কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বোরিং শুরুর প্রস্তুতি



সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) বসানো হচ্ছে- বার্তা২৪।

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) বসানো হচ্ছে- বার্তা২৪।

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম থেকে ফিরে: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর একপাড়ে নগর ও বন্দর এবং অপর পাড়ে ভারী শিল্প এলাকা। এই দুই এলাকার সংযোগ ঘটিয়ে নদীর ভেতর দিয়ে টানেল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। নদীর তলদেশে সড়ক গড়তে খনন শুরু করতে যাচ্ছে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান। এজন্য টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) ।

প্রস্তাবিত টানেল চট্টগ্রাম বন্দর নগরকে কর্ণফুলী নদীর অপর অংশের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করবে এবং পরোক্ষভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মাধ্যমে সারা দেশের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। প্রস্তাবিত টানেল সাইটে নদীর প্রস্থ ৭০০ মিটার এবং পানির গভীরতা ৯-১১ মিটার। প্রস্তাবিত টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৪০০ মিটার।

বর্তমান সরকার চট্টগ্রামে যেসব বড় প্রকল্পের কাজ করছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। চট্টগ্রামের মানুষ প্রতীক্ষায় রয়েছেন এ প্রকল্পের শেষ দেখতে। প্রকল্প পরিচালক হারুন উর রশীদ জানিয়েছেন, ২০২২ সালের পুরোটা লাগবে এটি শেষ হতে। ২০২৩ সালে টানেল যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ।

টানেল চট্টগ্রাম বন্দর নগরকে কর্ণফুলী নদীর অপর অংশের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করবে এবং পরোক্ষভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মাধ্যমে সারা দেশের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, কর্নফুলী টানেলের কাজ ২৪ শতাংশ শেষ হয়েছে। সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে বাংলাদেশের আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে, বাকি অর্থ দিচ্ছে চীন।

সরজমিন চট্টগ্রাম টানেল নির্মাণ বন্দর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টানেলের বোরিং মেশিন চীন থেকে স্থাপনের কাজ চলছে। এ মাসের শেষদিকে মেশিনটি বোরিং কাজ শুরু করবে মেরিন একাডেমি সংলগ্ন এলাকা থেকে।

চার লেইনের তিন দশমিক চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্য দুই টিউবে নদীর তলদেশে যাবে টানেল। পূর্ব পশ্চিম প্রান্তে হবে পাঁচ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক।

   

চট্টগ্রামে আবাসিক হোটেলে আগুন, ধোঁয়ায় একজনের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন একটি আবাসিক হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আগুনের ধোঁয়ায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে অলঙ্কার মোড়ে ‘হোটেল রোজ ভিউ’ নামে আবাসিক হোটেলে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল বারেক (৫৫) চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি ওই হোটেলের একটি কক্ষে ছিলেন।

চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক জানান, রাত ১১টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পৌনে ১টার দিকে আগুন নেভানো সম্ভব হয়। আগুন নেভানোর পর হোটেলের ৩০৬ নম্বর কক্ষ থেকে বারেককে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বৈদুত্যিক গোলযোগে হোটেলের স্টোররুম থেকে লাগা আগুনের ধোঁয়া ওই কক্ষে ছড়িয়ে পড়ে।

পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রোজিনা খাতুন বলেন, প্রাথমিকভাবে জানত পেরেছি, তিনি শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন। আগুনের ধোঁয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে তিনি মারা গেছেন। নিহত বারেকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

;

নকল পণ্য তৈরিকারীদের ব্যাপারে তথ্য দিতে অনুরোধ ডিবি প্রধানের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যারা নকল স্যালাইন, শিশু খাদ্য ও বিভিন্ন পণ্য তৈরি করছে তাদের ব্যাপারে কোন ধরনের তথ্য থাকলে তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে জানাতে অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নিজ অফিসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

ডিবি প্রধান বলেন, ভেজাল পণ্য তৈরি করে তা বিক্রি করা অপরাধ। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান (ভোক্তা অধিকার, বিএসটিআই) তাদের কাজ করবে, আমরা আমাদের কাজ করবো। যারা শিশুর নকল খাবার তৈরি করবে, নকল স্যালাইনতৈরি করবে তাদের লাইসেন্স আছে কিনা, এটা জানার অধিকার একজন নাগরিকের আছে। তারাও তাদের জিজ্ঞেস করতে পারে।

হারুন বলেন, এলাকার লোকজন তাদের না ধরুক অন্তত তথ্য দিলে আমাদের জন্য সহায়ক হবে। তাহলে আমরা তাদের গ্রেফতার করতে পারব। এজন্য আমি সকলকে অনুরোধ করব যারা নকল ড্রিঙ্কস, জুস বানাচ্ছে, লবণ চিনি মিশিয়ে নকল স্যালাইন তৈরির তথ্য দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্প্রতি মতিঝিলসহ রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় অভিযান চালিয়ে নকল স্যালাইন তৈরিকারী কয়েকটি চক্রকে গ্রেফতার করেছে ডিবি।

;

ধানের দাম মণ প্রতি ১৫০০ টাকা করার দাবি



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষকদের উৎপাদিত ধানের প্রতি মণের মূল্য ১৫০০ টাকা করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা শাখা।

বুধবার (৮ মে) গৌরীপুর-রামপুর আঞ্চলিক সড়কের বীরআহাম্মদপুর এলাকায় এই কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে সংগঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও স্থানীয় কৃষকরা অংশ নেয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই বেরো মৌসুমে পাইকাররা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি মণ মোটা ধান ৭০০ টাকা দরে ক্রয় করছেন। এই ধান বেঁচে এক কেজি গরুর মাংস কেনা যায় না। এছাড়াও ধানের আড়তদার ও মহাজনরা ঢলতা প্রথার নামে প্রতি মণে ২/৩ কেজি করে ধান বেশি নেয়ায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আমরা প্রতি মণ ধানের মূল্য ১৫০০ টাকা, ঢলতা বাতিল ও সরকারি ভাবে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার দাবি জানাই।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কৃষক সমিতি গৌরীপুর শাখার সভাপতি মজিবুর রহমান ফকির, সহসভাপতি তোফাজ্জল হোসেন হেলিম, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসনাত, কৃষক মো. স্বপন মিয়া, ফখর উদ্দিন মাস্টার, উসমান গনি, শরীফুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, লূত মিয়া, উজ্জল মিয়া প্রমুখ।

;

অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই: বিটিআরসি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যেসব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন প্রচলিত রয়েছে, সেগুলো বন্ধের প্রয়োজন হলে গ্রাহকদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে। তাই অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে, এমনটি ভেবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ।

বুধবার (৮ মে) দেশের টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে বিটিআরসির গণশুনানিতে অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ রিয়াজ বলেন, দেশে ব্যবহৃত অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন নিয়ে গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বর্তমানে দেশের নেটওয়ার্কে নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত উভয় মোবাইল ফোন সচল রয়েছে। তবে যেসব অবৈধ ফোন প্রচলিত রয়েছে, সেগুলো বন্ধের প্রয়োজন হলে গ্রাহকদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে। তাই অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে, এমনটি ভেবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।

তবে ফোন কেনার সময় যাচাই করে নিবন্ধিত ফোন কেনা উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার এবং বিটিআরসির পক্ষ থেকে আমি গ্রাহকদের অনুরোধ করবো, সবাই যেন নিবন্ধন করা মোবাইল ফোন কেনেন। আমরা অনিবন্ধিত মোবাইল ফোনের বিষয়ে আপনাদের নিরুৎসাহিত করছি।

‘সব মোবাইল সেটই নেটওয়ার্কে কাজ করবে। কোনোটাই বন্ধ করা হবে না।’কারও কাছে অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন থাকলে বিটিআরসিতে এলে সেগুলোর নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান রিয়াজ আহমেদ।

গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়া বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্ব কমিশনের অন্যান্য কমিশনাররাও বিভিন্ন গ্রাহক ও প্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

;