যুবরাজের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছেন সাকিব



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
যুবরাজের মতোই ব্যাটে-বলে দাপট দেখাচ্ছেন সাকিব

যুবরাজের মতোই ব্যাটে-বলে দাপট দেখাচ্ছেন সাকিব

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ ইনিংসে ব্যাট হাতে খেললেন- ৭৫, ৬৪, ১২১, ১২৪*, ৪১ ও ৫১ রানের ইনিংস। আর বল হাতে নিয়েছেন মোট ১০ উইকেট। সন্দেহ নেই সাকিব আল হাসান এবারের বিশ্বকাপে এখন অব্দি সেরা ক্রিকেটার। প্রায় প্রতি ম্যাচেই মাঠে নেমে গড়ছেন বিরল রেকর্ড। এই যেমন সোমবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে দাপটের পর অনন্য উচ্চতায় পা রেখেছেন এই অলরাউন্ডার।

বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে হাজার রান ও ৩০ উইকেটের মাইলফলকে পা রাখা প্রথম খেলােয়াড় সাকিব। তার দাপুটে পারফরম্যান্স ফিরিয়ে এনেছে ২০১১ বিশ্বকাপের স্মৃতি। যেখানে এভাবেই চমক দেখিয়েছিলেন যুবরাজ সিং।

বাংলাদেশ যে তিন ম্যাচ জিতেছে, প্রতিটিতেই সাকিব ম্যাচসেরা। ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে থাকা এই ক্রিকেটাররের ব্যাট-বলে ঝড় দেখে মুগ্ধ বিশ্লেষকরা। ২০১১ বিশ্বকাপ এমন পারফম্যান্সে ভারতকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন যুবি। টুর্নামেন্ট-সেরা এই তারকা ব্যাট হাতে করেন ৩৬২ রান। আর বল হাতে নেন ১৫ উইকেট।

আফগানদের বিপক্ষে হাফ-সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট শিকার করে যুবিকে ছুঁয়ে ফেললেন সাকিব। ২০১১ বিশ্বকাপে এভাবেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংসের সঙ্গে তিনি নেন ৫ উইকেট। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ফিফটির সঙ্গে ৫ উইকেট জেতার রেকর্ডটা এবার স্পর্শ করলেন সাকিব।

সাকিবের এমন পারফরম্যান্সে চলছে বন্দনা। সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন জহির খানও। ভারতীয় সাবেক এই তারকাই ফিরিয়ে তুলনাটা করলেন যুবির সঙ্গে। বলেন, ‘টুর্নামেন্টে সাকিব মনে হচ্ছে যুবরাজ সিংয়ের মতো খেলে যাচ্ছে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে যুবরাজ প্রতি ম্যাচেই ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়েছে। বাংলাদেশের হয়ে সাকিব এমনটাই করছে। ও প্রতি ম্যাচেই ভালো খেলছে। নিজেকেই যেন একটু একটু করে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।’

সবকিছু ঠিক থাকলে সাকিবের হাতেই হয়তো বিশ্বকাপের ‘প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্ট’ ট্রফি উঠতে পারে। যদিওসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার চালুর পর একটি অলিখিত নিয়মও আছে। যেটি হলো ন্যূনতম সেমি-ফাইনাল খেলেছে এমন দলের পারফরমারই জেতেন সেরা ট্রফি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সেমিতে উঠার সম্ভাবনা আছে। সেটি না হলেও সাকিবকে সেরা ঘোষণা করলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না!

এবারের বিশ্বকাপে বাকী দুই ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ভারত ও পাকিস্তান। সেই ম্যাচ দুটিতে ভাল খেলে রান ও উইকেটসংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকবে সাকিবের সামনে!

   

রিশাদের তাণ্ডবীয় ইনিংস নিয়ে যা বললেন শান্ত 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

রিশাদের বিশাল বিশাল শটে; মুশফিকের মাথায় হাত। মুশফিক নিজেও অবাক। যেখানে রিশাদকে সঙ্গে নিয়ে মুশফিক দলকে জয়ের দিকে যাওয়ার কথা; সেখানে রিশাদই মুশফিককে পার্শ্বনায়ক বানিয়ে নিজেই বনে গেলেন মহানায়কের। 

সাগরিকায় চালিয়েছেন তাণ্ডব। যেখানে হারের শঙ্কা উঁকি দিচ্ছিলো সেখানে নেমেই হাসারাঙ্গার ৫ বলে ১৬। ম্যাচ তখনও পেন্ডুলামের মতো ঝুলছিলো। সেখানেই হাসারাঙ্গার এক ওভারে দুই ছয় আর তিন চারে ২৪। সবমিলিয়ে আনবিটেন ৪৮। 

৫ চার আর ৪ ছক্কায় রান ১৭ বলে ৪৮৷ সুযোগ ছিলো ওডিআইতে বাংলাদেশের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ভাঙার। কিন্তু একটা বল ডট আর পরে মুশফিকের অপ্রত্যাশিত চার। তবে সবচাইতে বড় ব্যাপার বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন ম্যাচ এবং সিরিজ। সেই সঙ্গে হয়েছেন ম্যাচসেরা। 

রিশাদের এমন ব্যাটিংয়ের পরও ক্যাপ্টেন শান্ত মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ব্যাটার রিশাদের এখনও শেখার আছে অনেক কিছু। রিশাদের কাছে বার্তাই বা কী ছিলো? 

রিশাদের ব্যাটিংয়ের আগে বোলিংটা প্রথমে এনে শান্ত বলেন, ‘প্রথমে তো বোলিংটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লেগ স্পিনার আমাদের নাই, ওর (রিশাদ) যদি শেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে দেখা হয় আমার মনে হয় ভালো বোলিং করছে। সাথে ব্যাটিংটা নিউজিল্যান্ড সিরিজে যেরকম ছিল সেখান থেকে আরও উন্নতি করেছে মনে হয়। তবুও অনেক উন্নতির জায়গা আছে। ওটা নিয়ে কাজও করছে। অবশ্যই অনেক খুশি। এরকম প্লেয়ার দলে থাকলে তো অবশ্যই ক্যাপ্টেনের জন্য অনেক সহজ হয়।’ 

এমন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের আগে রিশাদকে কোনো প্ল্যান দেওয়া হয়নি জানিয়ে শান্ত আরও বলেন, ‘মিরাজের আউটের পর তো অবশ্যই ডাগআউট একটু চিন্তিত ছিল। কিন্তু রিশাদকে তেমন কোনো প্ল্যান দেওয়া হয় নাই ওকে বলা হয়েছিল ওর যেভাবে মন চায় সেভাবে যেন ব্যাট করে। স্বাভাবিক যে গেম আছে অইটা যেন চালিয়ে যায়।’ 

এর আগে সিলেটে লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে দুই উইকেটের পাশাপাশি ৩০ বলে ৫৩। যেখানে ছিলো সাতটা ছক্কা। যেটা বাংলাদেশের রেকর্ডও। ব্যাটার রিশাদ যেনো নতুন আশা জাগাচ্ছেন।

;

টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাইম ভলিবল লিগ ছাড়া টিভির পর্দায় আজ (মঙ্গলবার) সরাসরি কোনো খেলা নেই।

ভলিবল

প্রাইম লিগ

সন্ধ্যা ৭টা, সনি স্পোর্টস টেন ১

 

আইপিএল

গেম প্ল্যান

বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট, স্টার স্পোর্টস ১

 

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

ক্ল্যাসিক ম্যাচ

রাত ৯টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

;

রোমাঞ্চকর দিনে মুমিনুলদের তিনে তিন, মোহামেডানের হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে রোমাঞ্চকর ক্রিকেটের দেখা মিলল আজ। ব্যাটাররা রানের ফুলঝুরি ছোটাতে না পারলেও বোলাররা দাপট দেখিয়েছেন। তাতে ম্যাচগুলো লো স্কোরিং হলেও জমে উঠেছিল। এমন দিনে টানা দুই জয়ের পর গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে ৩ রানে হেরে গেছে মোহামেডান। এদিকে ‘রূপগঞ্জ ডার্বি’তে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ১ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। দিনের অন্য ম্যাচে পারটেক্সের কাছে ৫২ রানে হেরে বসেছে গাজী টায়ার্স।

বোলারদের দাপটের দিনে ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে গাজী গ্রুপকে ব্যাটিং আমন্ত্রণ জানায় মোহামেডান। নাঈম হাসান-আবু হায়দার রনির বোলিং তোপে ৪৭.৪ ওভারে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় গাজী গ্রুপ। সর্বোচ্চ ৭১ রান আসে গাজীর ওপেনার আনিসুল ইসলামের ব্যাটে।

মোহামেডানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান স্পিনার নাঈম। দুটি করে উইকেট যায় রনি এবং মুশফিক হাসানের ঝুলিতে।

জবাব দিতে নেমে মোহামেডানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৯৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলার পরও জয়বঞ্চিত হয় সাদাকালোরা। দলের অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি দলটি।

গাজী গ্রুপের পক্ষে ৩২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন পেসার রুয়েল মিয়া।

;

অ্যাজাক্সের কাছে হার আজাদের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগে জয় পেয়েছে অ্যাজাক্স স্পোর্টিং ক্লাব। আজ সোমবার, (১৮ মার্চ) মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম খেলায় আজাদ স্পোর্টিংকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে হারায় অ্যাজাক্স। জয়ী দলের ভারতীয় রিক্রট সিলহেইবা লিশাম জোড়া গোল করেন। এছাড়া অ্যাজাক্সের সুব্রত পাল ও দলটির আরেক ভারতীয় দীপক একটি করে গোল করেন। আজাদ এসসির পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন খোরশেদ।

ম্যাচের শুরু থেকেই আজাদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে অ্যাজাক্স। একের পর এক আক্রমণ চলতে থাকে সমানে। খেলার ষষ্ঠ মিনিটে সিলহেইবার ফিল্ড গোলে এগিয়ে যায় অ্যাজাক্স (১-০)। প্রথম কোয়ার্টারে গোলের সুযোগ পায় আজাদও। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হিটে গোলবঞ্চিত থাকে দলটি।

দ্বিতীয় কোয়ার্টারের ২১ মিনিটে আবারো গোলের আনন্দ অ্যাজাক্সের। সুব্রত পালের দর্শনীয় ফিল্ড গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দলটি (২-০)। তৃতীয় কোয়ার্টারের শুরুতে আজাদের জালে আবারো গোল অ্যাজাক্সের। ৩৪ মিনিটে দীপকের ফিল্ড গোলে ব্যবধান ৩-০ তে বাড়িয়ে নেয় দলটি। খেলার ৩৭ মিনিটে খোরশেদের ফিল্ড গোলে ব্যবধান ৩-১ এ নামিয়ে আনে আজাদ। মিনিট চারেক পর আবারো আজাদের জালে গোল। সিলহেইবার নিজের জোড়া গোলের পাশাপাশি অ্যাজাক্সকে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে নেন। 

খেলার চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টারে দু'দল বেশ কয়েকটা গোলের সুযোগ নষ্ট করে। এর মধ্যে পেনাল্টি কর্নারও ছিল।

;