সবই পেলেন শুধু সোনার পরী ছোঁয়া হল না!



তারিক আপন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

জীবন রূপকথা নয়! এমন কী কাঁটাহীন ফুলে ফুলে সাজানো পথও নয়! বাস্তবতার জমিন তো আরো বন্ধুর। নিরন্তর অভাবের শিশু বয়সটা পেরিয়ে এসে কতো কিছুই না পেয়েছেন! নাম, খ্যাতি, অর্থ, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সুন্দর একটা সাজানো সংসার। কিন্তু তারপরও যেন চাঁদের কলঙ্কের মতো লেগে আছে কালো দাগ! একটা অপূর্ণতা, একটা দীর্ঘশ্বাস আজীবন হয়তো তাড়িয়ে বেড়াবে তাকে। বিশ্বকাপটা যে পাওয়া হল না!

সোনার ওই ট্রফিটা যে ৩১ বসন্ত পেরিয়ে গেলেও অসহায়ের মতো দুর থেকেই দেখতে হয়েছে প্রতিবার! ছুঁয়ে দেখা, চুমু আঁকা আর হয়নি! তাইতো শনিবার রাতে লিওনেল মেসি কেমন কেন বাকশুন্য হয়ে গেলেন! চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়বে কি, কান্নাই যে শুকিয়ে গেছে!

গত বিশ্বকাপটা দুর্দান্ত কেটেছিল। অসাধারণ সব ফুটবলের পসরা সাজিয়ে প্রায় একাই দলকে টেনে তুলেছিলেন ফাইনালে। কিন্তু একা কী আর সব হয়? ডিয়োগো ম্যারাডোনাও তো পাশে পেয়েছিলেন, ক্লাদিও ক্যানেজিয়া আর বাতিস্তুতাদের! মেসি একেবারেই অভাগা! মাঠে অনেকেই আছেন, কিন্তু তারপরও কেউ যেন নেই তার পাশে। ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে আর কিছুই করা হল না! যেখানে অতিরিক্ত সময়ে মারিও গোৎজের গোলে সর্বনাশ। একটুর জন্য ট্রফি ডিয়োগো ম্যারাডোনার অর্জন ছোঁয়া হল না। সবই হল কিন্তু সোনার পরী ছোঁয়া হলনা!

ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার হয়েও মন মরা হয়েই বুয়েন্স আয়ার্সের বিমানে উঠছেন লিওনেল মেসি! তারপরও মনে ছিল একটা স্বপ্ন। রাশিয়াতে নিশ্চয়ই সোনার হরিণটা মুঠোবন্ধী হবে! এর মাঝে অবশ্য কোপা আমেরিকার ফাইনালে গিয়েও চিলির কাছে অতিরিক্ত সময়ে হারের যন্ত্রনায় বিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। আরেকটা ফাইনালে ব্যর্থ, মনের দুঃখে আন্তর্জাতিক ফুটবলটাকেই গুডবাই বলে দিয়েছিলেন!

কিন্তু ২৯ বছর বয়সে এই প্রিয় লিও'র বিদায়টা ভক্তরা মেনে নিতে পারেনি কিছুতেই। অনুরোধের পর অনুরোধ! এমন কী কোচ হোর্হে সাম্পাওলির পরামর্শ। শেষ অব্দি না করতে পারলেন না তিনি। সিদ্ধান্ত বদলে ফিরলেন নীল-সাদা জার্সি। মনে হচ্ছিল বিশ্বকাপ জিতেই বুঝি বিখ্যাত সেই জার্সিটা তুলে রাখবেন।

বাছাই পর্বের বৈতরনী পার হতে রাখলেন বড় ভূমিকা। তারপর অনেক স্বপ্ন সঙ্গী করে পা রাখলেন ভ্লাদিমির লেনিনের দেশে! গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচের একটিতে হার, একটি ড্র দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল ভক্তদের। কিন্তু সেই শঙ্কার মেঘ উড়িয়ে পথ দেখালেন মেসিই। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে খেলালেন পুরো দলটাকে। দল উঠে এলো দ্বিতীয় রাউন্ডে। এবার অবশ্য প্রথম দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের নজর ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারছিলেন না সেইভাবে। তবে সময় মতো নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ঠিকই থাকল তার অসাধারন সব পাস, হঠাৎ গতি, আর সুক্ষ চিন্তার জাল ছড়িয়ে নু ক্যম্পের সেই মেসিকেই মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন!

নকআউটে শনিবার প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ফ্রান্স। তারুণ্যের উচ্ছল সেই দলটার বিপক্ষে অভিজ্ঞ আর্জেন্টিনা। ভাল একটা ম্যাচের প্রতিশ্রুতি তো ছিলই। কিন্তু কে জানতো রোমাঞ্চে মোড়ানো সেই ম্যাচটাতে এক রহস্য জড়িয়ে থাকবে। রক্ষণভাগের ব্যর্থতায় তিন গোল দিয়ে হজম করলেন চারটি! এভাবেই শেষ ৯০ মিনিট! এভাবেই শেষ মেসির আরো একটা বিশ্বকাপ।

জীবনে কতো কিছুই দেখলেন আর্জেন্টিনার এক অবহেলিত অঞ্চল রোজারিওতে বেড়ে উঠা এই কিশোর। হরমোনজনিত রোগ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে ১১ বছর বয়সে যে মেসি ফুটবল স্কাউটদের দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছিলেন, তার জীবনে এতো চমক অপেক্ষা করছে কে জানতো। কে জানতো ন্যাপকিন পেপারে লেখা সেই চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারটিই উঠে আসবেন এভাবে, সবাইকে ছাড়িয়ে!

ক্যারিয়ারে কী না পেয়েছেন। ৯টি লা লিগা, চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, তিনটি ফিফা ক্লাব কাপ ট্রফি! আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে রানার্স আপ, কোপা আমেরিকার তিনবারের ফাইনালিস্ট। পাঁচবার ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার। অর্জনের এমন তালিকা করতে গেলে সহজে ফুরাবে না।

তারপরও ডিয়েগো ম্যারাডোনা, পেলে এমন কী জিনেদিন জিদানের পাশেও লিওনেল মেসির নামটা লেখার সুযোগ থাকছে না। ইতিহাস বড় নিষ্টুর বিশ্বকাপ না জেতা কাউকে কখনোই যে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় নিয়ে আসতে কার্পন্য করে! সময়ের সেরা এই তারকার কোথায় জায়গা হবে কে জানে!

জর্জ বেস্ট, ইউসেবেবিও, জর্জ উইয়াহ কিংবা আলফ্রেডো ডি স্টেফানো'র মতো ফুটবলারদের সঙ্গে এক সময় আক্ষেপ নিয়ে উচ্চারিত হবে হয়তো মেসির নাম। কিন্তু এই একটা প্রজন্ম কখনোই হয়তো ভুলতে চাইবে না ক্ষুদে যাদুকরের কথা। ফুটবল নিয়ে তার কারিকুরির কথা। এমন কী বার্সেলোনার গোল মেশিন, ৩১টি ট্রফি জয়ের নায়ককে নয়, মনে থাকবে টানা চার 'বিগ' ফাইনালে হেরে যাওয়া এই অসহায়, বিধ্বস্ত, মায়াবী ফুটবলারটিকেও। নতুন প্রজন্মের কাছে পেলে-গারিঞ্চা'রা নয়, রোজারিও'র বিস্ময় বালকটিই মুগ্ধতা ছড়িয়ে বেঁচে থাকবেন, আজীবন!

অভিনন্দন লিওনেল আন্দ্রেস মেসি!

   

ডিপিএলে বিতর্কিত আউট নিয়ে মুশফিকের ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ম্যাচ শেষে প্রাইম ব্যাংকের ক্রিকেটাররা মোহামেডানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতেই আসেননি। তামিম মাঠে ঢুকলেও সেটা ছিল আম্পায়ারদের কারণ জানাতে। তিনিও শুধুমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেছেন। মূলত মুশফিকুর রহিমের একটা ক্যাচ ধরাকে কেন্দ্র করেই এমনটা। যার কারণে খেলাও বন্ধ ছিলো ১৬ মিনিট। তামিম তখন আম্পায়াদের ভিডিওটাও দেখিয়েছিলেন যে সেটা ক্যাচ নয়, ছক্কা ছিলো। আসলেও তাই। ক্যাচ ধরার পর ফিল্ডার আবু হায়দার রনির পা স্পর্শ করেছিলো বাউন্ডারি-লাইন।

এবার সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মুশফিকুর রহিমের ফেসবুক পোস্ট। ক্যাচ ধরার সময় রনির পা বাউন্ডারির দড়ি স্পর্শ করেছে, এমন ছবি আপলোড দিয়ে মুশফিক লিখেন, 'মাশাআল্লাহ।' মূহূর্তেই যা হয়ে যায় ভাইরাল। অনেকেই বাহবা দিচ্ছেন এমন প্রতিবাদের। আবার অনেকেই প্রশ্নও তুলছেন মুশফিকের পেশাদারিত্ব নিয়ে।

মুশফিকের সেই পোষ্টে দুঃখ পোষণ করে কমেন্ট করেছেন প্রাইম ব্যাংকের আরেক ক্রিকেটার রুবেল হোসেন। ক্রিকেটার ছাপিয়ে এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন চিত্রনায়ক আরেফিন শুভ।

ডিপিএলে আম্পায়ারিং বিতর্ক এই আসরে এবারই প্রথম না। প্রাইমের বিপক্ষে আবাহনীর নাঈম শেখের নিশ্চিত আউট না দেওয়ায় প্রতিবাদ করেছিলেন তামিম। সাকিবের স্টাম্পে লাথি কিংবা স্টাম্প উপড়ে ফেলা তো উদাহরণ হয়ে আছেই।

;

শেখ রাসেল বীচ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন সিলেট ও চট্টগ্রাম



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের ডিভাইন ইকো রিসোর্ট পয়েন্টে আয়োজিত হয়েছে ষষ্ঠ শেখ রাসেল বীচ ফুটবল টুর্নামেন্টের বালক ও বালিকা অনূর্ধ্ব-১৫। তিন দিন ব্যাপী হওয়া এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল ছিল শুক্রবার। যেখানে বালক বিভাগে চট্টগ্রাম বিভাগকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেট বিভাগ। অন্যদিকে বালিকা বিভাগে সিলেটকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ।

বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন ক্রীড়া পরিদপ্তর কর্তৃক এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। যেখানে খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, ‘শেখ রাসেল ফুটবল বীচ টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি স্পোর্টস ট্যুরিজমকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়াও খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা ও মনোবল বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এ বীচ ফুটবল টুর্নামেন্ট।
এখান থেকে বাছাইকৃত সেরা খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আবুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক আ ন ম তরিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ক্রীড়া পরিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এবারের অনূর্ধ্ব-১৫ বীচ ফুটবল টুর্নামেন্টে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের মোট ১৬টি দল অংশ নেয়।

;

০ রানে ৭ উইকেট, টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী টি-টোয়েন্টিতে ০ রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন ইন্দোনেশিয়ান অফ স্পিনার রোহমালিয়া। সেরা বোলিং পরিসংখ্যানের এই কীর্তি রোহমালিয়া গড়েছেন নিজের অভিষেক ম্যাচেই। তার বোলিং ঘূর্ণিতে মাত্র ২৪ রানেই আলআউট হয়ে গিয়েছে মঙ্গোলিয়া। যাদের মধ্যে সাতজনই খুলতে পারেননি রানের খাতা। আর সেই সাত জনের পাঁচজনই আবার তার শিকার।

বুধবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে হওয়া সেই ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৫১ রান তুল স্বাগতিকরা। জবাব দিতে নেমে রোহমালিয়ার বোলিং তোপে মাত্র ২৪ রানেই গুঁটিয়ে যায় মঙ্গোলিয়া। ম্যাচ হারে ১২৭ রানের ব্যবধানে। তবে সেই ম্যাচ ছাপিয়ে আলোচনায় এখন ১৭ বছরের কিশোরী রোহমালিয়া।

এর আগে নারী টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং পরিসংখ্যানটি ছিল নেদারল্যান্ডসের পেসার ফ্রেডেরিক ওভারডিকের। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইপর্বে ফ্রান্সের বিপক্ষে ৩ রান খরচায় ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এই কীর্তি আছে আর্জেন্টিনার অ্যালিসন স্টকসেরও।

পেরুর বিপক্ষে ৩ রানে ৭ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে তারও। সেই ৭ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন এবার রোহমালিয়াও। তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেও আগের দুইজনকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। এর আগে ০ রানে ৬ উইকেট নেওয়ার কীর্তি অবশ্য ছিল নেপালের অঞ্জলি চাঁদের।

;

উড়তে থাকা হায়দরাবাদকে থামিয়ে কুফা কাটাল ব্যাঙ্গালুরু



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে একটা ধারণা প্রচলিত আছে, ব্যাটারদের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। বোলারদের কারণেই নিয়মিত ম্যাচ হারতে হয় তাদের। এবারের আইপিএলেও হেরে বসেছিল টানা ৬ ম্যাচ। সেই ধারণা অবশ্য গতকাল পাল্টে দিয়েছে দলটির বোলাররা। টানা ৬ ম্যাচ হারের পর টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে তারা। তাও এবারের আসরের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে। আর এমন জয়েই কুফা কেটেছে ব্যাঙ্গালুরুর। প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে আছে দলটি।

এ ম্যাচ শুরুর আগেও ভাবা হচ্ছিল, ভয়ঙ্কর হায়দরাবাদ এ ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করলে না তিনশ করে বসে। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। ভাগ্যের খেলা টসে হেরে শুরুতে বল করতে হয়েছে তাদের। আর তাদের বিপক্ষে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট খরচায় ২০৬ রানের লড়াকু ভিত পেয়েছে ব্যাঙ্গালুরু।

২০৬ রানের এই লক্ষ্যটাকে বিশাল বা রান পাহাড় না বলে লড়াকুই বলতে হচ্ছে; কারণ প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ এবারের আইপিএলে হরহামেশায় আড়াই শ পার করছে। তিনশ করার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলছে। সেই দলটির সামনে যখন ২০৬ রানের পুঁজি তখন সেটাকে বরং মামুলি বলায় শ্রেয়।

তবে সেই মামুলি লক্ষ্যটা এদিন জটিল হয়ে যায় দলটি পাওয়ার প্লেতেই ৪ উইকেট খুইয়ে ফেললে। এ সময় অভিষেক শর্মা তাণ্ডব চালিয়েছেন বটে, আর তাতে রানও এসেছে। তবে অপর প্রান্তে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে যায় হায়দরাবাদ। ১৩ বলে ৩১ রান করে একটা সময় থামতে হয় অভিষেককেও। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে দায়িত্ব নিতে পারেনি মিডল ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা। শেষ দিকে শাহাবাজের ৩৭ বলে ৪০ রানের অপরাজিত ইনিংস কেবলই হারের ব্যবধান কমিয়েছে। হায়দরাবাদের ইনিংস থেমেছে ৮ উইকেটে ১৭১ রানে। ব্যাঙ্গালুরু ম্যাচ জিতেছে ৩৫ রানে।

টুর্নামেন্টে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে উন্নতি না হলেও প্লে অফের দৌড়ে টিকে গেছে তারা। টুর্নামেন্টে আরও ৫টি ম্যাচ বাকি আছে তাদের। আর সেই ম্যাচগুলোতেও জিততে হবে ব্যাঙ্গালুরুকে। সেই সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি দলগুলোর ওপর। তবেই মিলবে ব্যাঙ্গালুরুর প্লে অফে যাওয়ার কঠিন সমীকরণ।

;