রংপুরে বাস দুর্ঘটনা: প্রতিবেদনে ‘বেপরোয়া গতি’ দায়ী
রংপুর: দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আটজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বাসের বেপরোয়া গতিকে দায়ী করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল মান্নাফ কবির।
সোমবার দুপুরে (১০ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীবের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেন তিনি।
গত ২ সেপ্টেম্বর রংপুর মহানগরীর সিও বাজার বিজিবি সদর দপ্তরের পাশে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে বিআরটিসির বাসের সঙ্গে রুবি পরিবহন নামে অপর একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে একই পরিবারের তিনজনসহ নারী ও শিশু মিলে আটজন মারা যায়। ওই দুর্ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। সোমবার দুপুরে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটির প্রধান রশিদুল মান্নাফ কবির।
রশিদুল কবির জানান, বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। রুবি পরিবহনের চালক বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালান। ব্যাটারি চালিত একটি ইজিবাইককে ওভারটেক করতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা বিআরটিসির বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ফিটনেসবিহীন বিআরটিসির বাসটি সড়কে চলাচলের উপযোগী ছিল না। বাসটির বডি ছিল খুবই দুর্বল। এ কারণে মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। বিআরসিটি বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ায় হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।
তিনি আরও জানান, এ দুর্ঘটনায় কোতোয়ালি থানার এসআই মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে দুই বাসের চালক, সহকারী, রুবি পরিবহনের মালিক ফারুক মণ্ডল ও বিআরটিসির বগুড়া ডিপোর তত্ত্বাবধায়ককে আসামি করে মামলা করেন। বিআরটিসির বাসটি ওই দিন বগুড়া থেকে পঞ্চগড় যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে।
প্রতিবেদনে সড়ক-মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন ভারী যান চলাচল বন্ধ করার পাশাপাশি অটোরিকশা, ভটভটি, নসিমন, করিমন ও টেম্পো চলাচল নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে দুর্ঘটনার আট দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইফুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, আসামিরা গা ঢাকা দেওয়ায় গ্রেফতারে বিলম্ব হচ্ছে। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।