সমস্যায় পড়তে হলো। উভয় দলের স্পিনাররা ম্যাচে দাপট দেখালেন। তবে এমন উইকেটের ব্যবহার কিভাবে সবচেয়ে ভালো করতে হয়- সেই পরীক্ষায় বাকি সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন মুস্তাফিজুর রহমান ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এই দুজন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিংহভাগ উইকেট শিকার করলেন। আর সাকিব আল আটকে দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানের চাকা। সাকিবের বোলিং বিশ্লেষণ সত্যিকার অর্থেই বাঁধিয়ে রাখার মতোই! শুরুর ৭ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচ। ম্যাচে ১০-১-২৭-১!

হিসেবি ব্যাটিংয়ের পরে দারুণ পরিণত ব্যাটিং। ফাইনালে ওঠার জয়ী এই ম্যাচের মন্তব্যের ঘরে এই বিশেষণ লিখতে পারে বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৪৭/৯ (৫০ ওভারে, হোপ ৮৫, চেজ ১৯, হোল্ডার ৬২, মুস্তাফিজুর ৪/৪৩, মাশরাফি ৩/৬০, সাকিব ১/২৭, মিরাজ ১/৪১, রাহী ০/৫৬)। বাংলাদেশ: ২৪৮/৫ (৪৭.২ ওভারে, তামিম ২১, সৌম্য ৫৪, সাকিব ২৯, মুশফিক ৬৩, মিঠুন ৪৩, মাহমুদউল্লাহ ৩০*, নার্স ৩/৫৩)। ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা: মুস্তাফিজ।

   

ব্যাটিং রূপকথার রাতে পাঞ্জাবের ইতিহাসগড়া জয়



হোসাইন মাহমুদ আব্দুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার কীর্তি গড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। কলকাতার দেয়া ২৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে তারা।

আইপিএল ইতিহাসে রান তাড়ার আগের কীর্তিটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসের। ২০২০ সালে তখনকার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছিল দলটি। সে রেকর্ড দুমড়েমুচড়ে দিয়ে আজ নতুন ইতিহাস লিখেছে পাঞ্জাব। জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরির সঙ্গে শশাঙ্ক আরোরা এবং প্রভসিমরান সিংয়ের ঝোড়ো দুই ফিফটিতে আইপিএল ফোকলোরের অংশ হয়ে গেছে তারা।

কলকাতার মাঠ ইডেন গার্ডেনসে টসভাগ্য ছিল পাঞ্জাবের পক্ষে। টস জিতে আগে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান পাঞ্জাব অধিনায়ক স্যাম কারেন। ঘরের মাঠে দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং সুনীল নারাইনের দুর্দান্ত শুরু পায় কলকাতা। পাঞ্জাবের বোলারদের তুলোধুনো করে ৬২ বলে ১৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন দুই ওপেনার। ১০ ওভার পেরোতেই সাজঘরের পথ ধরেন তারা। এর আগে ৩৭ বলে ৭৫ রান আসে সল্টের ব্যাটে, নারাইন থামেন ৩২ বলে ৭১ রান করে।

সল্ট-নারাইনের তাণ্ডবের পর ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ৩৯, শ্রেয়াস আইয়ারের ২৮ এবং আন্দ্রে রাসেলের ২৪ রানের ছোট তবে দেড়শর উপর স্ট্রাইক রেটে খেলা বিস্ফোরক ইনিংসগুলোতে চড়ে ২০ ওভারে ২৬১ রান পর্যন্ত পৌঁছায় তারা। পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ দুই উইকেট পান পেসার আর্শদীপ সিং।

আইপিএলের এবারের আসরে যেভাবে পাইকারি হারে দুইশর উপর রান করছে দলগুলো, তাতে এত বড় সংগ্রহ নিয়েও স্বস্তিতে থাকার উপায় ছিল না কলকাতার। তবু জিততে হলে পাঞ্জাবকে আইপিএলে ইতিহাস গড়তে হবে তা হয়ত কলকাতার সমর্থকদের আশা জোগাচ্ছিল।

কিন্তু ইংলিশ উইলোবাজ বেয়ারস্টোর ব্যাটে সে আশায় গুঁড়েবালি! ৪৫ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়া এই ব্যাটার ইনিংস শেষ করেছেন ৮ চার ও ৯ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত থেকে। তার আগে অবশ্য ইমপ্যাক্ট সাব প্রভসিমরান ২০ বলে ৫৪ রানের তাণ্ডব চালিয়ে পাঞ্জাবের হৃদয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করার বিশ্বাস গেঁথে দিয়েছিলেন। আর সে বিশ্বাসকে শেষবেলায় পূর্ণতা দিয়েছেন ২৮ বলে ২ চার ও ৮টি বিশাল ছক্কায় ৬৮ রানের ইনিংস খেলা শশাঙ্ক।

ইডেন গার্ডেনসে কলকাতা এবং পাঞ্জাবের ব্যাটাররা মিলে করেছেন ৫২৩ রান, গড়েছেন স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ৪২ ছক্কার রেকর্ড। এমন রাতকে ব্যাটিং রূপকথার রাত না বললে চলেই না।

;

ব্রাজিলের রেকর্ড গোলদাতা মার্তার অবসরের ঘোষণা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিলের জার্সিতে তার চেয়ে বেশি গোল নেই কারও। জাতীয় দলের জার্সিতে গোল করার দিক দিয়ে যেন পেলে-নেইমাররাও তার কাছে নস্যি! পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৫ গোলের মালিক মার্তা অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। চলতি বছরেই আন্তর্জাতিক ফুটবল অধ্যায়ের ইতি টানবেন এই কিংবদন্তিতুল্য নারী ফুটবলার।

সিএনএন ব্রাজিলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অবসরের বিষয়টি জানিয়েছেন মার্তা। আগামী ২৮ এপ্রিল (রবিবার) তার সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি প্রচার করবে সিএনএন ব্রাজিল।

ব্রাজিলের হয়ে ছয় বিশ্বকাপ খেলা মার্তাকে আসছে প্যারিস অলিম্পিকে দেখা যেতে পারে। অবসরের বছরে ষষ্ঠবারের মতো অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে মার্তা বলেন, ‘যদি অলিম্পিকে যেতে পারি, তাহলে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করব। তবে অলিম্পিকে যাই আর না যাই, জাতীয় দলের সঙ্গে এটাই আমার শেষ বছর। ২০২৫ সাল থেকে ব্রাজিলের জাতীয় দলে মার্তাকে আর দেখা যাবে না।’

নারী ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে আলোচিত চরিত্রদের অন্যতম মার্তা। ব্রাজিলকে তিনবার কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন, দুইবার এনে দিয়েছে অলিম্পিকের রৌপ্যপদক। ফিফার বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের খেতাব রেকর্ড ছয়বার জিতেছেন, ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত এই পুরস্কার টানা পাঁচবার তার হাতে উঠেছে।

২০১৯ সালে প্রথম ফুটবলার হিসেবে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার কীর্তি গড়েন মার্তা। এছাড়া এক বিশ্বকাপে ১৭ গোলের অনন্য রেকর্ডও তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে। পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে এই দুটি কীর্তিও মার্তা ছাড়া আর কারও নেই।

;

ব্রাজিলিয়ানের গোলে আবাহনীর কষ্টার্জিত জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে প্রথমার্ধেই শেখ রাসেলকে হেসেখেলে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল আবাহনী। তবে দ্বিতীয় দেখায় রাসেলকে রুখে দিতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে তাদের। তবে ব্রাজিলিয়ান ব্রুনো রোচার একমাত্র গোলে শেষ পর্যন্ত পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে আকাশি-হলুদরা।

 বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রচণ্ড গরম আর সঙ্গে শেখ রাসেলের প্রতিরোধের সামনে শুরুতে কিছুটা খাবি খেতে হয় আবাহনীকে। প্রথমার্ধে বলার মতো একটা সুযোগই এসেছিল তাদের সামনে। বক্সের বাইরে থেকে ব্রুনোর বাঁকানো ফ্রি-কিক ঠেকিয়ে আবাহনীকে হতাশ করেন রাসেলের গোলকিপার মিতুল মারমা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে এক আক্রমণ থেকে পরম আরাধ্য গোলটি পেয়ে যায় আবাহনী। ৭৪ মিনিটে বদলি মিডফিল্ডার রবিউল হাসানের ক্রসে ব্রুনোর হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়, তবে ফিরতি শটে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি এই ব্রাজিলিয়ানের। শেষ পর্যন্ত এই গোল দিয়েই তিন পয়েন্ট বুঝে নিয়েছে আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির শিষ্যরা।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচ থেকে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে তিনেই থাকল আবাহনী। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট পাওয়া শেখ রাসেলের অবস্থান টেবিলের ১০ নম্বরে।

;

কোপার আগে ফার্নান্দেজকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আর্জেন্টিনা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপা আমেরিকার আগে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে। দলটির তারকা মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজের যে চোটে পড়ে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। আজ (২৬ এপ্রিল) কুঁচকির চোটে অস্ত্রোপচার হয়েছে তার। অস্ত্রোপচারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার ক্লাব চেলসি।

এনজোর চোট নিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে চেলসি জানায়, ‘এনজোর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এখন তার পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হবে।’

এক টুইটে সফল অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়েছেন এনজো নিজেও , ‘আমার সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। গত ছয় মাস ধরে এই ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছিলাম। তাই অস্ত্রোপচারের দরকার ছিল।’

কবে নাগাদ মাঠে ফিরতে পারবেন এনজো, সে ব্যাপারে চেলসি এখনো কিছু জানায়নি। আগামী ২০ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে কোপা আমেরিকার পরবর্তী আসর। একটা কথা নিশ্চিত করে বলে দেয়া যায়, সে টুর্নামেন্টকে পাখির চোখ করেই এখন ফিট হয়ে ওঠার মিশনে নামছেন এনজো।

;