শিশুদের অপরাধ `শিশু' হিসেবে বিবেচনার বিধান
দায়রা জজ আদালতের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলি সম্পাদনের ক্ষমতা দিয়ে শিশু আদালত প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার বিধান রেখে শিশু (সংশোধন) বিল-২০১৮ সংসদে পাস হয়েছে।
এ আইনে ফৌজদারি অপরাধ সংঘটনে কোন শিশু জড়িত থাকলে পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের সাথে একসাথে প্রতিবেদন না দিয়ে শিশুর জন্য পৃথক প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে। অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষেত্রে শিশু হিসেবে পৃথকভাবে আমলে নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
সোমবার (২২ অক্টোবর) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২৩তম অধিবেশনে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
আইনে শিশু কর্তৃক সংঘটিত যে কোন অপরাধের বিচারের জন্য প্রতি জেলায় এক বা একাধিক শিশু আদালত থাকবে। কোনো জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে গঠিত নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল থাকলে তা শিশু আদালত হিসেবে গণ্য হবে। তবে সেই ট্রাইব্যুনাল না থাকলে জেলা ও দায়রা জজ শিশু আদালত হিসেবে গণ্য হবে। শিশু আদলত দায়রা আদালতের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলি সম্পাদন করতে পারবে।
বিলে বলা হয়েছে, মামলা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে যে আদালতে নিষ্পন্নাধীন সেই আদালত উদ্যোগ গ্রহণ করে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শিশু (সংশোধন) আইন-২০১৮ কার্যকর হওয়ার ৯০ কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করবে।
তবে উক্ত সময়ের মধ্যে মামলা স্থানান্তর সম্পন্ন করা সম্ভব না হলে স্থানান্তরকারী শিশু আদালতের আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালত আরও ৪৫ কার্যদিবস সময় বৃদ্ধি করতে পারবে।
আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিশু আইন-১৯৭৪ যুগোপযোগী করে শিশু আইন-২০১৩ প্রণয়ন করা হয়। এই আইন কার্যকর হওয়ার পর এর কিছু প্রয়োগিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় এর কতিপয় ধারা সংশোধনের নিমিত্তে শিশু (সংশোধন) আইন-২০১৮ শীর্ষক বিলটি সংসদের বিবেচনার জন্য আনা হয়েছে।