কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে পাটে

  • মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে পাটে। ছবি: বার্তা২৪.কম

কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে পাটে। ছবি: বার্তা২৪.কম

মেহেরপুর: গত কয়েক বছর ধরে পাট চাষ করে লোকসান দিয়ে আসছে মেহেরপুরের চাষিরা। ফলে চলতি মৌসুমে পাট চাষ কমেছে। তবে এ বছর কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখছে চাষিরা। গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে পাটের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষি এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

জানা গেছে, সোনালি আঁশের দেশ বাংলাদেশ। কিন্তু পাটের সেই সুদিন এখন আর নেই। গেল কয়েক বছর ধরে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় অনেকেই পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ফলে মেহেরপুরে দিন দিন কমছে পাটের আবাদ। কিন্তু চলতি বছরে পাটের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। চৈত্রের শুরুতে বৈরী আবহাওয়ায় পাট চাষ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় পাট জাগ দিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না চাষিদের। বিঘা প্রতি পাট চাষে খরচ ৮-১০ হাজার টাকা। সেখানে পাট বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এতে কিছুটা হলেও লাভ পাচ্ছে পাট চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে জেলায় ২০ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। যা থেকে ৭৫ লাখ ৫৬ হাজার ১০৯ বেল পাট উৎপাদন হবে। গতবার পাটের আবাদ ছিল প্রায় ২৭ হাজার হেক্টর।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/06/1536226150624.jpg

সদর উপজেলার বুড়িপোতা গ্রামের পাট চাষি শহিদুল ইসলাম জানান, গত বছর পাটের মণ ছিল ৮শ থেকে এক হাজার টাকা। এতে চাষিরা ব্যাপক লোকসান গুনেছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে সোনালি আঁশ খ্যাত পাট গত দুই বছর চাষি ও ব্যবসায়ীদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারণ দুই লক্ষাধিক মণ পাট চাষি ও ব্যবসায়ীদের গুদামে অবিক্রিত রয়ে যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা। বাজারে ক্রেতা না থাকায় তারা পাট বিক্রি করতে পারেনি। তবে ২০১৬ ও ২০১৭ মৌসুমের পাট চলতি মৌসুমে বিক্রি হয়েছে।

জেলার বড় পাট ব্যবসায়ী গাংনীর হাজী আলফাজ উদ্দীন জানান, ব্যবসায়ীরা পাট বিক্রি করতে পেরেছে। এই মৌসুমে নতুন পাট কেনার তোড়জোড় চলছে। ভালো মানের পাটের বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি মণ ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা। এমন দাম থাকলে চাষি ও ব্যবসায়ী উভয়েই লাভবান হবেন।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. আখতারুজ্জামান জানান, এ অঞ্চলে প্রবাহমান নদী কম। তাই নদীতে কাদা মাটি ও কলাগাছ চাপা দিয়ে চাষিরা পাট জাগ দেয়। পলিথিনের উপর কংক্রিট বসিয়ে পাট জাগ দেয়া অথবা রিবন রেটিং পদ্ধতিতে করলে পাটের দাম আরও বেশি পাওয়া সম্ভব।