ঐক্যফ্রন্ট চায় একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি: প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশটা যে সুন্দরভাবে চলছে। দেশের মানুষ স্বস্তিতে আছে, তাদের ভালো লাগছে না, তারা চায় একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি।
শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের এক যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ এবং সংসদীয় দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের ‘নিরপেক্ষ সরকারের’অধীনে নির্বাচনের দাবির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যেহেতু একটা রায় হয়েছে উচ্চ আদালতে যে, কোনো অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সেই রায় থাকা সত্ত্বেও আমাদের আর্ন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আইনজীবী থেকে শুরু করে যারা বড়ো বড়ো আইনজীবী তারা কিভাবে দাবি করে যে, এখানে আরেকটা সরকার গঠন করে নির্বাচন দিতে হবে। এই দাবিটা কেনো? কিভাবে হবে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সেই রায়ের পর আমাদের সংবিধান সংশোধন করেছি। ১৯৭২ এর সংবিধানে ঠিক যেরকম ছিল, নির্বাচনের জন্য যা যা লেখা ছিল আমরা সেইভাবেই নিয়ে এসেছি।
ড. কামালের নাম উল্লেখ না করে তার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, একদিকে দাবি করবে সংবিধান রচয়িতা; অপরদিকে আবার সেই সংবিধানকে লঙ্ঘন করার জন্য নির্বাচনের অন্য ফর্মূলা দিবে। অনির্বাচিত সরকার গঠন করতে বলবে। সরকারকে পদত্যাগ করতে বলবে। এই আব্দারটা কেনো? কার স্বার্থে? কিসের স্বার্থে? সেটাই আমরা বুঝতে চাই। কি কারণে তারা এটা চাচ্ছে। তাদের যদি এতো শক্তি থাকে জনগণের সাথে আসবে, ভোট হবে।
ইভিএম নিয়ে সরকার বিরোধীদের আপত্তিরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ইভিএম দিতে চাই, দ্রুত মানুষ ভোট দিতে পারে। তাতেও আবার আপত্তি কিসের? সেটাও আমরা বুঝতে পারি না।
আগামী নির্বাচনেও জয়ের আশাবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জয় আমাদের হবেই। জনগণ আমাদের সাথে আছে। জনগণের শক্তি নিয়েই আমরা ক্ষমতায় এসেছি। জনগণের ভোটেই আমরা ক্ষমতায় এসেছি। আমার জনগণের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা বিশ্বাস আছে। যে উন্নয়নের ছোঁয়া আজকে সকলের জীবনে লেগেছে, নিশ্চয় তারা সেটা ধরে রাখবে এবং আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দেবে। আওয়ামী লীগের জয় হবে।