ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনেকে প্রকাশ্যে মার্জনা প্রার্থনার জন্য বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি
ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনেকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য দেশের ১৫ জন বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি দিয়ে সাক্ষর করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিক, কলামিস্ট ও দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি একাত্তর টেলিভিশনে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে একটি প্রশ্ন করার প্রেক্ষিতে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলে মন্তব্য করায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা মনে করি যে, কেবলমাত্র সাংবাদিকসুলভ প্রশ্ন করায় কাউকে এরকম ক্ষিপ্ত হয়ে চরিত্রহীন বলার এখতিয়ার কারোরই নেই। স্বাধীন সাংবাদিকতা ও উম্মুক্ত গণমাধ্যম যখন বিভিন্ন ভাবে আক্রান্ত তখন রাজনীতিবিদ ও আইনবিদ হিসেবে ব্যারিস্টার মঈনুলের কাছ থেকে এরকম আচরণ অনভিপ্রেত।
দেশের ক্ষুব্ধ নারী সমাজের সঙ্গে একাত্বতা ঘোষণা করে আমরা নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের এই নিন্দনীয় আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। আমরাও অবিলম্বে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের এই অনভিপ্রেত বক্তব্য প্রত্যাহারপূর্বক প্রকাশ্যে মার্জনা প্রার্থনা আশা করছি। এটা শুধু মাসুদা ভাট্টিকে অপমান করা হয়েছে বলে নয়, বরং ভবিষ্যতে যাতে কেউ আর এভাবে কাউকে ব্যক্তি আক্রমণ না করেন সেটা নিশ্চিত করার জন্যই অবিলম্বে তার কাছ থেকে প্রকাশ্যে একটি মার্জনা প্রার্থনা আসা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতে একটি সুন্দর বাংলাদেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সমাজের প্রতিটি স্তরে সহনশীলতা ও গণতান্ত্রিক আচরণ প্রতিষ্ঠাই আমাদের সকল নাগরিকের লক্ষ্য।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেনঃ
১. আনিসুজ্জামান
২. হাসান আজিজুল হক
৩. অনুপম সেন
৪. রামেন্দু মজুমদার
৫. আতাউর রহমান
৬. ফেরদৌসী মজুমদার
৭. আলী যাকের
৮. মামুনুর রশীদ
৯. নাসির উদ্দীন ইউসুফ
১০. তারিক আলী
১১. সারা যাকের
১২. শিমূল ইউসুফ
১৩. কবি মুহাম্মদ সামাদ
১৪. হাসান আরিফ
১৫. গোলাম কুদ্দুছ
বিবৃতি প্রেরক-
নাসির উদ্দীন ইউসুফ
মুক্তিযোদ্ধা, নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক