এশিয়া কাপে আরেকটি জয় বাংলাদেশের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
নেপালের বিপক্ষেও জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল- ছবি: এসিসি

নেপালের বিপক্ষেও জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল- ছবি: এসিসি

  • Font increase
  • Font Decrease

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে দাপটেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। অধিনায়ক আকবর আলী জয়ের নায়ক। তার দাপুটে ব্যাটিংয়ে গ্রুপ পর্বে নেপালকে অনায়াসেই হারাল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।

রোববার কলম্বোতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতকেও হারিয়েছে যুবারা।

ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬১ রান করে নেপাল। জবাব দিতে নেমে ৪৯.২ ওভারে জয়ের বন্দরে পা রাখে জুনিয়র টাইগাররা।

ম্যাচে টস ভাগ্য ছিল বাংলাদেশেরই পক্ষে। প্রথমে দল বেছে নেয় ফিল্ডিং। কলম্বোর পি সারা ওভালে  রিত গৌতমকে (৩২) আউট করে প্রথম সাফল্য এনে দেন রকিবুল হাসান। তবে এরপর পবন সরাফ ও সন্দীপের ফিফটিতে বড় স্কোর পায় নেপাল। সর্বোচ্চ ৮১ রান তুলেন পবন। সন্দীপের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ বলে ৩ চার ও ৩ ছয়ে ৫৬ রান।

বাংলাদেশের হয়ে তানজিম হাসান সাকিব ৫১ রানে শিকার করেন ২ উইকেট। শাহিন আলম ৫৮ রানে নেন ২টি উইকেট। মৃত্যুঞ্জয়, রাকিবুল, মিনহাজুর ও তৌহিদ তুলেছেন একটি করে উইকেট।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও অনিক সরকার সেতু ধরেন সাজঘরের পথ। তবে মাহমুদুল হাসান ও তৌহিদ হৃদয় পাল্টে দেন দৃশ্যপট। তৃতীয় উইকেটে তারা জমা করেন ৭৯ রান। তারপর মাহমুদুল ফিরলেও অধিনায়ক আকবরের সঙ্গে ৩৪ রানের জুটি গড়েন তৌহিদ। ৬০ রান করে ফেরেন তৌহিদ।

তবে পথ হারাননি আকবর। পঞ্চম উইকেটে শামিমকে নিয়ে গড়েন ১৩২ রানের জুটি। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন আকবর। করেন ৮২ বলে ১৪ চারে অপরাজিত ৯৮। ৪৫ বলে ৪টি চারে ৪২ রানে অপরাজিত শামিম।

‘বি’ গ্রুপে ১০ সেপ্টেম্বর স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার সঙ্গে লড়বে বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৫০ ওভারে ২৬১/৮ (গৌতম ৩২, পবন ৮১, আসিফ ৩, কুশাল ২৮, রোহিত ১৪, সন্দীপ ৫৬, ভীম ২১, রশিদ ৬, কমল ৯*, চৌহান ১*; তানজিম ২/৫১, মৃত্যুঞ্জয় ১/৫৫, রাকিবুল ১/৩২, শাহীন ২/৫৮, মিজানুর ১/৩৫, হৃদয় ১/২৪)
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৪৯.২ ওভারে ২৬২/৪ (তানজিদ ৯, অনীক ৫, মাহমুদুল ৪০, হৃদয় ৬০, আকবর ৯৮*, শামীম ৪২*; কমল ২/৫৯, রশিদ ১/৪৯, চৌহান ১/১৭)
ফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৬ উইকেটে জয়ী

   

‘অলরাউন্ডার’ জাদেজায় চেন্নাইয়ের প্রতিশোধ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে পাঞ্জাব কিংসকে ২৮ রানে হারিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। আগের ম্যাচে ঘরের মাঠে পাঞ্জাবের কাছে হেরে যায় রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল। বলে-ব্যাটে জাদেজার জ্বলে ওঠার ম্যাচে সে হারের শোধ তুলেছে তারা।

ধর্মশালায় টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় চেন্নাইকে। রুতুরাজ (৩২) এবং ড্যারিল মিচেল (৩০) ত্রিশের ঘরে রান করেছিলেন। তবে মিডল এবং লোয়ার অর্ডারের অন্য ব্যাটারদের মধ্যে জাদেজা বাদে অন্য কেউ নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ২৬ বলে ৩ চার এবং ২ ছয়ে ৪৩ রান করে চেন্নাইকে লড়াকু স্কোর পেতে সাহায্য করেন জাদেজা। 

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৭ রানে থামে চেন্নাই। পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন রাহুল চাহার ও হার্শাল প্যাটেল।

জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাঞ্জাব। একশ পেরোনোর আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার পর বল হাতেও আগুন ঝরান জাদেজা। ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে ২০ রানে নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট পান সিমারজিত সিং ও তুষার দেশপাণ্ডে।

তাদের বোলিং তোপে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৯ রানে আটকে যায় পাঞ্জাব। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে ওপেনার প্রভসিমরান সিংয়ের ব্যাটে।

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন জাদেজা। এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে চেন্নাই। সমান সংখ্যক ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে এক ধাপ নিচে আট নম্বরে নেমে গেছে পাঞ্জাব।

;

বেনেট-ক্যাম্পবেলের ব্যাটে ভদ্রস্থ সংগ্রহ জিম্বাবুয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিং দুর্দশা কাটল না জিম্বাবুয়ের। প্রথম টি-টোয়েন্টির চিত্রনাট্য মেনে শুরুতে ব্যাটিং ধস এবং তারপর একটা বড় জুটিতে একশ ছাড়ানো স্কোর। তবে ১৩৯ রানের এই সংগ্রহকে মোটেও লড়াকু বলা যায় না। বাংলাদেশের সামনে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যটা সহজই বলা চলে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী টসে হেরে ব্যাটে করতে নেমে আরও একবার ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ১০.২ ওভারে ৪২ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট খুইয়ে বসে তারা। রান তোলায় ধীরগতি আর সঙ্গে একের পর এক উইকেট হারানোয় বেশ বিপদেই পড়ে সফরকারীরা। রিশাদ-তাসকিনরা নিখুঁত বোলিংয়ে চেপে ধরেছিলেন তাদের।

একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা যখন জেঁকে ধরছে জিম্বাবুয়েকে, তখনই ষষ্ঠ উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেল এবং ব্রায়ান বেনেট খাদের কিনারা থেকে দলটিকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। ৪৩ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন এই দুই ব্যাটার।

এই ম্যাচ দিয়ে দলে প্রবেশ করা ক্যাম্পবেল ফেরার আগে করেন ২৪ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৪৫ রান। অবশ্য ১ রানেই থামতে পারত ক্যাম্পবেলের ইনিংস, যদি শেখ মেহেদীর বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলি অনিক লোপ্পা ক্যাচ না ফেলতেন।

ফিফটি না পেলেও দলকে অন্তত একশ পার করিয়ে দিতে পেরেছেন ক্যাম্পবেল। ২৯ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ের রানটাকে ভদ্রস্থ করেছেন বেনেট। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন স্পিনার রিশাদ হোসেন ও পেসার তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট গেছে শেখ মেহেদী, শরিফুল ও সাইফউদ্দিনের ঝুলিতে।

;

জিকোর শারীরিক অবস্থার উন্নতি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবাহনীর বিপক্ষে বিপিএল ফুটবলের ম্যাচে মাথায় মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন বসুন্ধরা কিংসের গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। ম্যাচে আবাহনীর ফরোয়ার্ড কর্নেলিয়াসের পায়ের আঘাতে রক্তাক্ত হন তিনি। প্রথমে স্ট্রেচার ও পরে অ্যাম্বুলেন্সে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। তবে স্বস্তির খবর, জিকো এখন ভালো আছেন।

ঘটনার পরপরই তাকে বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কপালে কসমেটিক অস্ত্রোপচার করতে হয়। সিটি স্ক্যানে অবশ্য গুরুতর কিছু ধরা পড়েনি। তাই চিকিৎসা শেষে রাতেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।

আজ (রবিবার) একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে জিকো তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানিয়ে বলেন, ‘আমি আগের চেয়ে ভালো আছি। সুস্থ বোধ করছি।’

সুস্থ বোধ করলেও যে শিগগিরই তার মাঠে ফেরা হচ্ছে না-সেটাও জানিয়েছেন এই গোলকিপার, ‘তবে এখনই মাঠের অনুশীলনে নামতে পারবো না। আগামী ৭ মে ডাক্তার আবার দেখবে। তখনই জানা যাবে সবশেষ অবস্থা।’

;

পাঞ্জাবের বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি চেন্নাইয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে ১৬২ রান করে পাঞ্জাব কিংসকে হারাতে পারেনি চেন্নাই সুপার কিংস। হারতে হয়েছিল ৭ উইকেটে। ফিরতি ম্যাচে আগে ব্যাট করা চেন্নাই করতে পারল আগের ম্যাচের চেয়ে ৫ রান বেশি, ৯ উইকেটে ১৬৭ রান। ধর্মশালায় পাঞ্জাবের বিপক্ষে জয়ের জন্য এই রান যথেষ্ট হবে কি? সে প্রশ্ন সময়ের কাছে তোলা থাক। তবে এই রান নিয়ে অন্তত লড়াই করা সম্ভব।

তবে চেন্নাইয়ের টালমাটাল বোলিং লাইনআপ আদৌ এই পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে পারবে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন বটে। মুস্তাফিজ এই ম্যাচের আগেই চলে এসেছেন বাংলাদেশ। চোটের কারণ ছিটকে গেছেন পাথিরানা। একই কারণে মাঠের বাইরে দীপক চাহারও। চেন্নাইকে তাই ইংল্যান্ডের ৩৬ বছর বয়সী পেসার রিচার্ড গ্লিসন আর তুষার দেশপাণ্ডেদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। আঙুলের জাদুতে চেন্নাইকে জয়ের পথে ফেরানোর চেষ্টা করবেন জাদেজা-মঈন আলিরা।

জাদেজা অবশ্য বল হাতে এরই মধ্যে নিজের কাজটা ঠিকঠাক করেছেন। দলের অন্য ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যে ২৬ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৩ রান করেছেন এই অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান এসেছে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ব্যাটে। ১৯ বলে ৩০ রান করেন কিউই ব্যাটার ড্যারিল মিচেল।

পাঞ্জাবের দুই বোলার রাহুল চাহার এবং হার্শাল প্যাটেল সমান তিনটি করে উইকেট নিয়ে চেন্নাইয়ের রানকে নাগালের মধ্যে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন।

;