সাকিববিহীন ফাইনালে, ট্রফি জিততে মরিয়া বাংলাদেশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এবার কি ফাইনাল দুঃস্বপ্ন কাটবে বাংলাদেশের?

এবার কি ফাইনাল দুঃস্বপ্ন কাটবে বাংলাদেশের?

  • Font increase
  • Font Decrease

টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের খেলা তিনটি ম্যাচের কাহিনীতে কি ভীষণ মিল! তিন ম্যাচেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার তেমন কোনো চিহ্নই নেই। বাংলাদেশের সহজ জয়। তিন ম্যাচেই রান তাড়া করে ম্যাচে জয়ের আনন্দ। এবং কি আশ্চর্য তিন ম্যাচে এক জায়গায় বাংলাদেশ হারলো-টস!

ক্ষতি কি, ম্যাচ জিতলে টস হারার শূন্যতা কে আর মনে রাখে? তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ শুক্রবারের ফাইনালে বাংলাদেশকে একাদশে একটি বড় শূন্যতা পুরুণ করতে হবে। সাকিব আল হাসান খেলছেন না এই ফাইনালে সেটা নিশ্চিত প্রায়। ফাইনালের আগের দিনে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার কথাতেই তা স্পষ্ঠ। সাকিবকে ছাড়াই ফাইনালের পরিকল্পনা স্থির করে ফেলেছে বাংলাদেশ।

অধিনায়ক বলছিলেন-‘সাকিবের থাকা বা না থাকাটাই ম্যাচের ডিসাইডিং ফ্যাক্টর, সেটা অধিনায়ক হিসেবে আমি মনে করি না। তবে হ্যাঁ, সাকিব যদি এই ম্যাচ খেলতে না পারে তবে তাকে মিস করাটা আমাদের জন্য ভালো খবর অবশ্যই নয়।’

দলের জন্য সাকিবের প্রয়োজনীয়তা এবং একই সঙ্গে সাকিবকে ছাড়াও কিভাবে জেতা যায়-সেই উদ্দীপনায় উজ্জ্বীবিত করলেন অধিনায়ক তার দলকে-‘সাকিবকে ছাড়াও  এই ম্যাচ জয়ের সামর্থ্য আমাদের আছে। সাকিব না খেললে তার জায়গা যে খেলবে, সেও পেশাদার, তারও সামর্থ্য আছে ভালো করার।’

ফাইনালে সাকিবের জায়গায় কে? সেই উত্তর খুঁজতে আপাতত খুব বেশি হন্যে হওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না। আগের ম্যাচে লিটন দাসের হাফসেঞ্চুরিতে এই খোঁজ মিলে গেছে। সাকিবের তিন নম্বর ব্যাটিংয়ের শূন্যস্থান পুরুণ করছেন লিটন দাস। ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গে থাকছেন সৌম্য।

প্রশ্ন হলো, সাকিব তো দলের বোলারও বটে। তার ১০ ওভারটা তাহলে কে করবে? এই শূন্যস্থান পূরুণ করতে সৌম্য ও সাব্বিরের কাছ থেকে ফাইনালে বোলিংয়েও অবদান দাবি করছেন অধিনায়ক। স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ ফিরছেন একাদশে। এমনও হতে পারে  পেস বোলার সাইফুদ্দিনের পরিবর্তে এই ম্যাচে অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে খেলানো হতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনের বিপক্ষে বরাবরই একটু পিছুহটা। মোসাদ্দেকের স্পিন উইন্ডিজের সেই সমস্যা আরো বাড়াতে পারে। আর হ্যাঁ, আগের ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেয়া আবু জায়েদ রাহীরও আজকের ফাইনালের একাদশে জায়গা হচ্ছে না। মুস্তাফিজুর রহমান ফিরছেন যে তার নিজের জায়গায়!

টুর্নামেন্টের আগের দুই মোকাবেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ মোটেও বাংলাদেশের কাছে পাত্তা পায়নি। হেরেছে যথাক্রমে ৮ ও ৫ উইকেটে। তবে দলগতভাবে ব্যর্থ হলেও উইন্ডিজ ওপেনার শেই হোপের ব্যাটে রানের ফল্গুধারা। চলতি টুর্নামেন্টেই দুটো সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। ৪ ম্যাচে তার রানই সর্বোচ্চ ৩৯৬। গড় ৯৯.০০! আর প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশের বোলিং ভীষণ পছন্দ করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ডানহাতি ওপেনার। বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ আট ইনিংসে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা তিনটি! শেই হোপকে দ্রুত ফেরাতে না পারলে বাংলাদেশের ফাইনালের ‘হোপে’ খামতি পড়বে।

তিনজাতি কোনো টুর্নামেন্টে ফাইনাল মানেই তো বাংলাদেশের নুয়ে পড়া। ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি মিলিয়ে বহুজাতিক টুর্নামেন্টে এর আগে ছয়টি ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। কোনোবারই ট্রফি জিততে পারেনি। হ্যাঁ, ভালো ক্রিকেট খেলে হৃদয় ঠিকই জিতেছে। কিন্তু ট্রফি জেতা হয়নি।

আজ না হয় হৃদয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতুক। ট্রফিটা মাশরাফি!

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম, সৌম্য, লিটন/সাকিব, মুশফিক, মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির, সাইফুদ্দিন/ মোসাদ্দেক, মেহেদি, মাশরাফি ও মুস্তাফিজ।

   

দিল্লিতে মার্শের বদলি আফগান অলরাউন্ডার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আইপিএল শেষ হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মিচেল মার্শের। তার বদলি হিসেবে আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবকে বেছে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।

নাইব আফগানিস্তানের অন্যতম অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। এখন পর্যন্ত ৮২ ওয়ানডে এবং ৬২ টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করারও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ৫০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যে তাকে দলে ভিড়িয়েছে দিল্লি।

গত জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেন নাইব। বেঙ্গালুরু এবং ইন্দোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচ দুটিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের দুটি ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার।

আইপিএলের চলতি আসরে শুরুটা ভালো না হলেও ধীরে ধীরে ফর্ম ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে দিল্লি। ৯ ম্যাচ থেকে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে উঠে এসেছে তারা।

;

১৬ বছর পর অনুশীলনে ফিরে রোমারিওর জোড়া গোল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৫৮ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে ফেরার ঘোষণা দেয়ার পর প্রথম অনুশীলন করলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোমারিও। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তার চেয়ে অনেক কমবয়সী খেলোয়াড়দের সঙ্গে পাল্ল দিয়ে অনুশীলন করে জোড়া গোলও করেছেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।

বুটজোড়া তুলে রাখার পর রাজনীতিতে যোগ দেন রোমারিও। রিও ডে জেনেইরোর ক্লাব আমেরিকার সভাপতির পদও সামলান। এবার সেই ক্লাবের হয়েই ফের পেশাদার ফুটবলে মাঠে নামবেন তিনি। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য, ছেলে রোমারিনিওর সঙ্গে খেলা।

অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রোমারিও বলেন, ‘আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার ছেলের সঙ্গে একই দলে খেলা। অনেক অ্যাথলেটদেরই এমন ইচ্ছে থাকে। যেমন লেব্রন জেমস আগামী বছর এনবিএ’তে তার ছেলের সঙ্গে খেলতে চায়। রিভালদোরও এই সুযোগ হয়েছিল। আমি তেমনটা করতে চাই।’

ফুটবল পায়ে কারিকুরি দেখানোর জন্য তো জগৎজোড়া খ্যাতি ছিলই রোমারিওর। এর বাইরে ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্যও তার পরিচিত আছে। তার শব্দবাণ থেকে নিস্তার ছিল না পেলে, জিকো, মারিও জাগালোদের। তবে এবার রোমারিও নিজেকেই নিশানা বানিয়ে বললেন, ‘আমি অনেক ক্লান্ত। আমি উঠানোর জন্য জলদিই স্ট্রেচার লাগবে। ১৬ বছর ধরে অনুশীলন করিনি, আজ একটু দৌড়েছি।’ তবে অতটুকুর মধ্যেই নিজের জাত চিনিয়ে দুইবার পেয়েছেন জালের দেখা।

আগামী ১৮ মে মৌসুমের প্রথম লিগ ম্যাচ খেলবে রোমারিওর ক্লাব আমেরিকা। সব ম্যাচ যে তার খেলা হবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রোমারিও, ‘আমি পুরো টুর্নামেন্ট খেলব না। কিছু ম্যাচে কয়েক মিনিট খেলব।’

;

ছয় ম্যাচ পর জয়ে ঘুম ভালো হওয়ার স্বস্তি ডু প্লেসির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হারের বৃত্তে আটকে গিয়েছিল। গত ২৫ মার্চ পাঞ্জাব কিংসকে হারানোর পর টানা ছয় ম্যাচ হেরে বসেছিল তারা। ঠিক এক মাস পর আবারও জয়ের দেখা পেয়েছে বেঙ্গালুরু। উড়তে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে দলটি। দীর্ঘ সময় পর জয় পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি।

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীতে ডু প্লেসি কণ্ঠে ঝরেছে স্বস্তি, ‘বড় স্বস্তি পেলাম। আপনি যে অবস্থানেই থাকেন না কেন, জয় না পেলে তা আপনার মানসিকতায়, আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। আজকে (গতকাল) রাতে একটু ভালো ঘুম হবে।’

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর গল্পটা তীরে এসে তরী ডোবার। হায়দরাবাদের বিপক্ষে আগের ম্যাচটাইতেই যেমন ২৮৮ রান তাড়া করতে গিয়ে ২৫ রান দূরে থামতে হয় তাদের। কলকাতার বিপক্ষে হারটা তো আরও হৃদয়বিদারক, ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল কোহলিদের।

অবশেষে হায়দরাবাদের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু কাঙ্ক্ষিত সে জয়ের দেখা। এই জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে বলে মনে করেন ডু প্লেসি, ‘আপনি শুধু কথা দিয়ে কাউকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলে পারবে না, ভুয়া আত্মবিশ্বাসও তৈরি করা সম্ভব না। শুধুমাত্র পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।’

এই জয়ের পর অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে বেঙ্গালুরুর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১০ দলের লিগে এখনো তলানিতেই তাদের অবস্থান। নামের পাশে যদিও পয়েন্ট দুই থেকে বেড়ে চার হয়েছে।

;

টানা দুই হারে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কায় পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা দারুণ ছন্দে শুরু করেছিল পাকিস্তান প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় কিউইদের বিপক্ষে। কিন্তু পরের দুই ম্যাচ জিতে এখন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৪ রানে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্ল্যাকক্যাপসরা।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ওপেনার টিম রবিনসনের ঝোড়ো ফিফটিতে শুরুটা দুর্দান্ত হয় সফরকারীদের। ৩৬ বলে ৫১ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন তিনে নামা ডিন ফক্সক্রফট। তাতে ২০ ওভারে কিউইদের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৭৮।

৩ ওভার বল করে পাকিস্তানের পক্ষে ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি।

জবাব দিতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা হয় নড়বড়ে। দ্বিতীয় ওভারে স্রেফ ৫ রানে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম। সাইম আইয়ুব, উসমান খান, ইফিতিখার আহমেদরা সেট হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দেন। পাকিস্তানের আশার ভেলা ভাসিয়ে রাখেন চারে নামা ফখর জামান। ৪৫ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৬১ রান করেন এই ব্যাটার।

শেষদিকে ইমাদ ওয়াসিম ১১ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে পাকিস্তানকে জয়ের হাতছোঁয়া দূরত্বে নিয়ে গেলেও শেষ ধাপ পার করাতে ব্যর্থ হন। লক্ষ্য থেকে চার রান দূরেই থামতে হয় পাকিস্তানকে। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৪ রান তুলতে সমর্থ হয় তারা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সামনে যেখানে থাকছে সিরিজ জয়ের সুযোগ, পাকিস্তানের জন্য সেটা সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ।

;