বাংলাদেশ জিতল ‘লড়াই’, অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ!



এম.এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম, নটিংহ্যামশায়ার, ইংল্যান্ড থেকে
মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ আশা জাগালেও শেষরক্ষা হয়নি

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ আশা জাগালেও শেষরক্ষা হয়নি

  • Font increase
  • Font Decrease

৪৮ রানে হারা ম্যাচে প্রতিযোগিতা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। জিততে পারতো বাংলাদেশও-এমন কিছু বললে অনেকেই হয়তো অবিশ্বাসের চোখে তাকাবেন! কিন্তু স্কোরকার্ড দেখে নয়, যারা এই ম্যাচ দেখেছে তারা নিশ্চিত জানেন ৩৮১ রানের পিছু ধাওয়া করতে নেমে এই ম্যাচে বাংলাদেশেরও সম্ভাবনা ছিল।

আসলে অস্ট্রেলিয়া শুধু এই ম্যাচ জিতল অংকের খাতায়। বাংলাদেশ যা জিতল তার নাম-লড়াই। তার নাম-সাহস! অস্ট্রেলিয়ার ৩৮১ রানের জবাবে বাংলাদেশ তুলল ৮ উইকেটে ৩৩৩।

বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি আনন্দ উদযাপন হয়তো মুশফিক করতে পারলেন না। তবে তার এই সেঞ্চুরি এবং গোটা ম্যাচে বাংলাদেশের সম্মিলিত ব্যাটিং আরেকবার জানিয়ে দিলো-এই বাংলাদেশ ক্রমশই বিস্মিত করছে ক্রিকেট বিশ্বকে!

অস্ট্রেলিয়ার হৃদকম্প এতদূর থেকেও ঠিক শোনা যাচ্ছিলো! ৩৮১ রান তুলেও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের টেনশন এবং সাদা চেহারা আরও ‘সাদা’ হয়ে যাওয়া ঠিকই টের পাওয়া গেলো! মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিং নড়িয়ে দিলো অস্ট্রেলিয়ার ভিত। এবং সত্যিকার অর্থে বললে ম্যাচের একসময় অজিরা ঠিকই ‘ভীত’ হয়ে পড়েছিলো হারের ভয়ে!

হ্যাঁ স্কোরবোর্ডে ৩৮১ রান জমা করেও!

যে ক্ল্যাসিক কায়দায় মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ রান তাড়া করছিলেন পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের সেই জুটিই অস্ট্রেলিয়ার শিরদাঁড়ায় ভয়ের একটা স্রোত বইয়ে দেয়; হারের!

এই ম্যাচের শেষভাগ পুরোপুরি টি-টুয়েন্টি মেজাজের হয়ে দাঁড়ায়। ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের শেষ ৩৬ বলে চাই ৯৩ রান। তখনো অনেক বড় টার্গেট। কিন্তু ম্যাচের আগের দিন বলা মাশরাফির সেই কথাটা যে এই বাংলাদেশ দলের সব ক্রিকেটারদের অন্তরের বিশ্বাস-‘কাজটা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়; লড়বে বাংলাদেশ।’

সত্যিকার অর্থেই লড়ল বাংলাদেশ।

অস্ট্রেলিয়ার ৩৮১ রানের পিছু তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। ২৩ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। রান আউট হয়ে ফিরেন সৌম্য সরকার। তামিম ও সাকিব দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠছিলেন। দুজনে বেশ চমৎকার কায়দায় দলের ইনিংসকে সামনে বাড়াচ্ছিলেন। সাকিব টুর্নামেন্টে আরেকটি হাফসেঞ্চুরির কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্টয়নিসের একটি স্লোয়ার বুঝতে না পেরে ব্যাটের কানায় বল লাগিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। ৪১ বলে ৪১ রান করে ফেরেন সাকিব। চলতি বিশ্বকাপের পাঁচ ম্যাচে এই প্রথম সাকিব অন্তত হাফসেঞ্চুরি নিচে আউট হলেন।

তামিম ইকবাল অবশ্য চলতি টুর্নামেন্টে নিজের হাফসেঞ্চুরি পেলেন। কিন্তু ইনিংসটা ৬২ রানের চেয়ে বেশি বড়ো করতে পারলেন না। পাঁচে ব্যাট করতে নামা লিটন দাসকে বাউন্সার দিয়েই স্বাগত জানালো অস্ট্রেলিয়া!

মিচেল স্টার্ক প্রথম বলটাই শর্ট দিলেন। বাউন্সার! লিটন মাথা নিচু করে সেই বাউন্সার এড়ানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু সফল হলেন না। বল সোজা গিয়ে লাগলো তার হেলমেটে। বলের ধাক্কায় লিটন তাল সামাল দিতে পারলেও হেলমেট খুলে ফেলেন। বলের ধাক্কাটা লাগে তার হেলমেটের একপাশে। মাথা ঝাঁকুনি দিতে থাকেন লিটন। কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা- সেটা জানার জন্য সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক মাঠে ছুটেন। বারকয়েক লিটনকে পরীক্ষা করে চিকিৎসক যখন দেখলেন কোনো সমস্যা হয়নি। তখন আবার খেলা শুরু করেন আম্পায়াররা। তবে স্টার্কের বাউন্সারে ক্ষতিগ্রস্ত হেলমেটটা বদলে ফেলেন লিটন।

আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা লিটন দাসকে এই ম্যাচে ভালোই হোমওয়ার্ক করে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। লিটন ব্যাট হাতে পাল্টা হামলা চালাতে পছন্দ করেন সেটা জেনে গেছে অস্ট্রেলিয়া। তাই শুরুতেই লিটনের আত্মবিশ্বাস যাতে নড়িয়ে দেয়া যায় সেজন্যই স্টার্ক তাকে প্রথম বলেই বাউন্সার দেন।

পরের ওভারেই অন্যপ্রান্ত থেকে প্যাট কামিন্সকেও আক্রমণে আনেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। দু’প্রান্ত থেকে নিজের দলের সেরা ফাস্ট বোলারকে বাংলাদেশের ইনিংসের মাঝপথে আক্রমণে আনার উদ্দেশ্যই হলো গতির চোটে বাংলাদেশকে সঙ্কটে ফেলা।

লিটন দাস তিন বাউন্ডারিতে এই ম্যাচেও শুরুটা ভালোই করেছিলেন। কিন্তু স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার বলে এলবি হলেন ২০ রান তুলে। মুশফিকের সঙ্গে এসে জুটি বাঁধলেন মাহমুদউল্লাহ। এই দুজনের ব্যাটে যা মিললো তার নাম-সাহস! তার নাম- জেতার জেদ! অসম্ভব সুন্দর ব্যাটিং করেন দুজনে বাংলাদেশকে রানকে যেভাবে সামনে বাড়ালেন তাতে অস্ট্রেলিয়ার ৩৮১ রানের স্কোরকে খুব দুরের পথ মনে হচ্ছিলো না!

দুজনেই দলের ব্যাটিংকে ম্যাচের একদম গভীর পর্যন্ত নিয়ে যাবার পরিকল্পনা করলেন। দারুণভাবে তাতে সফলও হলেন। রক্ষণের সঙ্গে আক্রমণের মিশেল-ক্লাসিক ভঙ্গির এই ব্যাটিংয়ে জুটিতে যোগ হলো ১২৭ রান। তাও আবার মাত্র ১৬.১ ওভারে! মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫০ বলে ৬৯ রান করে।

শেষের টি-টুয়েন্টির আদলে সাব্বির রহমানের জন্য মঞ্চ তৈরি তখন। চাই ২৭ বলে ৮০ রান। কিন্তু সাব্বির রহমান যে এই মহাগুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রথম বলেই আউট! দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে কোল্টার-নাইল মূলত ওখানেই অস্ট্রেলিয়ার জয়টা নিশ্চিত করে দিলেন।

আগের দিন লড়াইয়ের কথা বলা মোসাফির আরেকটি কথা মনে পড়লো এদিন ম্যাচ শেষে-‘৩৩০/৩৪০ রান তাড়া করা যায়, কিন্তু প্রতিপক্ষের স্কোর ৩৭০/৩৮০ হয়ে গেলে সেটা তখন...।’

অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে তো সেটাই হলো!

   

অবসর ভেঙে বাংলাদেশের বিপক্ষে লঙ্কান টেস্ট দলে হাসারাঙ্গা 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

গত বছরের আগস্টে হঠাতই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেন লঙ্কান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা। যদিও ততদিনে স্রেফ ৪টি টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। যার সবশেষটা ২০২১ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেখান থেকে প্রায় তিন বছর পর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন হাসারাঙ্গা। এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই শুরু করতে যাচ্ছেন লাল বলের ক্রিকেটে নতুন এক যাত্রা। 

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে হাসারাঙ্গার পরিসংখ্যান চোখে পড়ার মতো হলেও টেস্টটা পুরোদস্তুর ম্যাড়মেড়ে। ৪টি নিয়েছেন কেবল ৪টি উইকেট এবং ব্যাট হাতে করেছেন ১৯৬ রান। সেখান থেকে যেন নতুন উদ্যমে নিজেকে নয়ে যেতে নতুন এক সিদ্ধান্ত নিলেন এই লঙ্কান তারকা। 

বাংলাদেশ সফরে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ শেষে লঙ্কানদের লড়াই এবার টেস্টে। সেটিকে মাথায় রেখে হাসারাঙ্গা নিয়েই ১৭ সদস্যের টেস্ট দল ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। 

ধনঞ্জয়া ডি সিলভার নেতৃত্বাধীন এই দলের বোলিং থাকছে স্পিন নির্ভর। সেখানে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন নিশান পেরিস। এছাড়াও স্পিন তালিকায় আরও তিন নাম প্রবাথ জয়সুরিয়া, রমেশ মেন্ডিস ও কামিন্দু মেন্ডিস। 

সিলেটে আগামী ২২ মার্চ শুরু হবে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টই শুরু হবে ৩০ মার্চ।

বাংলাদেশ বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার টেস্ট দল: 

ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (অধিনায়ক), কুশল মেন্ডিস, দিমুথ করুণারত্নে, নিশান মাদুশকা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দিনেশ চান্দিমাল, সাদিরা সামারাবিক্রমা, কামিন্দু মেন্ডিস, লাহিরু উদারা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, প্রবাথ জয়সুরিয়া, রমেশ মেন্ডিস, নিশান পেরিস, কাসুন রাজিথা, বিশ্ব ফের্নান্দো, লাহিরু কুমারা, চামিকা গুনাসেকারা।

;

রিশাদের তাণ্ডবীয় ইনিংস নিয়ে যা বললেন শান্ত 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

রিশাদের বিশাল বিশাল শটে; মুশফিকের মাথায় হাত। মুশফিক নিজেও অবাক। যেখানে রিশাদকে সঙ্গে নিয়ে মুশফিক দলকে জয়ের দিকে যাওয়ার কথা; সেখানে রিশাদই মুশফিককে পার্শ্বনায়ক বানিয়ে নিজেই বনে গেলেন মহানায়কের। 

সাগরিকায় চালিয়েছেন তাণ্ডব। যেখানে হারের শঙ্কা উঁকি দিচ্ছিলো সেখানে নেমেই হাসারাঙ্গার ৫ বলে ১৬। ম্যাচ তখনও পেন্ডুলামের মতো ঝুলছিলো। সেখানেই হাসারাঙ্গার এক ওভারে দুই ছয় আর তিন চারে ২৪। সবমিলিয়ে আনবিটেন ৪৮। 

৫ চার আর ৪ ছক্কায় রান ১৭ বলে ৪৮৷ সুযোগ ছিলো ওডিআইতে বাংলাদেশের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ভাঙার। কিন্তু একটা বল ডট আর পরে মুশফিকের অপ্রত্যাশিত চার। তবে সবচাইতে বড় ব্যাপার বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন ম্যাচ এবং সিরিজ। সেই সঙ্গে হয়েছেন ম্যাচসেরা। 

রিশাদের এমন ব্যাটিংয়ের পরও ক্যাপ্টেন শান্ত মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ব্যাটার রিশাদের এখনও শেখার আছে অনেক কিছু। রিশাদের কাছে বার্তাই বা কী ছিলো? 

রিশাদের ব্যাটিংয়ের আগে বোলিংটা প্রথমে এনে শান্ত বলেন, ‘প্রথমে তো বোলিংটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লেগ স্পিনার আমাদের নাই, ওর (রিশাদ) যদি শেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে দেখা হয় আমার মনে হয় ভালো বোলিং করছে। সাথে ব্যাটিংটা নিউজিল্যান্ড সিরিজে যেরকম ছিল সেখান থেকে আরও উন্নতি করেছে মনে হয়। তবুও অনেক উন্নতির জায়গা আছে। ওটা নিয়ে কাজও করছে। অবশ্যই অনেক খুশি। এরকম প্লেয়ার দলে থাকলে তো অবশ্যই ক্যাপ্টেনের জন্য অনেক সহজ হয়।’ 

এমন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের আগে রিশাদকে কোনো প্ল্যান দেওয়া হয়নি জানিয়ে শান্ত আরও বলেন, ‘মিরাজের আউটের পর তো অবশ্যই ডাগআউট একটু চিন্তিত ছিল। কিন্তু রিশাদকে তেমন কোনো প্ল্যান দেওয়া হয় নাই ওকে বলা হয়েছিল ওর যেভাবে মন চায় সেভাবে যেন ব্যাট করে। স্বাভাবিক যে গেম আছে অইটা যেন চালিয়ে যায়।’ 

এর আগে সিলেটে লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে দুই উইকেটের পাশাপাশি ৩০ বলে ৫৩। যেখানে ছিলো সাতটা ছক্কা। যেটা বাংলাদেশের রেকর্ডও। ব্যাটার রিশাদ যেনো নতুন আশা জাগাচ্ছেন।

;

টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাইম ভলিবল লিগ ছাড়া টিভির পর্দায় আজ (মঙ্গলবার) সরাসরি কোনো খেলা নেই।

ভলিবল

প্রাইম লিগ

সন্ধ্যা ৭টা, সনি স্পোর্টস টেন ১

 

আইপিএল

গেম প্ল্যান

বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট, স্টার স্পোর্টস ১

 

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

ক্ল্যাসিক ম্যাচ

রাত ৯টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

;

রোমাঞ্চকর দিনে মুমিনুলদের তিনে তিন, মোহামেডানের হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে রোমাঞ্চকর ক্রিকেটের দেখা মিলল আজ। ব্যাটাররা রানের ফুলঝুরি ছোটাতে না পারলেও বোলাররা দাপট দেখিয়েছেন। তাতে ম্যাচগুলো লো স্কোরিং হলেও জমে উঠেছিল। এমন দিনে টানা দুই জয়ের পর গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে ৩ রানে হেরে গেছে মোহামেডান। এদিকে ‘রূপগঞ্জ ডার্বি’তে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ১ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। দিনের অন্য ম্যাচে পারটেক্সের কাছে ৫২ রানে হেরে বসেছে গাজী টায়ার্স।

বোলারদের দাপটের দিনে ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে গাজী গ্রুপকে ব্যাটিং আমন্ত্রণ জানায় মোহামেডান। নাঈম হাসান-আবু হায়দার রনির বোলিং তোপে ৪৭.৪ ওভারে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় গাজী গ্রুপ। সর্বোচ্চ ৭১ রান আসে গাজীর ওপেনার আনিসুল ইসলামের ব্যাটে।

মোহামেডানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান স্পিনার নাঈম। দুটি করে উইকেট যায় রনি এবং মুশফিক হাসানের ঝুলিতে।

জবাব দিতে নেমে মোহামেডানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৯৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলার পরও জয়বঞ্চিত হয় সাদাকালোরা। দলের অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি দলটি।

গাজী গ্রুপের পক্ষে ৩২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন পেসার রুয়েল মিয়া।

;