ইংল্যান্ড ৩৮৬, জিততে হলে বিশ্বরেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে
ইংল্যান্ডের ইনিংস বড়ো যে হচ্ছে সেটা বোঝা গিয়েছিলো শুরুর পাওয়ার প্লেতেই। সেই হিসেবই ঠিকই মিলিয়ে দিলো ইংল্যান্ড। কার্ডিফে বাংলাদেশের বিপক্ষে তুললো ৩৮৬ রানের বিশাল সংগ্রহ। ইনিংসের শুরুর চার ওভারেই ইংল্যান্ড শুধু যা একটু স্থিরতা দেখায়। বাকি সময়টা বাংলাদেশের কাটে বল কুড়াতেই!
ইংল্যান্ডের ৩৮৬ রান চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ স্কোর। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেে সর্বোচ্চ রানের স্কোরটাও ইংল্যান্ডের। নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজে গড়া ৩৯১ রানের সেই স্কোর ইংল্যান্ড ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। তবে কার্ডিফের লড়াইয়ে হিসেব-নিকেষ চুকিয়ে দিয়েছে তারা ৩৮৬ রানের এই স্কোর গড়েই। এতো বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপের ইতিহাসে এতো বেশি রান তাড়া করে আজো জেতেনি কোনো দল। অতত্রব জিততে হলো রান তাড়ার নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে।
শুরুতে জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো, মাঝে জস বাটলার এবং শেষের দিকে লিয়াম প্লাঙ্কেট ও ক্রিস ওকসের ব্যাটিং ঝড়ে ইংল্যান্ড ম্যাচ জেতার সঞ্চয় নিয়ে ইনিংস শেষ করলো। জেসন রয় করলেন ৫ ছক্কা ১৪ বাউন্ডারিতে ১২১ বলে ১৫৩ রান। বেয়ারস্টো ৫০ বলে ৫১। জস বাটলার ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পেয়ে ৪ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে ৪৪ বলে ৬৪ রানের ব্যাটিং আনন্দ নিয়ে ফিরলেন। মরগানও বলের চেয়ে রান বেশি করলেন।
শেষের তিন ওভারে ক্রিস ওকস ও লিয়াম প্লাঙ্কেট টি-টুয়েন্টি স্টাইলে ব্যাট চালালেন। ওকস করলেন ৮ বলে অপরাজিত ১৮। প্লাঙ্কেট আরো দুর্ধর্ষ; ৯ বলে হার না মানা ২৭ রান।
বাংলাদেশের সব বোলারের নাম এই ম্যাচের খরুচে খাতায়। সাকিব আল হাসান ১০ ওভারে গুনলেন ৭১ রান। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ব্যয় করলেন ৬৮ রানে ১ উইকেট। সাইফুদ্দিন ২ উইকেট পেলেন, ব্যয় করলেন ৭৮ রান। মুস্তাফিজও বিপুল রান দিলেন; ৯ ওভারে ৭৫। মেহেদি মিরাজ শুরুর স্পেল ভালো করেছিলেন, কিন্তু শেষে এসে এলোমেলো; ১০ ওভারে ৬৭ রানে ২ উইকেট। আর মোসাদ্দেক ২ ওভারে ২৪ রানের খরচা গোনার পর অধিনায়ক তাকে আর বোলিংয়েই ডাকার সাহসই পেলেন না!
কার্ডিফের এই ম্যাচের সব কাব্য-কাহিনী লিখলো ইংল্যান্ডের ব্যাটিং!
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ইংল্যান্ড-৩৮৬/৬ (৫০ ওভারে, ১৫৩, বেয়ারস্টো ৫১, রুট ২১, বাটলার ৬৪, মরগান ৩৫, স্টোকস ৬, ওকস ১৮*, প্লাঙ্কেট ২৭*, সাকিব ০/৭১, মাশরাফি ১/৬৮, সাইফুদ্দিন ২/৭৮, মুস্তাফিজ ১/৭৫, মিরাজ ২/৬৭, মোসাদ্দেক ০/২৪)