বিজিবি’র হেলিকপ্টার কেনার অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জন্য দুটি হেলিকপ্টার কেনার সিদ্ধান্তের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (১০ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দেশের বাইরে থাকায় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বৈঠকে বিজিবি’র জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে আসা জি-টু-জি পদ্ধতিতে দুটি হেলিকপ্টার ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ হেলিকপ্টার দুটি রাশিয়া থেকে ক্রয় করা হবে। এতে ব্যায় হবে ৩৫৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। মূলত দুর্গম পার্বত্য এলাকায় নজরদারি বাড়াতেই এই হেলিকপ্টার কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশিষ্টরা।
হেলিকপ্টার কেনার প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, এমআই সিরিজের হেলিকপ্টারগুলো দুর্ঘটনায় পড়ার হার কম এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পাইলটরা এর সঙ্গে বেশ পরিচিত। হেলিকপ্টারগুলো দুর্গম অঞ্চলে সৈনিক মোতায়েন, পণ্য পরিবহন, উদ্ধার তৎপরতা, মুমূর্ষু রোগী স্থানান্তর ও দুর্গম পার্বত্য এলাকায় পর্যবেক্ষণ অথবা নজরদারি বাড়াতে কাজে লাগানো হবে।
জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে বিজিবি’র জন্য জি-টু-জি পদ্ধতিতে রাশিয়ার কাছ থেকে দুটি হেলিকপ্টার কেনার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর এমআই ১৭১এসএইচ (মিলিটারি ভার্সন)-এর পরিবর্তে এমআই ১৭১ই (সিভিল ভার্সন) হেলিকপ্টার সরবরাহ করতে রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা হয়। জেএসসি রাশিয়া হেলিকপ্টার কোম্পানি এই দুটি হেলিকপ্টার বাংলাদেশে চালানোর জন্য কারিগরি সহযোগিতা দেবে। হেলিকপ্টারের গতি হবে সর্বোচ্চ ২৫০ কি.মি., ফ্লাইট সার্ভিস সিলিং হবে ছয় হাজার মিটার এবং ওজন হবে ১৩ হাজার কেজি। এসব হেলিকপ্টারে একজন স্টুয়ার্ডসহ ২৬ জন যাত্রী পরিবহণ এবং বেল্টে ঝুলিয়ে পণ্য পরিবহণের সুবিধা আছে।