রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাচ্ছে ‘ছায়ানট’
ভারত সরকারের দেওয়া সম্মানজনক ‘দ্য টেগোর অ্যাওয়ার্ড ফর কালচারাল হারমনি-২০১৫’ পুরস্কার পাচ্ছে রবীন্দ্র চর্চার সূতিকাগার বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। ২০১৫ সালের পুরস্কারের জন্য ছায়ানটকে মনোনীত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বে থাকা জুরি বোর্ড।
বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ সম্মাননা প্রদানের বিষয়টি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ছায়ানট। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে রবীন্দ্ররচনা এবং বাঙালি সংস্কৃতি, সঙ্গীত ও সাহিত্য প্রচারের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয় বরং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ছায়ানট বাংলাদেশ এবং ভারত, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময় ও বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ছায়ানটের নাম। প্রতিষ্ঠানটি বাঙালির পরিচয় এবং সংস্কৃতিককে তুলে ধরতে একটি প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। যখন পূর্ব পাকিস্তানে রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ ছিলো ছায়ানট গোপনে রবীন্দ্র সংগীত প্রচার করেছে। যা ছিলো প্রতিষ্ঠানটির উদারতা।
সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে জুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গুরুদেবের সার্বজনীন মানবতার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে তারেই স্বীকৃতি স্বরূপ ছায়ানটকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
২০১১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের সরকার পুরস্কারটি চালু করে। এখন পর্যন্ত দু‘জন এ পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো এ পুরস্কারটি পান ভারতীয় সেতার বাদক পণ্ডিত রবি শংকর। ২০১৩ সালে সঙ্গীতজ্ঞ জুবিন মেহতাকে এ সম্মানে ভূষিত করা হয়। পুরস্কারটির অর্থমূল্য ভারতীয় মুদ্রায় এক কোটি রুপি। এরসঙ্গে একটি মানপত্র এবং ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প স্মারক দেয়া হবে। জাতীয়তা, জাতি, ভাষা, বর্ণ, ধর্ম বা লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার জন্য এ পুরস্কারটি উন্মুক্ত বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।