প্রেম নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হয়েছে কলেজ ছাত্র রওনক : পুলিশ



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৪

  • Font increase
  • Font Decrease
প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজারে কলেজছাত্র রওনক হোসেন রনো হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচজনকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একথা বলেন ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম খাঁন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রিয়াজ আলম ওরফে ফারহান, ফাহিম আহম্মেদ ওরফে আব্রো, ইয়াসিন আলী, আল আমিন ওরফে ফারাবী খাঁন এবং লিজা আক্তার ওরফে মাইশা। গত ১ মার্চ শাঁখারী বাজারে দোল উৎসবের ভিড়ের মধ্যে কলেজছাত্র রওনককে (১৮) ছুরি মারে একদল যুবক। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে। আজিমপুর নিউ পল্টন লাইন স্কুল ও কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র রওনক কামরাঙ্গীরচরে রনি মার্কেট এলাকার শহিদ মিয়ার ছেলে। বন্ধুদের সঙ্গে দোল উৎসব দেখতে পুরান ঢাকায় গিয়ে তিনি নিহত হন। পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে উপ-কমিশনার ইব্রাহিম বলেন, মাইশা নামে এক তরুণীর সঙ্গে রওনকের প্রেম ছিল। ওই সম্পর্ক ভেঙে তুহু নামে আরেক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন রওনক। কিন্তু তুহুকে অন্য এক ছেলে পছন্দ করে। ওই ছেলের সঙ্গে রওনকের ঝগড়াও হয়েছিল। “প্রতিশোধ নিতে ওই যুবকের পরিকল্পনায় হোলি উৎসবে রওনককে খুন করা হয়।” ওই যুবকের নাম প্রকাশ না করে তিনি বলেন, “তাকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাই সঙ্গত কারণেই তার নামটি বলছি না।” ওই যুবকের এই পরিকল্পনায় রওনকের সাবেক প্রেমিকা লিজাও জড়িয়ে পড়েন বলে পুলিশের দাবি। উপ-কমিশনার ইব্রাহিম বলেন, ঘটনার দিন রওনক কামরাঙ্গীর চরের বাসা থেকে বেরিয়ে কলাবাগানে অন্য বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন। “তুহুকে যে ছেলে পছন্দ করত তার পরিকল্পনায় মাইশার প্ররোচনায় রওনকসহ আট বন্ধু শাঁখারী বাজার যায়। রওনক পৌঁছনোর আগেই ওই যুবকসহ কয়েকজন লক্ষ্মীবাজার কেএফসির সামনে একত্রিত হয়। সে সময় কয়েকজনকে ছুরি সরবরাহ করে ওই যুবক।” রওনক শাঁখারী বাজার শনি মন্দিরের সামনে গেলে প্রথমে মারধর এরপর ছুরিকাঘাত করা হয়। উপ-কমিশনার ইব্রাহিম বলেন, “তুহুর দুই প্রেমিকের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। তবে খুনের ঘটনার সঙ্গে তুহুর কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।” রওনক, মাইশা, তুহু কিংবা এই বন্ধু মহলের কেউ কোনো নির্দিষ্ট এলাকা কিংবা একই প্রতিষ্ঠানের নয় বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা ইব্রাহিম। পুলিশ বলছে, ফারহান নিজেই ছুরিকাঘাত করেছিলেন। ফোরহানসহ পাঁচজনকেই মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। তাদের ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ডের আবেদনে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলা হয়, রওনককে কিল-ঘুষির পাশাপাশি কোমর ও উরুতে ছুরিকাঘাত করা হয়। রওনক তখন দৌড়ে শনিদেব মন্দিরের কাছে এক আইনজীবীর চেম্বারে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে তার বন্ধুরা তাকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার মৃত্যু ঘটে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই (তদন্ত) জানে আলম মুনশী জানান। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে ১০ দিন করে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল ‍পুলিশ। শুনানি শেষে প্রত্যেককে তিন দিন হেফাজতের নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস। শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহ আলম বলেন, “এরা কিশোর, অপ্রাপ্ত বয়স্ক। শিশু আদালতে তাদের শুনানি হওয়া উচিত। আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার বিধান থাকলেও তাদের হাজির করা হয়েছে ৪৮ ঘণ্টা পর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে।”
   

বীর মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহ, পৌর মেয়রের বিচারের দাবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. মঞ্জুরুল আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করে প্রকাশ্যে অবমাননার ঘটনায় মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের একটি চাইনিজ রেস্তোরায় মেয়র রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অবমাননার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুবিচার চেয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মঞ্জুরুল আলমের ব্যবসায়ীক অংশীদার সৈয়দ আহম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজল ইসলাম, জাফর আহমেদ ভূঁইয়া ও মোকতার আহমেদ ভূঁইয়া।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মঞ্জুরুল আলম বলেন, ২০২২ সালে রায়পুর থানা মসজিদ সংলগ্ন আমি ও আমার অংশীদার যৌথভাবে একটি ৯ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করি। শুরু থেকেই মেয়র রুবেল ভাট আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে আসছে। কিন্তু আমি চাঁদা দেবো না বলছি। এরমধ্যেই পঞ্চম তলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ষষ্ঠ তলার কাজ চলমান রয়েছে। গত ৪ মার্চ মেয়র রুবেল ভাটের লোকজন এসে আমাদের ভবনের সামনে রাউন্ড দেওয়াল ভেঙে দেয়। আমি এসে কারণ জানতে চাইলে তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। একইদিন আমি ওমরাহর জন্য রায়পুর থেকে চলে যায়। আমার অংশীদার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ আহম্মদ অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপরও পরদিনের একটি মারামারির ঘটনা সাজিয়ে মেয়র তার কার্যালয়ের কার্যসহকারী মহিন উদ্দিন বিপুকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ চাঁদা দাবির ঘটনায় আমি মেয়র রুবেলভাটসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে ২১ এপ্রিল মামলা দায়ের করি। এর জের ধরে আমার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে মেয়রের লোকজন আমার কুশপুত্তলিকা দাহ ও ঝাড়ু মিছিল করেছে। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মঞ্জুরুল আলমের ব্যবসায়ীক অংশীদার সৈয়দ আহম্মদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বর্তমান সরকারের অন্যতম স্লোগান। এরপরও মেয়র রুবেল ভাট একজন মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে। মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করিয়েছে। যারা দেশ স্বাধীন করেছে তাদের এমন অপমান কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। আগে জানতাম না, পরে শুনেছি। আমি পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র আমার পক্ষে লোকজন আসতেই পারে। কেউ যদি এসে মিছিল বা অন্য কিছু করে তাতো আমার বিষয় না। পক্ষে-বিপক্ষে লোকজন থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, মেয়রের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে আদালতের নির্দেশনা পেয়েছি। আগামি ৬ জুনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এছাড়া পৌর কর্মচারী বিপুও একটি মামলা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে। দুটি মামলাই তদন্ত চলছে। মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহের ঘটনাটি জানা নেই।

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মিছিল হয়েছে শুনেছি। কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘটনাটি জানা নেই। কেউ আমাকে বলেনি। এমন ধরণের ঘটনা অবশ্যই ঘৃণিত কান্ড। এ ঘটনায় তিনি মানহানি মামলা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁকে সহযোগীতা করা হবে।

;

বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের আশুলিয়ায় একটি বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মুখ ও মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত নারীর নাম আনজু খাতুন (৩১)। তিনি গাইবান্ধা জেলার সদর থানার ঘাগোয়া ইনিয়নের মৃত মনোয়ার হোসেনের মেয়ে।

নিহত আনজু খাতুন আশুলিয়ার নরসিংহপুরের হা-মীম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকার একটি বাঁশবাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ওই এলাকার একটি বাঁশবাগানের ভেতর নারী পোশাক শ্রমিকের মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেউ তাকে হত্যা করে ওই স্থানে ফেলে রেখে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভজন চন্দ্র রায় বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকান্ডের কারন উদঘাটনের চেষ্টা করছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

;

পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম (২০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

বিএসএফের গুলিতে নিহত আবুল কালাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত অপির উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে সাত-আটজনের একটি গরু পাচারকারীর দল ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে পকেট পাড়া নামক স্থানে যায়। হঠাৎ ১৬৯ ডুরাডাবড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদল সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় আবুল কালাম। সঙ্গে থাকা অন্যরা উদ্ধার করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এনে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বার্তা ২৪ কমকে জানান, সীমান্তে বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

;

লালমনিরহাটে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহিন মিয়া নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা-বুড়িমারী মহাসড়কের বুড়িমারী ইউনিয়নের কল্লাটারী উচা ব্রিজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহিন মিয়া উপজেলার বুড়িমারী স্টেশনপাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীসহ ২ জন পাটগ্রাম থেকে বুড়িমারী যাওয়ার সময় উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের কল্লাটারী উচা ব্রিজ এলাকায় বুড়িমারী-লালমনিরহাটগামী পাকা রাস্তায় পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

আহতরা হলেন উপজেলার একই ইউনিয়নের স্টেশনপাড়া এলাকার আব্দুল মালেক ছেলে ওলিউর রহমান অলু (৪০) ও আব্দুল খলিলের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫)। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার।

বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য হাসানুজ্জামান বলেন, পাটগ্রামে থেকে আসার পথে কল্লাটারী উচা ব্রিজে কয়েকজন লোককে পড়ে থাকতে দেখতে পাই। গাড়ি থেকে নেমে দেখি একজন মারা গেছেন আর দুজন মোটরসাইকেলসহ পড়ে আছে।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কল্লাটারী উচা ব্রিজ এলাকায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহিন নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এতে দুজন আহত হয়েছেন।

;