প্রশ্ন ফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি’র অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে মালিবাগে সিআইডি’র প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভুয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে ফেসবুক একাউন্টে প্রচারণা চালানোর কারণে, সিআইডি’র অর্গানাইজড ক্রাইম টিম বুধবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর কাজলা পাড়, দনিয়া ও যাত্রাবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে দুটি মোবাইল, একটি বিকাশ রেজিস্টার খাতাসহ দুই জনকে গ্রেফতার করে।
‘একই দিন রাত ৯টার দিকে বাড্ডা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বাড্ডা থানাধীন আলিফ নগর এলাকা থেকে তিন জনকে তিনটি মোবাইল ও দুটি ল্যাপটপসহ গ্রেফতার করা হয়।’
গ্রেফতারকৃতরা হলেন কাউসার গাজী (১৯), সোহেল মিয়া (২১),তারিকুল ইসলাম শোভন (১৯), রুবাইয়াত তানভির (আদিত্য) (২০) ও মাসুদুর রহমান ইমন (২৫)।
সিআইডি'র এই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের কাজ করে আসছে। এবার প্রশাসনের তৎপরতার কারণে তারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে পারেনি। তাই ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে ১০টি ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মেডিকেলের প্রশ্ন পাওয়া যাচ্ছে বলে প্রচারণা চালায়।’
চক্রের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তারা এই ফেক প্রশ্নপত্র তৈরি করতে বিভিন্ন সাজেশন বই, বিগত বছরগুলোর প্রশ্নপত্র একত্রে করে একটি ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে।
সিআইডি জানায়, এই প্রশ্ন ফাঁসকারী প্রতারক চক্রের প্রধান কাউসার গাজী। তাকে এ কাজে সহযোগিতা করতো তার বন্ধু সোহেল মিয়া। তিনি অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভুয়া বিকাশ একাউন্ট খোলার মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতেন।
এ ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলা তদন্তকালে আরও প্রতারক চক্র ধরা পড়তে পারে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।