টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সঙ্গে এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বৈঠক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সঙ্গে এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বৈঠক-বার্তা২৪।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সঙ্গে এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বৈঠক-বার্তা২৪।

ডাক, টেলি যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসভেন মিকসের সাক্ষাৎ করেছেন।

রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন।

বিজ্ঞাপন

সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি বিশেষ করে বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির অগ্রগতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করেন।

সাক্ষাতে বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুপ্রতীম সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, এস্তোনিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে অনেক মিল রয়েছে।  বাংলাদেশসহ এশিয়ার অধিকাংশ দেশ প্রথম তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেছে। এস্তোনিয়াও এ তিনটি শিল্প বিপ্লবে শরিক হতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে বিশ্বে নেতৃত্ব প্রদানকারী দেশের কাতারে উপনীত হয়েছে এখন।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের জিডিপির শতকরা ৯৮ভাগ একসময় কৃষিখাত থেকে আসত। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে বাংলাদেশে মূলত ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। ২০০৯ সাল থেকে গত সাড়ে ৯ বছরে এ খাতে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। চলতি বছর শেষে দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছে যাবে। বাংলাদেশ ৫৭তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। ৫জির সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানিতে বাংলাদেশ সফলতার স্বাক্ষর রাখছে। সরকারি ব্যবস্থাপনা  ডিজিটালাইজ হচ্ছে।

সরকারের বিনিয়োগ বান্ধব নীতির ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ অত্যন্ত লাভ জনক। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যকার বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

এস্তোনিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির বিভিন্নদিক তুলে ধরে এসভেন মিকসের বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তাসহ ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে এস্তোনিয়া কাজ করছে।’ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন তিনি। বাংলাদেশের এ খাতের অগ্রগতির অভিজ্ঞতা অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে বলে জানান তিনি।

এ সময় এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্টের বিশেষ কূটনৈতিক প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রিহো ক্রব এবং এশিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা বিষয়ক পরিচালক ইনগ্রিদ আমের প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।