পুঁজিবাজার স্থিতিশীল অবস্থায় উন্নীত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
স্থিতিশীল, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আর্থিক খাতের অন্যতম স্তম্ভ পুঁজিবাজারের বিকাশে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছি। পুঁজিবাজার আজকে স্থিতিশীল অবস্থায় উন্নীত হয়েছে। বিশ্বে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার দ্রুত বিকাশমান ও সম্ভাবনাময় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।’
বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর রজতজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য শিল্পায়নের দিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছি। প্রায় ১০০ টি শিল্পাঞ্চল সমগ্র দেশে গড়ে তুলছি যাতে করে সমগ্র বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া আপনারা জানেন যে, বেসরকারি খাতকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। যখন আমি ১৯৯৬ সালে সরকারে আসি তখনি কিন্তু সবকিছু বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। একদিকে আমাদের যেমন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে অন্যদিকে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণ হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরো বলেন, আমাদের ঘোষণা ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব, এবং দিন বদলের সনদ হিসেবে আমরা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিলাম। আজকে সত্যিই মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে। দিন বদল শুরু হয়েছে এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। সমগ্র বাংলাদেশেই ডিজিটালের সার্ভিস আছে। আমরা বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটও উৎক্ষেপণ করেছি। যার সূচনা জাতির পিতা করেছিলেন।১৯৭৫ সালের ১৫ জুলাই তিনি বেতবুনিয়াতে প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র করে যান। তিনি যে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করে গিয়েছিলেন এরপর আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে আজকে মহাকাশ আমরা জয় করেছি। আমরা স্যাটেলাইট ক্লাবে আজ স্থান পেয়েছি। ঠিক এভাবে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যে প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করবেন, সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সকল তথ্য সংগ্রহ করে নেবেন। সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেবেন। কোথায় আপনি বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন বা সেটার ভবিষ্যতটা কি সেটা বিস্তারিত জেনে নেবেন। এবং সে ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ থাকবেন। এবং বিনিয়োগ করে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হোক এটা আমরা কখনো চাই না। আর খুব বেশি যেন লোভে না পড়ে যান। সীমা রেখে পা ফেলতে হবে। তাহলেই কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। সেটাই আমার অনুরোধ থাকবে। কারণ আপনারা যাই করেন না কেন গালিটা খেতে হয় সরকারের।
‘ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের অনুরোধ করবো, কারো কথায় প্ররোচিত না হয়ে নিজে জেনে বুঝে তারপরে পদক্ষেপ নিতে নিতে হবে, তারপরে বিনিয়োগ করতে হবে।’
পুঁজিবাজরের উন্নয়নে ভবিষ্যতে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুঁজি বাজার হবে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের এক নির্ভরযোগ্য উৎস। আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলতে চাই না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই।’
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সচিব, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)’র কর্মকর্তাসহ পুঁজি বাজার সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।