প্রশংসা বন্যায় ভাসছেন স্টেইন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেই ফেললেন ডেল স্টেইন

টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেই ফেললেন ডেল স্টেইন

  • Font increase
  • Font Decrease

টেস্ট ক্রিকেটে আর উঠবে না ডেল স্টেইন ঝড়। লাল বলের ক্রিকেটে প্রোটিয়া স্টেইন ‘গানের’ গোলায় আর নাস্তানাবুদ হতে হবে না প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের। কেননা ক্রিকেটের দীর্ঘতম সংস্করণকে না বলে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান এ বর্ষীয়ান পেসার। টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় বেলায় টুইটারে সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারদের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাঞ্জলিতে সিক্ত হলেন এ গ্রেট বোলার।

ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি শুভেচ্ছা আর প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিডস্টার ডেল স্টেইনকে। ব্যাট-বলের দুই তারকার দ্বৈরথ বহু পুরনো। মাঠের লড়াইয়ের সেই শত্রুতা ভুলে ছোট্ট এক টুইট বার্তায় কোহলি লিখেন, ‘ক্রিকেটের সত্যিকারের একজন চ্যাম্পিয়ন। পেস মেশিন ডেল স্টেইনের অবসর জীবন শুভ হোক।’ অবশ্য আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে কোহলির নেতৃত্বেও খেলেছেন স্টেইন।

অধিনায়কের সঙ্গে স্টেইনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।নিজেদের অফিসিয়্যাল টুইটার পেজে বোর্ড লিখেছে, ‘৯৩ ম্যাচে ৪৩৯ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে আজ অবসরে চলে গেল প্রোটিয়া স্পিডস্টার। সাদা পোশাকে তোমার সঙ্গে লড়াইটা আমরা দারুণ উপভোগ করেছি। ভাল থেকো।# ডেল স্টেইন।’

দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে সফল টেস্ট বোলারের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস লিখেন, ‘নিজের প্রজন্মের গ্রেটেস্ট বোলার ডেল স্টেইন। পরিসংখ্যান কখনো ভুল বলে না। ডেল স্টেইনের টেস্ট পরিসংখ্যানই সেরা। আমি জানি বন্ধু তোমার কাছে টেস্ট ক্রিকেটের মানেটা কী। আরো অর্জনের জন্য কতটা মরিয়া তুমি। প্রত্যাশা করি এমন আরো অনেক অ্যাকশন দেখতে পাব।’

এবি ডি ভিলিয়ার্সের দৃষ্টিতে স্টেইনই সেরা, ‘অনেক স্মৃতি আছে উল্লেখ করার মতো। অনেক বছর আগে আমরা এক সঙ্গে যাত্রা শুরু করে ছিলাম। ডেল স্টেইনের নিজের যুগের সেরা বোলার বনে যাওয়া সামনে থেকে উপভোগ করাকে সব সময় অগ্রাধিকার দিয়েছি। তুমিই গ্রেটেস্ট। একজন সেরা বোলার।’

ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা লিখেছে, ‘আধুনিক যুগের অন্যতম গ্রেট ফাস্ট বোলার ডেল স্টেইন টেস্ট ক্যারিয়ারে পর্দা টেনে দিয়েছেন।’

হার্শেল গিবসের কাছে স্টেইন মানেই স্পেশাল কেউ, ‘কী দারুণ একজন অ্যাথলিট, বোলার এবং সর্বোপরি ক্ষিপ্রগতির মানুষ ডেল স্টেইন। তোমার প্রথম টেস্ট ম্যাচ থেকেই বুঝেছি তুমি বিশেষ কেউ। অভিনন্দন।’

স্টেইনকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুলেননি ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার, ‘ভবিষ্যতের জন্য ডেল স্টেইনকে শুভকামনা। তুমি সবসময় ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছ। তাদের সেরা পারফরম্যান্সকে মাটিয়ে নামিয়ে এনেছ। তোমার বোলিং পারফরম্যান্স উপভোগ করার মতো। এবং একই সঙ্গে তোমার বিপক্ষে খেলাটাও।’

অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট স্পিনার শেন ওয়ার্নও অভিনন্দন জানিয়েছেন স্টেইনকে, ‘চমৎকার ক্যারিয়ারের জন্য বন্ধু তোমাকে অভিনন্দন। আমাদের সবাইকে তুমি বিনোদন দিয়েছ। সাবাশ! ডেল স্টেইন। তোমাকে ছাড়া ক্রিকেটটা ম্লান।’

কেভিন পিটারসেনের চোখেও সেরা স্টেইন, ‘আধুনিক যুগের সেরা ফাস্ট বোলার তুমি, ডেল স্টেইন।’

যুবরাজ সিংর কাছে স্টেইন তো কিংবদন্তি, ‘ক্রিকেটের সত্যিকারের কিংবদন্তি। ফাস্ট বোলিংয়ে সর্বকালের অন্যতম সেরা, একেবারে নির্দয়। সেই গ্রেট স্পেল আর আগ্রাসন কখনো ভুলার নয়। ডেল স্টেইন ভবিষ্যৎ যাত্রাটা শুভ হোক।’

স্টেইনের অবসরের খবরে মন খারাপ ব্রেন্ডন টেলরের, ‘তোমার অবসরের খবরে আমি আজ সত্যিই বিষণ্ন। কিন্তু বিশ্বের মিলিয়ন মিলিয়ন ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে আমিও তোমার ক্যারিয়ারকে উপভোগ করেছি। একজন সত্যিকারের গ্রেট, ভয়ানক প্রতিদ্বন্দ্বী, মাঠের লড়াইয়ের চমৎকার এক প্রতিযোগী।’

ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার টুইটার পেজে স্টেইন লিখেছেন, ‘আর কখনো টেস্ট না খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা ভয়ানক। আর কখনো না খেলার চিন্তা করাটা আরো ভয়ানক। তাই ক্যারিয়ারের বাকি সময়টাতে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টিতে মনোযোগী হব। যাতে নিজের সর্বোচ্চটুকু নিগড়ে দিতে পারি। দীর্ঘদিন স্থায়ী হতে পারি ক্রিকেটে।’

যাবার বেলায় সোমবার টুইটারে টেস্ট ক্রিকেটের স্তুতি গেয়ে গেলেন স্টেইন, ‘আমার খুব পছন্দের ক্রিকেট সংস্করণ থেকে আমি আজ সরে দাঁড়ালাম। আমার দৃষ্টিতে ক্রিকেটের সেরা সংস্করণ হল টেস্ট। এটা আপনাকে মানসিক, শারীরিক ও স্নায়ুবিক ভাবে পরীক্ষা করবে।’

২২.৯৫ গড়ে ৯৩ টেস্টে ৪৩৯ উইকেট নিয়ে সোমবার টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ডেল স্টেইন। তবে শন পোলককে ছাড়িয়ে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ৩৬ বছরের এ সুপারস্টার জানান, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে খেলে যাবেন তিনি।

কাঁধের চোটের জন্য ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি স্টেইন। একই কারণে আইপিএল থেকে বিদায় নেন দুই ম্যাচ খেলেই।

   

উড়তে থাকা হায়দরাবাদকে থামিয়ে কুফা কাটাল ব্যাঙ্গালুরু



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে একটা ধারণা প্রচলিত আছে, ব্যাটারদের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। বোলারদের কারণেই নিয়মিত ম্যাচ হারতে হয় তাদের। এবারের আইপিএলেও হেরে বসেছিল টানা ৬ ম্যাচ। সেই ধারণা অবশ্য গতকাল পাল্টে দিয়েছে দলটির বোলাররা। টানা ৬ ম্যাচ হারের পর টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে তারা। তাও এবারের আসরের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে। আর এমন জয়েই কুফা কেটেছে ব্যাঙ্গালুরুর। প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে আছে দলটি।

এ ম্যাচ শুরুর আগেও ভাবা হচ্ছিল, ভয়ঙ্কর হায়দরাবাদ এ ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করলে না তিনশ করে বসে। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। ভাগ্যের খেলা টসে হেরে শুরুতে বল করতে হয়েছে তাদের। আর তাদের বিপক্ষে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট খরচায় ২০৬ রানের লড়াকু ভিত পেয়েছে ব্যাঙ্গালুরু।

২০৬ রানের এই লক্ষ্যটাকে বিশাল বা রান পাহাড় না বলে লড়াকুই বলতে হচ্ছে; কারণ প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ এবারের আইপিএলে হরহামেশায় আড়াই শ পার করছে। তিনশ করার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলছে। সেই দলটির সামনে যখন ২০৬ রানের পুঁজি তখন সেটাকে বরং মামুলি বলায় শ্রেয়।

তবে সেই মামুলি লক্ষ্যটা এদিন জটিল হয়ে যায় দলটি পাওয়ার প্লেতেই ৪ উইকেট খুইয়ে ফেললে। এ সময় অভিষেক শর্মা তাণ্ডব চালিয়েছেন বটে, আর তাতে রানও এসেছে। তবে অপর প্রান্তে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে যায় হায়দরাবাদ। ১৩ বলে ৩১ রান করে একটা সময় থামতে হয় অভিষেককেও। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে দায়িত্ব নিতে পারেনি মিডল ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা। শেষ দিকে শাহাবাজের ৩৭ বলে ৪০ রানের অপরাজিত ইনিংস কেবলই হারের ব্যবধান কমিয়েছে। হায়দরাবাদের ইনিংস থেমেছে ৮ উইকেটে ১৭১ রানে। ব্যাঙ্গালুরু ম্যাচ জিতেছে ৩৫ রানে।

টুর্নামেন্টে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে উন্নতি না হলেও প্লে অফের দৌড়ে টিকে গেছে তারা। টুর্নামেন্টে আরও ৫টি ম্যাচ বাকি আছে তাদের। আর সেই ম্যাচগুলোতেও জিততে হবে ব্যাঙ্গালুরুকে। সেই সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি দলগুলোর ওপর। তবেই মিলবে ব্যাঙ্গালুরুর প্লে অফে যাওয়ার কঠিন সমীকরণ।

;

রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ ছাড়াও টিভিতে আজ যা থাকছে



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ রাতে লা লিগার ম্যাচে মাঠে নামছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়াও আইপিএলে পাঞ্জাবের বিপক্ষে মাঠে নামছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এছাড়াও টিভিতে আজ যে সব খেলা দেখা যাবে।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
রূপগঞ্জ টাইগার্স–সিটি ক্লাব

সকাল ৯টা, বিসিবি ইউটিউব চ্যানেল

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল
শেখ রাসেল–ঢাকা আবাহনী

বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট, টি স্পোর্টস

রহমতগঞ্জ–ফর্টিস এফসি

বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট, বাফুফে ইউটিউব চ্যানেল

আইপিএল
কলকাতা নাইট রাইডার্স–পাঞ্জাব কিংস

রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস ১, গাজী টিভি ও টি স্পোর্টস

লা লিগা
রিয়াল সোসিয়েদাদ–রিয়াল মাদ্রিদ

রাত ১টা, র‍্যাবিটহোল ও স্পোর্টস ১৮–১

সৌদি প্রো লিগ
আল হিলাল–আল ফাতেহ

রাত ৯টা, সনি স্পোর্টস টেন ২

জার্মান বুন্দেসলিগা
বোখুম–হফেনহাইম

রাত ১২টা ৩০ মিনিট, সনি স্পোর্টস টেন ১

;

চেন্নাইয়ের জার্সিতে খেলার স্বপ্ন দেখতেন মুস্তাফিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএলে খেলা নিয়ে কম কথা হয়নি। বিশেষ করে আইপিএলের মাঝপথে তাকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য দেশে ফিরিয়ে আনার প্রশ্নে বিসিবি পরিচালকদের মধ্যেও মতদ্বৈধতা দেখা গেছে। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান জালাল ইউনুস এও বলেছিলেন, আইপিএল খেলে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই। তবে মুস্তাফিজ নিজে কিন্তু সেভাবে ভাবছেন না। বরং আইপিএলে খেলার কিছু উপকারী দিক খুঁজে পেয়েছেন দেশের অন্যতম সেরা এই পেসার।

চেন্নাই সুপার কিংসের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের সঙ্গে আলাপে নিজের ব্যক্তিজীবন এবং ক্রিকেট ক্যারিয়ারের বেশকিছু বিষয় খোলাসা করেছেন মুস্তাফিজ। আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে খেলা নিয়ে তার ভাবনা বর্ণনা করতে গিয়ে মুস্তাফিজ বলেন, ‘আইপিএলে সব দেশের তারকা ক্রিকেটাররা থাকে। এখানে সাফল্য পেলে অন্যত্র সফল হওয়া সহজ হয়ে যায়।’

২০১৬ সালে আইপিএলে অভিষেক হয় মুস্তাফিজের। প্রথম আসরে খেলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। সেবার অরেঞ্জ আর্মির হয়ে শিরোপাও জিতেছিলেন, হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতেও দেখা গেছে তাকে।

তবে সবসময়ই তার ভেতর সুপ্ত বাসনা ছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার। মুস্তাফিজের ভাষায়, ‘চেন্নাইয়ের হয়ে এবারই প্রথম খেলছি। ২০১৬ সালে আইপিএলে অভিষেকের পর থেকেই চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার স্বপ্ন ছিল। যেদিন চেন্নাইয়ের তরফ থেকে ডাক পাই, আমি ওই রাতে ঘুমাতে পারিনি।’

চেন্নাই সুপার কিংস তারকায় ঠাঁসা এক দল। মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক দলটির সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ। এছাড়া কোচিং প্যানেলেও রয়েছেন স্টিফেন ফ্লেমিং, মাইক হাসি, ডোয়াইন ব্রাভোর মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। তাদের সান্নিধ্যে থেকে, দিকনির্দেশনায় খেলে কী শিখতে পেরেছেন সেটাও অকপটেই জানালেন মুস্তাফিজ, ‘মাহি ভাই, ডিজে ব্রাভোরা ডেথ ওভারে ফিল্ডিং সাজানো নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন, এই বিষয়গুলো কাজে লেগেছে। (ধোনির সঙ্গে) বোলিং নিয়ে মূলত কথা হয়। মাঠেই বেশি কথা হয়। মাহি ভাই নিজে এসেই আমাকে বলেন কোনটা কীভাবে করলে ভালো হয়।’

আইপিএলের চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে ১২ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন মুস্তাফিজ। চেন্নাইয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এখন তিনিই। যদিও শেষ কয়েক ম্যাচে বেশ খরুচে বোলিং করেছেন। তবে বাংলাদেশে ফেরার আগে আরও দুইটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেতে পারেন মুস্তাফিজ। সে দুটি ম্যাচে নিশ্চয়ই নিজের সেরাটা মেলে ধরতে চাইবেন ‘কাটার মাস্টার’খ্যাত এই গতিতারকা।

;

আচমকা অবসরে পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হঠাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাট চুকানোর ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের তারকা নারী ক্রিকেটার বিসমাহ মারুফ। দীর্ঘ ১৭ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে পাকিস্তানের জার্সিতে রেকর্ড ১৩৬ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও লিগে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

দীর্ঘসময় পাকিস্তানের নারী দলের নেতৃত্ব দেয়া বিসমাহর অধীনে মোট ৯৬টি ম্যাচ খেলেছে দল। ৬২ টি-টোয়েন্টি ও ৩৪টি ওয়ানডেতে পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব করেছেন তিনি।

ব্যাট-বল তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ার মুহূর্তে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি-দুই ফরম্যাটেই পাকিস্তানের জার্সিতে সর্বোচ্চ রান বিসমাহর। ১৩৬ ওয়ানডেতে ২৯.৫৫ গড়ে তার রান ৩ হাজার ৩৬৯। এই ফরম্যাটে ২১ বার ফিফটি করলেও সেঞ্চুরির দেখা পাননি। টি-টোয়েন্টিতে ১৪০ ম্যাচে মারুফের রান ২৮৯৩, ফিফটি ১২টি।

আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নেয়া প্রসঙ্গে মারুফ জানান, ‘আমি যে খেলাটিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি তা থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আমার জন্য একটি অবিশ্বাস্য যাত্রা, চ্যালেঞ্জ, জয় এবং অবিস্মরণীয় স্মৃতিতে ভরা। আমি আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, যারা আমার ক্রিকেট যাত্রায় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে সমর্থন করেছে।’

;