রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার পেতে বিশ্বজুড়ে জনমত কাজে লাগাতে হবে
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের যে গণহত্যা চালানো হয়েছে তার বিচার পেতে হলে বিশ্বজুড়ে জনমত কাজে লাগাতে হবে।
বিশ্বের সকলে মিয়ানমারকে চাপ দিলেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং নাগরিক অধিকার নিয়ে তাদের আবাস-ভূমিতে ফিরতে পারবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) ‘ওয়ান ইয়ার অন: টাইম টু পুট উইমেন অ্যান্ড গার্লস এট দ্য হার্ট অব দ্য রোহিঙ্গা রেসপন্স’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন।
রাজধানীর মহাখালিতেএকটি বেসরকারি মিলনায়তনে প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের জন্য স্থায়ী এবং টেকসই সমাধান জরুরি। সে জন্য আমরা মিয়ানমারেরর সঙ্গে কূটনীতি ও দ্বিপক্ষীয়ভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তি করা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশের বিশেষ মনোযোগ রয়েছে। ১১ টি নিরাপত্তা চৌকিতে অতিরিক্তি ১ হাজার ২০০ জন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। রাতের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ৫০টি স্ট্রিট লাইট, ১০টি ফ্লাড লাইট এবং ১ হাজার ৪০টি সোলার বাতি রাস্তাকে আলোকিত করছে।
‘ওয়ান ইয়ার অন: টাইম টু পুট উইমেন অ্যান্ড গার্লস এট দ্য হার্ট অব দ্য রোহিঙ্গা রেসপন্স’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে অক্সফামের পক্ষ থেকে বলা হয়, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর যেসব নারীরা বাংলাদেশের একাধিক আশ্রয় শিবিরে বাস করছে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না, পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পাচ্ছে না। প্রয়োজনীয় সেবা না পাওয়ায় এইসব নারীরা বিভিন্ন ধরনের অপব্যবহারের ঝুঁকিতে রয়েছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অক্সফামের আয়োজনে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক প্রতিনিধি দিপঙ্কর দত্ত, সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, জাতিসংঘের নারী বিষয়ক আবাসিক প্রতিনিধি শকো ইসিকাওয়াসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।