সারাদেশে কমেছে গতানুগতিক অপরাধ, বেড়েছে হত্যা মামলা



শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহিত

ছবি: সংগৃহিত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে প্রায় ৫ মাস। এখন পর্যন্ত এ  অভিযানের আওতায় এসেছে মৌসুমি মাদক ব্যবসায়ী, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মাদকসেবী। গডফাদারদের মাঝে কেউ ক্রসফায়ারে পড়েছে, কেউ গা ঢাকা দিয়েছে, আবার কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। সব কিছু মিলে পুলিশ বলছে, মাদকবিরোধী অভিযানের পর থেকে দেশে গতানুগতিক অপরাধের সংখ্যা কমে গেছে। তবে তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এমন অপরাধের সংখ্যা কমে গেলেও, থানাগুলোতে বেড়েছে হত্যা মামলা। 

পুলিশ সদর দফতর থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর আগে অর্থাৎ বছরের প্রথম চার মাসে সারা দেশে ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছিল ৩২৩টি। মাদকবিরোধী অভিযানের পরবর্তী চার মাসে একই ঘটনায় মামলার সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২৬২টি। যেখানে প্রথম চার মাসে মাদকের মামলা হয় ৩৫ হাজার ৪০৫টি। সেখানে মাদকবিরোধ অভিযানের পর চার মাসে এই মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৩ হাজার ৪৭৪ টি। পাশাপাশি জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার করে ৬৯৩ টি। মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত অস্ত্র উদ্ধারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬৫টি। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মাদক সম্পর্কিত সব ধরনের অপরাধ বাড়লেও, কমেছে অন্যসব দেশে প্রচলিত যেমন, ডাকাতি, ছিনতাই,  কিডন্যাপ, চুরির মতো অপরাধ।

পুলিশ সদর দফতরের তথ্য আরও বলছে, বছরের প্রথম চার মাসে হত্যা মামলার সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২১২টি। কিন্তু মাদকবিরোধী অভিযানের পরের চার মাসে হত্যা মামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৪৪৫টি।

তবে, মাদকবিরোধী অভিযানে সাধারণ অপরাধ কমলেও হত্যা মামলা কেন বেড়েছে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতর থেকে জানা যায়, মাদকবিরোধী অভিযানে, গডফাদার কিম্বা মাদক ব্যবসায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঙ্গে গোলাগুলিতে মারা গেছে। এসব প্রত্যেকটা ঘটনা, হত্যা মামলা হিসেবে থানায় নথিভুক্ত হয়েছে। ফলে হত্যা মামলা বেড়েছে। অন্যদিকে, মাদকবিরোধী অভিযানে বিপুলসংখ্যক মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী গ্রেফতার করায় মোট মামলার সংখ্যাও বেড়েছে। তবে দেশে গড় অপরাধ কমেছে।

দেশজুড়ে অপরাধীদের অপতৎপরতার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে, পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. সোহেল রানা বার্তা২৪.কমকে বলে, মাদকের সাথে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন  প্রায় ধরনের অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টতা আছে। চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের ফলে, সারাদেশে সব ধরনের অপরাধের সংখ্যা কমে গেছে। মাদকের ব্যাপারে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করায়, ব্যবসায়ী ও সেবীরা গ্রেফতার হওয়ার পাশাপাশি আত্মগোপনে চলে গেছে। যদি শুধু মাদকেই  নির্মূল করা সম্ভব হয়, গতানুগতিক অপরাধ গুলো এমনিতেই কমে আসবে।

এদিকে মাদকবিরোধী অভিযানে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা বাড়ছে, দেশ জুড়ে হত্যা মামলা বৃদ্ধি পাচ্ছে,  এই বিষয়ে জানতে চাইলে র‍্যাবের মুখপাত্র লে. কর্নেল মুফতি মাহমুদ খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, মাদকের সাথে যেহেতু টাকা, অস্ত্রে, এবং অন্যোন্য অপরাধের সম্পর্ক আছে।  সেহেতু এইসব ঘটনায়, বিপরীত পক্ষ থেকে প্রতিরোধ আসে। প্রতিরোধ মোকাবেলা করতে গিয়ে বা আত্মরক্ষা করতে গিয়ে গোলাগুলির মত ঘটনা ঘটে। যার ফলে দিন শেষে এমন মামলার সংখ্যা বাড়ছে।

মাঠ পর্যায়ে মাদক বিরোধী অভিযানের ফলাফলের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সালমান হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, সারা দেশের কথা বলতে পারবো না, তবে আমার তেজগাঁও  শিল্পাঞ্চল জোনে সেখানে ছিনতাই স্পট বা ক্রাইম স্পট হিসেবে পরিচিত ছিল। সেসব  স্থানগুলোয় অপরাধীদের আনাগোনা কমে গেছে। থানা গুলোতেও এধরনের অভিযোগ আসা কমে গেছে। সব কিছু মিলে আমার মনে হয়, দেশে অপরাধ বা অপরাধীদের সংখ্যা কমে গেছে। এই জন্যই আমরা মাদককে মাদার ক্রাইম হিসেবে ধরে, মাদক নির্মূল করার চেষ্টা করছি।

অন্যদিকে অপরাধ বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনালজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাহারিয়ার আফরিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, অপরাধ কমে যাচ্ছে কিন্তু হত্যা মামলা বেড়ে যাচ্ছে এটা দুঃখজনক। পুরো বিষয়টিকে সামাজিক সমস্যা হিসেবে চিন্তা করে, সমাধান খুঁজতে থাকলে হয়তো, সব ধরনের মামলায় কমে যেত।

সাহারিয়ার আফরিন বলেন, আমার কাছে মনে হয়,অপরাধী বা অপরাধের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে সব ধরনের অপরাধ সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা সম্ভব। আর এই আন্দোলন নিজ পরিবার থেকে শুরু করতে হবে আর সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে। 

   

সাবেক এমপি বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী ও টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম জমায়েতের সামনে গিয়ে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) রাতে টেকনাফের হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নুরুল আলম চেয়ারম্যান বলেন, আমার আজ কম্বোনিয়া পাড়া, হোয়াইক্ষ্যং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ায় মুরুব্বি ও মেম্বারদের সঙ্গে একটি আলোচনা সভা ছিল। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি ও জাফর চেয়ারম্যানসহ ২০-৩০ জন লোক আমাদের পাশে এসে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।

আব্দুর রহমান বদি নিজেই তার পিস্তল দিয়ে গুলি করেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম। তিনি বলেন, আমি এখন বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে যাচ্ছি।

এই বিষয়ে জানতে সাবেক এমপি বদির মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে যার সঙ্গে থেকে আব্দুর রহমান বদি গুলি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সেই প্রার্থী জাফর আলমের সাথে কথা হয় মোবাইল ফোনে। তিনি জানান, বদি ভাই আমার সাথে ছিলো। এ ধরণের কিছু হয়নি। তার (নুরুল আলম) ভাই নুরুল বশর জাতীয় নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে বদি ভাইয়ের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন। এটিও এমন একটি কুৎসা বলে জানান জাফর আলম।

;

আটোয়ারীতে নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে পাল্টা-পাল্টি হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১ মে) জেলার আটোয়ারী উপজেলার ধামোর হাটে এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধায় একই বাজারে পাশাপাশি অবস্থিত মোটরসাইকেল মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম ও ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিছুর রহমানের নির্বাচনী ক্যাম্পে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এর পর আবারও বৃহস্পতিবার রাতে বিরোধে জড়ান তারা।

মোটরসাইকেল মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে নিজেদের ক্যাম্পে অগ্নি সংযোগ করেছে তারা। এর আগে আমার কর্মী-সমর্থকেরা প্রচারণা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় তারা তাদের গতিরোধ করে হামলা ও মারধর করে। এর মাঝে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেদের ক্যাম্পে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একই সাথে তারা আমাদের ক্যাম্পে এসে হামলা ও মারধর করে।

ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিছুর রহমান বলেন, ধামোর ইউনিয়নে প্রায় ৯০ শতাংশ লোক আমার সমর্থক। আমার প্রতিপক্ষ মোটরসাইকেল, তারা বেশ কয়েকদিন ধরে সেখানে ঢুকার চেষ্টা করছে। বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে নিয়ে গিয়ে আমাদের ক্যাম্প ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এলাকার মানুষ ও সাধারণ ভোটার তাদের ঘেরাও করে আটক করে রাখে। বিষয়টি জানতে পেরে প্রশাসনকে অবগত করি। প্রশাসন ঘটনাস্থলে গেলে তারা একটি আপোষনামা দিলে সকলেই চলে যায়। আমরা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কোন অভিযোগ দায়ের করিনি।

আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, ঘটনা জানার পরেই ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে পুলিশসহ সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। উভয় পক্ষে এ ঘটনায় কোন মামলা করবে না বলে সহকারী রিটার্টিং অফিসার বরাবর একটি আবেদন দাখিল করে। এসময় সবাইকে সতর্ক করা হয়।

;

কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড লামা, শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবা‌ন
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহের পর স্বস্তির বৃষ্টির আগমন আনন্দের সংবাদ হলেও তা মুহূর্তেই ম্লান হয়েছে কালবৈশাখীর ঝড়ে। গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার (০২ মে) হঠাৎ বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে বান্দরবানের লামা উপজেলার পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক বাড়িঘর।

হতাহতের কোন সংবাদ পাওয়া না গেলেও কিছু গবাদিপশুর প্রাণহানি ঘটেছে। রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বৈদ্যভিটা এলাকায় বজ্রপাতে এক কৃষকের ৫টি ছাগল এবং পূর্ব শিলেরতুয়া এলাকায় রমজান আলী মেম্বারের খামারে ঘরচাপা পড়ে এটি ছাগল মারা গেছে।

এছাড়া, গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বৈদ্যুতিক খুঁটিতে গাছ পড়ে সঞ্চালন লাইন ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে ৩০টির অধিক বৈদ্যুতিক খুঁটি। সেই সাথে তীব্র ঝড়ের কারণে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পার্বত্য বান্দরবান জেলার সবচেয়ে জনবহুল শহর লামা।

এই প্রতিবেদনে লেখা পর্যন্ত এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু হয়নি। বিদ্যুৎ সচল হতে আরও দুই-একদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছে পিডিবি লামার আবাসিক প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন।

লামা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সকালে গাছ পড়ে চকরিয়া- লামা- আলিকদম সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাছ কেটে রাস্তা থেকে সড়িয়ে যোগাযোগ স্বাভাবিক করে।

লামা উপজেলার রূপসী পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাচিং প্রু মারমা জানান, কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে সড়কে গাছ পড়ে লামা উপজেলার সাথে রূপসীপাাড়া ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই সাথে মানুষের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষেত খামারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। যাদের বসতবাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে তাদের ইউনিয়ন পরিষদ হতে সহায়তা করা হবে বলে জানান তিনি।

লামা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, আমার ইউনিয়নে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে দেড়-শতাধিক বাড়িঘর ভেঙে গেছে। গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা জানান, তার ইউনিয়নে ছোটবড় শতাধিক ঘর আংশিক ভেঙে গেছে।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মাহবুবুর রহমান জানান, জেলা পরিষদ ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা করে সহায়তা প্রদান করা হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা প্রস্তুত করছি। তালিকা লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সুপারিশ নিয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে। বরাদ্দ পেলে ক্ষতি বিবেচনা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েকটি বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দিলে সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা করা হবে।

;

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে স্মার্টফোন ও বাইক নিয়ে প্রবেশ নিষেধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে স্মার্টফোন ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

নোটিশে উল্লেখ কর হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস), স্নাতকোত্তর (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণ ও কলেজের শৃঙ্খলার স্বার্থে জানানো যাচ্ছে যে, কলেজ ক্যাম্পাসে মোটরবাইক এবং শ্রেণিকক্ষে স্মার্টফোন ফোন নিয়ে কোনোভাবেই প্রবেশ করা যাবে না। কলেজ ক্যাম্পাসে মোটরবাইক নিয়ে প্রবেশ করা এবং স্মার্টফোন ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষেধ। সেজন্য কোনো শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাম্পাসে মোটরবাইক নিয়ে প্রবেশ করলে এবং শ্রেণিকক্ষে কারো কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নোটিশে শিক্ষার্থীদেরকে নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিধান করে কলেজে আসতে বলা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্রেণিকক্ষে সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার অধিক মাত্রায় বেড়ে যায়। এতে তারা অমনযোগী থাকে। কখনো কখনো অতিমাত্রায় ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে একাধিকবার মৌখিক নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি অভিযান চালিয়ে মোবাইল ফোনও জব্দ করে। কিন্তু এতেও কোনো কাজ হচ্ছিলো না। এছাড়া কলেজে অনেকে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশ করে পরিবেশ নষ্ট করে বিধায় এতেও মৌখিক নিষেধাজ্ঞা ছিলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, মোবাইল ফোনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে শিক্ষার্থীদেরকে রক্ষা করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাস একেবারেই ছোট হওয়ায় মোটরসাইকেলের চলাচল শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটে।

;