হেডিংলিতে জেতার লড়াই জমাট



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
দ্বিতীয় ইংনিসে জো রুট ৭৫ রানের অনবদ্য এক ইংনিস খেলেন, ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় ইংনিসে জো রুট ৭৫ রানের অনবদ্য এক ইংনিস খেলেন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খেলার আরও বাকি দুদিন। ম্যাচ জিততে ইংল্যান্ডের চাই আর মাত্র ২০৩ রান। হাতে উইকেট অক্ষত ৭। অপরাজিত ৭৫ রান নিয়ে খেলছেন অধিনায়ক জো রুট। সময় এবং অক্ষত উইকেটের হিসেব জানাচ্ছে হেডিংলি টেস্টে ইংল্যান্ড এখন ফেভারিট। তবে টেস্ট ম্যাচের চেহারা বদলে যায় যে কোনো এক স্পেলেই। তেমন একটা স্পেলের অপেক্ষায় এখন অস্ট্রেলিয়া। আর তাই বলা যায় এখনো সমতায় ঝুলছে হেডিংলি টেস্ট!

দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া খুব বেশি এগুতো না পারলেও ম্যাচে লিড যে পেয়ে গেলো তার বেশ বড়ই-৩৫৮ রান! ম্যাচ জিততে হলে হেডিংলির শেষ ইনিংসে ইংল্যান্ডকে তুলতে হবে ৩৫৯ রান। হাতে সময় আছে প্রচুর। এই ম্যাচ যে পঞ্চমদিনে গড়াচ্ছে না- সেটা নিশ্চিত। তবে চতুর্থদিন শেষে কে হাসবে শেষ হাসি- সেই অনিশ্চয়তা কিন্তু রয়েই গেছে!

প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬৭ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ ভালো ভাবেই সামলে নিয়েছে। জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে ৩৫৯ রানের পিছু ধাওয়া করতে নেমে তৃতীয়দিন শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৭২ ওভারে ৩ উইকেটে ১৫৬ রান। ম্যাচ জিততে চাই আর মাত্র ২০৩ রান।

পুরো সিরিজে ব্যাট হাতে এবং অধিনায়ক হিসেবে বাজে পারফর্ম করা জো রুট হেডিংলিতে যেন ‘প্রাণ’ ফিরে পেয়েছেন। দুই ওপেনার সিঙ্গেল ডিজিটে আউট হলেও জো রুট এবং জো ডেনলি ইংল্যান্ডকে ম্যাচ জেতার স্বপ্ন দেখান। তৃতীয় উইকেট জুটি এই দুজনে যোগ করেন ১২৬ রান। ডেনলি ১৫৫ বলে ৫০ রান করে আউট হলেও জো রুট দিনটা শেষ করে অপরাজিত ৭৫ রানে। তার সঙ্গী হিসেবে ২ রান নিয়ে খেলছিলেন বেন স্টোকস। এই দুই ব্যাটসম্যান ভালোই জানেন কিভাবে দলকে জেতাতে হয়। তবে সমস্যা হলো অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলাররাও হেডিংলিতে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। প্রথম ইনিংসে ৩০ রানে ৫ উইকেট শিকারি জস হ্যাজেলউড দ্বিতীয় ইনিংসেও দুই উইকেট তুলে নিয়েছেন।

পেস বোলারদের কাছ থেকে চতুর্থদিনও ম্যাজিক স্পেলের অপেক্ষায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পাইন। অস্ট্রেলিয়ার ২৪৬ রানের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নায়ক সেই নবীন ব্যাটসম্যান মার্কাস লাবুশানে। রান আউট হওয়ার আগে এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান করেন ৮০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে এটাই অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র হাফসেঞ্চুরি। লাবুশানে প্রথম ইনিংসেও দলের সর্বোচ্চ স্কোরার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিং: ১৭৯/১০ (৫২.১, ওয়ার্নার ৬১, লাবুসচাঙ্গে ৭৪, পাইন ১১, আর্চার ৬/৪৫, ব্রড ২/৩২)। দ্বিতীয় ইনিংস: ২৪৬/১০ (৭৫.২ ওভারে, খাজা ২৩, লাবুশানে ৮০, হেড ২৫, ওয়েড ৩৩, স্টোকস ৩/৫৬, আর্চার ২/৪০, ব্রড ২/৫২)। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ৬৭/১০ (২৭.৫ ওভারে, জো ডেনলি ১২, হ্যাজেলউড ৫/৩০, কামিন্স ৩/২৩, প্যাটিসন ২/৯)। দ্বিতীয় ইনিংসে: ১৫৬/৩ (৭২ ওভারে, জো রুট ৭৫*, জো ডেনলি ৫০, স্টোকস ২*, হ্যাজেলউড ২/৩৫)।

   

১৬ বছর পর অনুশীলনে ফিরে রোমারিওর জোড়া গোল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৫৮ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে ফেরার ঘোষণা দেয়ার পর প্রথম অনুশীলন করলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোমারিও। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তার চেয়ে অনেক কমবয়সী খেলোয়াড়দের সঙ্গে পাল্ল দিয়ে অনুশীলন করে জোড়া গোলও করেছেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।

বুটজোড়া তুলে রাখার পর রাজনীতিতে যোগ দেন রোমারিও। রিও ডে জেনেইরোর ক্লাব আমেরিকার সভাপতির পদও সামলান। এবার সেই ক্লাবের হয়েই ফের পেশাদার ফুটবলে মাঠে নামবেন তিনি। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য, ছেলে রোমারিনিওর সঙ্গে খেলা।

অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রোমারিও বলেন, ‘আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার ছেলের সঙ্গে একই দলে খেলা। অনেক অ্যাথলেটদেরই এমন ইচ্ছে থাকে। যেমন লেব্রন জেমস আগামী বছর এনবিএ’তে তার ছেলের সঙ্গে খেলতে চায়। রিভালদোরও এই সুযোগ হয়েছিল। আমি তেমনটা করতে চাই।’

ফুটবল পায়ে কারিকুরি দেখানোর জন্য তো জগৎজোড়া খ্যাতি ছিলই রোমারিওর। এর বাইরে ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্যও তার পরিচিত আছে। তার শব্দবাণ থেকে নিস্তার ছিল না পেলে, জিকো, মারিও জাগালোদের। তবে এবার রোমারিও নিজেকেই নিশানা বানিয়ে বললেন, ‘আমি অনেক ক্লান্ত। আমি উঠানোর জন্য জলদিই স্ট্রেচার লাগবে। ১৬ বছর ধরে অনুশীলন করিনি, আজ একটু দৌড়েছি।’ তবে অতটুকুর মধ্যেই নিজের জাত চিনিয়ে দুইবার পেয়েছেন জালের দেখা।

আগামী ১৮ মে মৌসুমের প্রথম লিগ ম্যাচ খেলবে রোমারিওর ক্লাব আমেরিকা। সব ম্যাচ যে তার খেলা হবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রোমারিও, ‘আমি পুরো টুর্নামেন্ট খেলব না। কিছু ম্যাচে কয়েক মিনিট খেলব।’

;

ছয় ম্যাচ পর জয়ে ঘুম ভালো হওয়ার স্বস্তি ডু প্লেসির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হারের বৃত্তে আটকে গিয়েছিল। গত ২৫ মার্চ পাঞ্জাব কিংসকে হারানোর পর টানা ছয় ম্যাচ হেরে বসেছিল তারা। ঠিক এক মাস পর আবারও জয়ের দেখা পেয়েছে বেঙ্গালুরু। উড়তে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে দলটি। দীর্ঘ সময় পর জয় পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি।

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীতে ডু প্লেসি কণ্ঠে ঝরেছে স্বস্তি, ‘বড় স্বস্তি পেলাম। আপনি যে অবস্থানেই থাকেন না কেন, জয় না পেলে তা আপনার মানসিকতায়, আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। আজকে (গতকাল) রাতে একটু ভালো ঘুম হবে।’

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর গল্পটা তীরে এসে তরী ডোবার। হায়দরাবাদের বিপক্ষে আগের ম্যাচটাইতেই যেমন ২৮৮ রান তাড়া করতে গিয়ে ২৫ রান দূরে থামতে হয় তাদের। কলকাতার বিপক্ষে হারটা তো আরও হৃদয়বিদারক, ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল কোহলিদের।

অবশেষে হায়দরাবাদের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু কাঙ্ক্ষিত সে জয়ের দেখা। এই জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে বলে মনে করেন ডু প্লেসি, ‘আপনি শুধু কথা দিয়ে কাউকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলে পারবে না, ভুয়া আত্মবিশ্বাসও তৈরি করা সম্ভব না। শুধুমাত্র পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।’

এই জয়ের পর অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে বেঙ্গালুরুর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১০ দলের লিগে এখনো তলানিতেই তাদের অবস্থান। নামের পাশে যদিও পয়েন্ট দুই থেকে বেড়ে চার হয়েছে।

;

টানা দুই হারে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কায় পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা দারুণ ছন্দে শুরু করেছিল পাকিস্তান প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় কিউইদের বিপক্ষে। কিন্তু পরের দুই ম্যাচ জিতে এখন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৪ রানে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্ল্যাকক্যাপসরা।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ওপেনার টিম রবিনসনের ঝোড়ো ফিফটিতে শুরুটা দুর্দান্ত হয় সফরকারীদের। ৩৬ বলে ৫১ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন তিনে নামা ডিন ফক্সক্রফট। তাতে ২০ ওভারে কিউইদের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৭৮।

৩ ওভার বল করে পাকিস্তানের পক্ষে ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি।

জবাব দিতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা হয় নড়বড়ে। দ্বিতীয় ওভারে স্রেফ ৫ রানে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম। সাইম আইয়ুব, উসমান খান, ইফিতিখার আহমেদরা সেট হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দেন। পাকিস্তানের আশার ভেলা ভাসিয়ে রাখেন চারে নামা ফখর জামান। ৪৫ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৬১ রান করেন এই ব্যাটার।

শেষদিকে ইমাদ ওয়াসিম ১১ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে পাকিস্তানকে জয়ের হাতছোঁয়া দূরত্বে নিয়ে গেলেও শেষ ধাপ পার করাতে ব্যর্থ হন। লক্ষ্য থেকে চার রান দূরেই থামতে হয় পাকিস্তানকে। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৪ রান তুলতে সমর্থ হয় তারা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সামনে যেখানে থাকছে সিরিজ জয়ের সুযোগ, পাকিস্তানের জন্য সেটা সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ।

;

ডিপিএলে বিতর্কিত আউট নিয়ে মুশফিকের ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ম্যাচ শেষে প্রাইম ব্যাংকের ক্রিকেটাররা মোহামেডানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতেই আসেননি। তামিম মাঠে ঢুকলেও সেটা ছিল আম্পায়ারদের কারণ জানাতে। তিনিও শুধুমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেছেন। মূলত মুশফিকুর রহিমের একটা ক্যাচ ধরাকে কেন্দ্র করেই এমনটা। যার কারণে খেলাও বন্ধ ছিলো ১৬ মিনিট। তামিম তখন আম্পায়াদের ভিডিওটাও দেখিয়েছিলেন যে সেটা ক্যাচ নয়, ছক্কা ছিলো। আসলেও তাই। ক্যাচ ধরার পর ফিল্ডার আবু হায়দার রনির পা স্পর্শ করেছিলো বাউন্ডারি-লাইন।

এবার সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মুশফিকুর রহিমের ফেসবুক পোস্ট। ক্যাচ ধরার সময় রনির পা বাউন্ডারির দড়ি স্পর্শ করেছে, এমন ছবি আপলোড দিয়ে মুশফিক লিখেন, 'মাশাআল্লাহ।' মূহূর্তেই যা হয়ে যায় ভাইরাল। অনেকেই বাহবা দিচ্ছেন এমন প্রতিবাদের। আবার অনেকেই প্রশ্নও তুলছেন মুশফিকের পেশাদারিত্ব নিয়ে।

মুশফিকের সেই পোষ্টে দুঃখ পোষণ করে কমেন্ট করেছেন প্রাইম ব্যাংকের আরেক ক্রিকেটার রুবেল হোসেন। ক্রিকেটার ছাপিয়ে এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন চিত্রনায়ক আরেফিন শুভ।

ডিপিএলে আম্পায়ারিং বিতর্ক এই আসরে এবারই প্রথম না। প্রাইমের বিপক্ষে আবাহনীর নাঈম শেখের নিশ্চিত আউট না দেওয়ায় প্রতিবাদ করেছিলেন তামিম। সাকিবের স্টাম্পে লাথি কিংবা স্টাম্প উপড়ে ফেলা তো উদাহরণ হয়ে আছেই।

;