ঝুঁকিপূর্ণ, তবুও বসবাস



রেজাউল করিম মানিক, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঝুঁকিপূর্ণ, তবুও বসবাস। ছবি: বার্তা২৪.কম

ঝুঁকিপূর্ণ, তবুও বসবাস। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট: পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ের বিভাগীয় সদর দপ্তর লালমনিরহাটে অর্ধশতাধিক পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে বসবাস। ভবনগুলো ব্রিটিশ সরকারের আমলে নির্মিত হলেও এগুলো সংস্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। জরাজীর্ণ ভবনগুলো যেকোনো সময় ধসে পড়ে ব্যাপক জানমালের ক্ষতির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

এছাড়া অধিকাংশ ভবনই এখন নেশাখোরদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। পরিত্যক্ত এই ভবনগুলো এখন মাদক ব্যবসার নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। রেলকর্তৃপক্ষ দেখেও তা না দেখার ভান করে বসে আছে।

রেলওয়ে অফিস সূত্র জানায়, ব্রিটিশ শাসনামলে রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসনের কথা বিবেচনা করে ৫১টি কোয়াটার নির্মিত হয় লালমনিরহাট শহরে। এ সময় রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নির্মিত হয় বাসভবনগুলো। সেই বাসভবনগুলো দীর্ঘদিনেও সংস্কারের উদ্যোগ না নেয়ায় বর্তমানে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ৫১টি কোয়াটারের মধ্যে বর্তমানে ১৩টিতে বসবাস করছে লালমনিরহাট রেল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আর বাকি ৩৮টি কোয়াটারে বাস করছে রেলওয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের আত্মীয়-স্বজন ও বহিরাগতরা। কিন্তু অধিকাংশ ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যবহার অনুপযোগী। তারপরও সেখানে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে আসছে স্থানীয়রা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভবনগুলোর বিভিন্ন অংশে বড় বড় ফাটল ও আগাছা রয়েছে। এছাড়াও ভবনগুলো দাগি আসামি ও মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে অনেকেই। সরকারের পক্ষ থেকে পুরনো ভবনগুলো ভেঙে নতুন ভবন স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হলে রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরাপদে বসবাস করতে পারত বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভবনগুলোতে বসবাসরত অনেকেই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দখলে নিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষকে ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে আয় করছে টাকা। আবার রেলওয়ের সামান্য বেতনে বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত কর্মচারীরা রয়েছে এসব ভবনে। ব্রিটিশ আমলের জরাজীর্ণ ভবনগুলোর একাধিক স্থানে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ফাটল। খসে পড়েছে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক অবকাঠামো, বের হয়ে গেছে লোহার রড। এসব ভবনে বেড়ে ওঠা পরগাছাগুলো দেয়াল ভেদ করে অথবা দেয়াল জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। দেয়াল, সিঁড়ি, ছাদ সব স্থাপনাই এখন ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

শহরের বাবু পাড়া, সাহেব পাড়া ও ড্রাইভার পাড়া এলাকায় অধিকাংশ ভবনের ছাদে ফাটল, কোনো কোনো ভবনের ইট ইতোমধ্যে খুলে গেছে। এরপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভবনগুলোতে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছে রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাদের আত্মীয়-স্বজন ও বহিরাগতরা। জরাজীর্ণ এসব ভবনগুলোর ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছে সচেতন এলাকাবাসী ।

কোয়াটারে বসবাসকারী অনেকে জানান, তাদের নিজস্ব কোনো জায়গা জমি নেই। তাই ঝুঁকি জানা সত্ত্বেও এখানে বসবাস করছে।

অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মচারী মোশারফ হোসেন বলেন, ‘১৯৬৫ সাল থেকে রেলওয়েতে চাকরি করেছি। সেই সময় থেকেই ভবনগুলো দেখে আসছি। ভবনগুলো রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য ইংরেজরা নির্মাণ করেন। কিন্তু দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ভবনগুলো সংস্কার না করায় এখন বসবাসের মারাত্মকভাবে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আজ থেকে ২৫ বছর আগে রেলওয়ের পক্ষ থেকে মাইকিং করে ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। বেরিয়ে যেতে বলা হয়েছে বসাবাসকারীদের। তারপরও সেখানে বাস করলে কী আর করার আছে?

বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানান, ভবনগুলো পুনরায় মেরামত করার জন্য বরাদ্দ চেয়ে বিভিন্ন সময় আবেদন করা হয়েছে। তবে বরাদ্দ না পাওয়ায় সংস্কার করা যাচ্ছে না।

   

কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্ত হলেন মামুনুল হক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।

কারা কতৃপক্ষ সূত্র জানায়, মাওলানা মামুনুল হক দীর্ঘদিন যাবত কারাগারে বন্দি ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে তার জামিনের কাগজ কারাগারে এসে পৌঁছায়। তবে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা থাকায় তা যাচাই-বাছাই করতে অনেক সময় লাগে। যার কারণে গতকাল তাকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তার সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার বড় ভাই এর জিম্মায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

এর আগে তার মুক্তির খবরে রাতভর গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাফটকে অপেক্ষা করেছেন হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।
এর পরপরই ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখান পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে এসব মামলায় তিনি কারাভোগ করছেন।

;

গৌরনদীতে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলুকে গুলি করে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বাটাজোর বাজারে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন মিয়ার সাথে গণসংযোগে যায় ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ ও তার সমর্থকরা।

আহতের স্বজনদের অভিযোগ, বাটাজোর বাজারে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক মেয়র হারিছুর রহমানের সমর্থক দিলু হাওলাদার, মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাসেল রাঢ়ীসহ অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসীরা ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলা চালিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমান নিজে উপস্থিত হয়ে দ্বিতীয় দফায় ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুকে গুলি চালায় এবং তার বাহিনীদের পিকলুকে মেরে ফেলার নির্দেশ দেয়। হারিছের নির্দেশের পরপরই তার সন্ত্রাসী বাহিনী পিকলুকে এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে জখম করে অবরুদ্ধ করে রাখে।

এসময় ইউপি চেয়ারম্যানের মোটরসাইকেল চালক পলাশ হাওলাদারকেউ কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের স্বজনরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে।

উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরি ও পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে পৌঁছে আহতদের বরিশাল শেরই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

তবে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমান হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে, চেয়ারম্যান সমর্থকদের হামলায় তার সমর্থক দিলু হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

বরিশাল গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

;

৩৫ হাজার রিকশাচালককে ছাতা দিবে মেয়র আতিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর উত্তরায় রিকশা চালকদের মাঝে ছাতা, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে অর্ধশতাধিকের বেশি রিকশা চালকদের এসব বিতরণ করেন উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

এর আগে উত্তরার ওই সেক্টরে একটি খেলার মাঠে হাঁটার রাস্তার উদ্বোধন করেন তিনি। 

এদিকে তীব্র গরমে সরাসরি সূর্যের তাপ থেকে রক্ষায় ছাতা ও অন্যান্য উপকরণ পেয়ে খুশি রিকশা চালকরা। ১২ দিনের খাবার স্যালাইন, একটি পানির বোতল ও রিকশার সামনে শক্তিশালী ছাতা গরম ও বৃষ্টি থেকে রক্ষাতে ভালো ভূমিকা রাখবে বলে জানান তারা।


কাশেম নামের এক রিকশা চালক বলেন, এই গরমে আমাদের স্যালাইন পানি দিলো। ছাতা দিয়েছে। আমাদের এখন কষ্ট কম হবে। আমরা সব সময় ছায়ায় থাকব। মেয়রকে ধন্যবাদ। 

বাশার উদ্দিন নামে আরেক রিকশা চালক বলেন, ছাতাটা খুব উপকারে আসবে। বৃষ্টির সময়ও আমাদের আর ভিজতে হবে না।

উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় লাইসেন্স ধারী ৩০ হাজার ও অন্যান্য সংস্থা থেকে অনুমোদিত ৫ হাজারসহ মোট ৩৫ হাজার রিকশাচালককে ছাতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রায় ৩৫ হাজার রিকশা চালক আছে আমাদের উত্তর সিটিতে। যাদের লাইসেন্স আছে তাদের সকলকে আমরা একটা করে ছাতা দিব। কারণ এরা যদি গরমে অসুস্থ হয়, একদিন ইনকাম করতে না পারে তাহলে তাদের বাড়িতে রান্না হবে না। আমরা তাদের জন্য ১২টি স্যালাইন ও একটি পানির পট দিয়েছি। ঘেমে যে লবণ তাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায় তা এই স্যালাইনের মাধ্যমে পূরণ হবে। 

ছাতা বিতরণ শেষ ওয়াটার ক্যানন স্প্রে মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টি ছড়ানো হয় উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর এলাকায়। কৃত্রিম বৃষ্টিতে মেয়র আতিকুল ইসলামসহ সর্ব স্তরের মানুষ উল্লাস করেন।

;

গাইবান্ধায় অতিরিক্ত গরমে পল্লী বিদ্যুতের বিলিং সহকারীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার সাঘাটায় অতিরিক্ত গরমে সেলিনা (৪৫) নামের পল্লী বিদ‍্যুৎ সমিতিরর এক বিলিং সহকারীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে উপজেলার বোনারপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসেই তার মৃত্যু হয়।

সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিয়া আফরিন মোবাইল ফোনে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত সেলিনা ওই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিলিং সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি রংপুর শহরের জুম্মাপাড়ার মৃত হাসান উল্ল‍্যা শরীফের মেয়ে। চাকরির সুবাদে বোনারপড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।

বোনারপাড়া পল্লী বিদ‍্যুৎ সমিতির জেনারেল ম‍্যানেজার কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে মুঠোফোনে জানান, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে অফিসে আসেন সেলিনা। আসার কিছুক্ষণেই মধ্যেই তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এ ঘটনার সাথে সাথেই সহকর্মীরা তাকে চিকিৎসার জন্য সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখানে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত্যুর ব্যাপারে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিয়া আফরিন বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই রাত মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমের কারণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

এরআগে, জেলার পলাশবাড়িতে মে দিবসের (১মে) কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গরমে অসুস্থ্য হয়ে সাজু মিয়া (৫৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

ওই দিন তাদের সংগঠনের মে দিবসের র‍্যালীতে অংশ নেন সাজু। র‍্যালী শেষে পলাশবাড়ি উপজেলা পরিষদ টাউন হলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাজু টাউন হল থেকে বের হয়ে উপজেলা পরিষদের গেইটের সামনে এসে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়। পরে সেখানকার উপস্থিত লোকজন চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি কালেই তার মৃত্যু হয়।

নিহত সাজু মিয়া উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ছোটবনপাড়া গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। তিনি বাসের সহকারী (হেলপার) ছিলেন এবং গাইবান্ধা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য।

;