১০ দফা দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে ইসলামী আন্দোলনের স্মারকলিপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বক্তব্য রাখছেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই, ছবি: বার্তা২৪.কম

বক্তব্য রাখছেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বরাবর ১০ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর পল্টন এলাকার হাউজ বিল্ডিং চত্ত্বরে সমাবেশ শেষে একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে যেয়ে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ও প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- তফসিল ঘোষণার পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন এবং নির্বাচনের দিন তাদের হাতে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, গণমাধ্যমে সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধ। দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখা।

স্মারকলিপি প্রদানের আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশবাসী আর কোনো তামাশার নির্বাচন মেনে নেবে না। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের বিল পাশ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। দলীয় আজ্ঞাবহ কমিশনের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নিবন্ধিত সব দলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

পীর সাহেব চরমোনাই বক্তব্যে আরও বলেন, উল্লিখিত দাবিসমূহ পূরণের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। তাই জাতির অভিভাবক হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেএম আতিকুর রহমান, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, শেখ ফজলুল করীম মারূফ, শায়খুল হাদীস মাওলানা মকবুল হোসাইন, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম নাঈম, এড. শওকত আলী হাওলাদার, সৈয়দ ওমর ফারুক, মুফতি ফরিদুল ইসলাম ও মাওলানা নাযির আহমদ শিবলী।

   

ঢাকায় পিটার হাসের উত্তরসূরি হচ্ছেন চীন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডেভিড মিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন চীন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডেভিড স্লেইটন মিল।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে হোয়াইট হাউজ এ নিয়োগের কথা জানায়।

ডেভিড মিলকে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মনোনীত করার বিষয়ে বাইডেনের সিদ্ধান্ত এখন মার্কিন কংগ্রেসে যাবে। সেখানে পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে শুনানি হবে। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কংগ্রেস এ মনোনয়ন অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

মনোনয়ন অনুমোদন হলে ডেভিড মিল বাংলাদেশ মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

হোয়াইট হাউজের তথ্য অনুযায়ী, ডেভিড স্লেটন মিলি মার্কিন ফরেন সার্ভিসের মিনিস্টার-কাউন্সেলর পদমর্যাদার জেষ্ঠ কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি চীনের বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসে অন্তর্বর্তীকালীন চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

এর আগে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের অর্থনৈতিক ও ব্যবসাবিষয়ক ব্যুরোর বাণিজ্য নীতিবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ছিলেন। ডেভিড মিল নিষেধাজ্ঞা নীতি ও বাস্তবায়ন ব্যুরোর পরিচালক ছিলেন।

তিনি ওয়াশিংটন, ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের সহযোগী ডিন, বাংলাদেশের ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন, ইউক্রেনের কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসে অর্থনৈতিক বিষয়ের পরামর্শদাতা ও অর্থনৈতিক ব্যুারোতে মুদ্রাবিষয়ক অফিসের উপ-পরিচালক ছিলেন।

;

‘টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন জরুরি’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের মোট মৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশই ঘটে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগে। তামাকপণ্যের ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, বায়ু দূষণ প্রভৃতিকে এর প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞগণ। হেলথ প্রমোশন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এসব স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ এবং অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যু কমানো সম্ভব বলে মনে করেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর বিএমএ ভবনে প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত ‘টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন: বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব তথ্য ও সুপারিশ উঠে আসে। কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৫ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, ‘স্বাস্থ্য’ কেবল নিরোগ থাকা নয় বরং শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে ভালো থাকার নামই ‘স্বাস্থ্য’। সাধারণভাবে স্বাস্থ্য উন্নয়ন, রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা, চিকিৎসা, পুনর্বাসন, এবং উপশম এই পাঁচটিকে একত্রে ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা’ বলা হলেও প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ‘স্বাস্থ্য’ বলতে কেবল ‘চিকিৎসা ব্যবস্থা’ কে বোঝানো হয়ে থাকে।

বিশ্ব স্বাস্ব্য সংস্থার মতে হেলথ প্রমোশন একটি প্রক্রিয়া যার দ্বারা মানুষ নিজের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যের নির্ধারকসমূহের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে এবং নিজ স্বাস্থ্যের উন্নতি লাভের সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম, খাবারে অতিরিক্ত চর্বি, লবণ ও চিনি পরিহার এবং তামাক ও অ্যালকোহল বর্জন প্রভৃতি কাজে উদ্বুদ্ধ করার পরিবেশ সৃষ্টি করা ‘হেলথ প্রমোশন’ কার্যক্রমের অংশ। তবে এই কাজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণে একটি সমন্বিত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে সংস্থাটি। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ১১টি দেশ ইতোমধ্যে হেলথ প্রমোশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি হ্রাসে সাফল্য দেখিয়েছি।

কর্মশালার প্রধান অতিথি বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ থেকে বছরে প্রায় ৩’শ কোটি আদায় হয়, যা স্বাস্থ্য উন্নয়নে খরচ করার কথা থাকলেও আমরা পারছি না। একটি স্বাধীন হেলথ প্রমোশন প্রতিষ্ঠান গঠন করে এই অর্থ স্বাস্থ্য উন্নয়নে ব্যয় করা গেলে জনগণ এবং সরকার উভয়ই লাভবান হবে।

কর্মশালায় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. এনামুল হক বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা নানাবিধ হেলথ প্রমোশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তবে টেকসই স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য একটি সমন্বিত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলাদেশে চিকিৎসায় ব্যক্তির ব্যয় প্রায় ৭৪ শতাংশ, যার দুই-তৃতীয়াংশই খরচ হয় ওষুধে। হেলথ প্রমোশনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হলে ব্যয় হ্রাসের পাশাপাশি জনগণের অসুস্থতা, মৃত্যু এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর চাপ কমে আসবে।

কর্মশালায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা’র আহ্বায়ক মতুর্জা হায়দার লিটন, সহ-আহ্বায়ক নাদিরা কিরণ ও মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। কর্মশালায় মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র হেড অব প্রোগ্রামস হাসান শাহরিয়ার।

;

প্রেমিক যুগলকে মারধর, ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা-১ এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করে। গত ৭ মে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই আদেশ জারি করা হয়।

সূত্র জানিয়েছে, খাসকররা ইউনিয়নের তিওরবিলা গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে প্রেমিক যুগলের গলায় জুতার মালা পরিয়ে মারধর ও চাঁদা দাবির ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলা আদালতে গ্রহীত হয়। এ প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লালকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা ১ এ সংক্রান্ত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যেহেতু খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লালের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আলমডাঙ্গা থানার মামলা নম্বর ১ (জি.আর ১৫৫/২০২৩), তারিখ: ১২/১০/২০২৩-এর অভিযোগে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত, চুয়াডাঙ্গা আমলে নেওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯- এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। যেহেতু চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লাল-এর বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে।

সেহেতু, জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লাল কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানবসম্পদ ও উন্নয়ন) শারমিন আক্তার বলেন, খাসকররা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সাথে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর জন্যও বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় কারণ দর্শানোর পর সন্তুষ্ট না হলে স্থায়ী বহিষ্কারও করতে পারেন।

;

বড় ক্ষতি এড়াতে বিমানটি জনবসতি থেকে সরিয়ে নেন দুই বৈমানিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
য়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ

য়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে বিমানবন্দরের পাশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে আগুন লাগা যুদ্ধবিমানটিকে দুই বৈমানিক অত্যন্ত সাহসিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যেতে সক্ষম হন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ১টি ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার আনুমানিক সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে চট্টগ্রামস্থ বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক থেকে উড্ডয়নের পর প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার সময় কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। দুর্ঘটনার পর বৈমানিকদ্বয় উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খাঁন, পিএসসি এবং স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ জরুরি প্যারাসুট দিয়ে বিমান থেকে নদীতে অবতরণ করেন।

বিমানের দুইজন বৈমানিককে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয় জেলেদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উদ্ধার করা হয়। বৈমানিকদ্বয়ের মধ্যে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত চিকিৎসার জন্য বিএনএস পতেঙ্গাতে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক সর্বাত্মক প্রচেষ্টার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, বিবিপি, বিইউপি, এনএসডব্লিউসি, এফএডব্লিউসি, পিএসসি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবাররের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। দুর্ঘটনায় পতিত বিমানটিকে উদ্ধারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

;