দ্বিতীয় সেশন আফগানিস্তানের দখলে, সেঞ্চুরির স্বপ্নে রহমত শাহ



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চট্টগ্রাম থেকে
দাপটে খেলে যাচ্ছেন রহমত শাহ

দাপটে খেলে যাচ্ছেন রহমত শাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

বলার মতো বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটলো চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় সেশনে।

সবার আগে স্কোরের ঘটনা জানাই। টস জয়ী আফগানিস্তান ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেটে  ১৯১ রান তুলে চা বিরতিতে গেলো। ব্যক্তিগত অপরাজিত ৯৭ রানে থাকা রহমত শাহ সেঞ্চুরির স্বপ্ন নিয়ে চা খেতে গেলেন।

এই সেশনে বৃৃষ্টি তার উপস্থিতিও খানিকক্ষণ জানালো। বৃষ্টির কারণে সবমিলিয়ে এই সময়টায় খেলা বন্ধ রইলো ২৫ মিনিট। শর্টলেগে একটা ক্যাচও ড্রপ হলো! ওয়েস্ট ইন্ডিজের রহমত শাহ হাফসেঞ্চুরির আনন্দে এই সেশনে ব্যাট তুললেন। আর মাত্র তিন রান করতে পারলে টেস্টে আফগানিস্তানের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরির উল্লাসে মাতবেন মিডলঅর্ডার এই ব্যাটসম্যান।

আর হ্যাঁ ম্যাচে বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের একমাত্র দায়িত্বটা পালনও করলেন সৌম্য সরকার! ঘটনা আরেকটা ঘটলো। বাঁহাতি স্পিনে হাত ঘোরালেন মমিনুল হকও। এই টেস্টে এখন পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের সপ্তম বোলার!

সবমিলিয়ে চা বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশ করেছে ৬৮ ওভার বোলিং। বল করেছেন সাতজন! বোলিং করতে জানেন এমন তালিকায় থাকা কেবল মোসাদ্দেক হোসেনই এখন পর্যন্ত অব্যবহৃত!



৩ উইকেটে ৭৭ রান নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করা আফগানিস্তান দিনের দ্বিতীয় ভাগে কোনো উইকেটই হারায়নি। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রহমত শাহ ও আসগর আফগান চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৩৫.২ ওভারে যোগ করেন অপরাজিত ১১৪ রান। টেস্টে এটি আফগানিস্তানের তৃতীয় সেঞ্চুরির জুটি। এই তিন সেঞ্চুরির জুটিতেই রহমত শাহ ছিলেন উইকেটের এক প্রান্তে!

আক্রমণের সঙ্গে রক্ষণের মিশেলে ব্যাট চালিয়ে এই সেশনে নিজের হাফসেঞ্চুরি পুরো করেন রহমত শাহ। টেস্টে এটি তার তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি। চলতি বছরের মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ী টেস্টের ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন রহমত শাহ। সেই টেস্টের উভয় ইনিংসে তার হাফসেঞ্চুরি ছিলো। দেরাদুনের সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৭৬ রান। চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে দাড়িয়ে রহমত এখন।

উইকেট শিকারের জন্য মরিয়া বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এই সেশনে বারবার বোলিংয়ে বদল আনেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। প্রথম সেশনে ৩ উইকেট শিকার করে বাংলাদেশ সুবিধায় ছিলো। দ্বিতীয় সেশনে ইনিংসের মোড় নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে আফগানিস্তান সুবিধা নিজেদের ঘরে নিয়ে গেলো।

ম্যাচও কি?

সংক্ষিপ্ত স্কোর: আফগানিস্তান ১ম ইনিং: ১৯১/৩ (৬৮ ওভারে, রহমত শাহ ৯৭*, আসগর ৪৮* তাইজুল ২/৬১, মাহমুদউল্লাহ ১/৩)

# চা বিরতি পর্যন্ত

   

রিয়াল-বায়ার্নের ম্যাচ ছাড়াও টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমির ফিরতি লেগে আজ (বুধবার) মাঠে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখ। এদিকে আইপিএলে আজ হায়দরাবাদ–লক্ষ্ণৌয়ের ম্যাচে। এছাড়াও টিভিতে যা যা থাকছে।


আইপিএল

হায়দরাবাদ–লক্ষ্ণৌ

রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস ১, গাজী টিভি ও টি স্পোর্টস

উয়েফা কনফারেন্স লিগ (সেমি)

ক্লাব ব্রুগা–ফিওরেন্তিনা

রাত ১০টা ৪৫ মিনিট, সনি লিভ

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ (সেমি)

রিয়াল মাদ্রিদ–বায়ার্ন মিউনিখ

রাত ১টা, সনি স্পোর্টস টেন ২

;

বাংলাদেশের লিস্ট এ ক্রিকেট সেরা বোলিংয়ে রাজার সঙ্গী যারা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে জাকির হাসানের ক্যাচ বানিয়ে শুরু। সাকিব, সোহান, ইয়াসির রাব্বিসহ এভাবে একে একে শেখ জামালের আট ব্যাটসম্যানই শিকার রেজাউর রহমান রাজার। ৬ ওভার ৩ বলের স্পেলে ২৩ রানে শিকার আট উইকেট। রাজার এই বোলিং পরিসংখ্যানই লিস্ট এ ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা।

রাজা বোলিংয়ে আসার আগেই সাজঘরে ফেরেন শেখ জামালের দুই ওপেনার। যে তান্ডব রাজা চালিয়েছিলেন তাতে ঝুঁকি নিয়ে একটা কথা বলে যেতেই পারে ওপেনিং স্পেলে বল করলে রাজা হয়তো দশ উইকেটই পেতেন। আবার এভাবেও বলা যায়, হাতে উইকেট থাকলে কিংবা আর দুই এক ওভার বল করলেই পেতে পারতেন দশ উইকেটও। কারণ ২৩ রানে আট উইকেট শিকারের দিন এতোটাই ভয়ঙ্কর ছিলেন রাজা।

লিস্ট এ তে বাংলাদেশি বোলারদের মাঝে এতোদিন সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিলো ইয়াসিন আরাফাত মিশুর।  ২০১৮ সালে গাজী গ্রুপের হয়ে আবাহনীর বিপক্ষে ৪০ রানে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট।

তিনে আছেন আব্দুর রাজ্জাক। বাঁহাতি এই স্পিন কিংবদন্তি ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে ১৭ রানে শিকার করেন ৭ উইকেট।

চলতি ডিপিএলেই ২০ রানে সাত উইকেট শিকার করা আবু হায়দার রনি আছে লিস্টের চারে।

;

টানা দ্বিতীয়বার ফেড কাপের ফাইনালে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেডারেশন কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান। সেমিফাইনালে বাংলাদেশ পুলিশের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে ২-১ গোলের জয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফেডারেশন কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা।

আজ (মঙ্গলবার) মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে অনেকটা সেয়ানে-সেয়ানে লড়াই করে দুই দল। একের পর আক্রমণ গড়েও মোহামেডান পুলিশের গোলমুখ উন্মুক্ত করতে পারেনি। অন্যদিকে এই অর্ধে যে কয়টি সুযোগ এসেছিল তা লুফে নিতে না পারার আক্ষেপ ছিল পুলিশের।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সে আক্ষেপ ঘুচে যায় তাদের। বিরতির পর খেলা শুরু হতেই মোহামেডান বক্সে পুলিশের হানা। ৪৬ মিনিটে মুরিওর ফ্রি কিকে হেড করেন উখমাতোভ, পোস্টে লেগে বল প্রবেশ করে জালে। মোহামেডান গোলকিপার সুজন তা ঠেকাতে পারেননি।

পিছিয়ে পড়ার দ্বিগুণ উদ্যমে আক্রমণ শানায় মোহামেডান। ৬৮ মিনিটে ইমানুয়েল সানডে জাল খুঁজে পেলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে মোহামেডান। বক্সের ভেতর সুলেমান দিয়াবাতের শট ব্লক হওয়ার পর ফিরতি শটে গোল পেয়ে যান সানডে।

৭৯ মিনিটে জয়সূচক গোলটাও পেয়ে যায় মোহামেডান। এ যাত্রায় গোলের কারিগর বনে যান সানডে। তার ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে মোহামেডানকে আনন্দে ভাসান শাহরিয়ার ইমন।

আগামী ১৪ মে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে গতবারের রানার্স-আপ আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংস।

;

ফিফা'র আমন্ত্রণে দুবাই যাচ্ছেন তৈয়ব হাসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা'র আমন্ত্রণে দুবাই যাচ্ছেন রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফিফা এলিট রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু।

বুধবার (৮ মে) তিনি দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। এদিন এমিরেটস এয়ারলাইনযোগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে পৌঁছে অনুষ্ঠিতব্য কর্মসূচিতে যোগদান করবেন তিনি। সেখান থেকে আগামী ১২ মে তিনি দেশে ফিরবেন।

রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফিফা এলিট রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ১৮ বছর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিফা রেফারি হিসেবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন এএফসি-তে তিনি ১০ বছর এলিট রেফারি হিসেবে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনিই সবচেয়ে বেশি (শতাধিক) আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেন।

দেশের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র ইন্টারন্যাশনাল রেফারি অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত (এএফসি রেফারিজ মোমেন্তো অ্যাওয়ার্ড) রেফারি তৈয়ব। এশিয়ার সেরা ২৫ রেফারির তালিকায় থাকা তৈয়ব হাসান প্রথম সাউথ এশিয়ান রেফারি হিসেবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচে (নেপাল-২০১৩) প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেন। রেফারি হিসেবে তিনি সর্বাধিকবার বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বও করেন।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যে জার্সিটি পরে তিনি প্রথম সাউথ এশিয়ান রেফারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন, স্মরণীয় সেই জার্সিটি ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নিলামে বিক্রি করে করোনা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে প্রদান করেছিলেন এই কৃতি রেফারি।

করোনা মহামারিতে এমন মহৎ কাজের জন্য তৈয়ব হাসান বাবু দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছেন। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ ক্রীড়া পদক- জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পুরস্কারের অর্থ এক লাখ টাকা তিনি দুস্থ, পুষ্টিহীন শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করেন।

রেফারিংয়ে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি), বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, সোনালী অতীত ক্লাবসহ বিভিন্ন সংস্থা-প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তৈয়ব হাসান বাবুকে পুরস্কৃত করেছে।

 

 

;