আ.লীগে একক, বিএনপি’তে একাধিক প্রার্থী

  • গনেশ দাস, ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি অধ্যুষিত বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকলেও বিএনপির একাধিক প্রার্থী প্রচারণায় নেমেছেন।

জানা গেছে,  স্বাধীনতার পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর টানা ১০ বছর ধরে তিনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। কিন্তু দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নির্বাচনের আগে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছেন অনেক নেতা। ইতোমধ্যে তারা নির্বাচনী শুভেচ্ছা জানিয়ে এলাকায় পোস্টারিং শুরু করেছেন। যদিও এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তবে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়নের উপর নির্ভর করছে আওয়ামী লীগের জয় পরাজয়। এখানে বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে চান অনেকেই তাদের মধ্যে তিনজন হাঁকডাক দিয়েই নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন।

বিজ্ঞাপন

আরো জানা গেছে, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল মান্নানকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর কাজী রফিকুল ইসলাম সংস্কারপন্থী  হিসেবে চিহ্নত হন। একারণে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা শোকরানাকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। ওই নির্বাচনে ৫ হাজার ৬০০ হাজার ভোট বেশি পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রথমবারের মতো এই আসনে বিজয়ী হয়।

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় আব্দুল মান্নান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও নির্বাচিত হন। ফলে গত ১০ বছর ধরে এই আসনে রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবন নির্মাণ ছাড়াও যমুনা নদীর ভাঙ্গন রোধে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেন তিনি। তবে এসবের পরও ভোটাররা বিএনপিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারেন বলে জানিয়েছেন অনেকে। কারণ অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আওয়ামী লীগের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, নিজের দলের মধ্যেই আব্দুল মান্নানের প্রতিদ্বন্দ্বী তৈরি হয়েছে। যদিও এতদিন কেউ মুখ খোলার সাহস পাননি। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা ডা. মকবুলার রহমান এবং সারিয়াকান্দি পৌরসভার চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর শাহী সুমন মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

এদিকে, বিএনপি থেকে সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম দীর্ঘ ১০ বছর মাঠে না থাকলেও এখন মাঝে মধ্যে এলাকায় যাতায়াত করছেন। তবে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা শোকরানা ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই ১০ বছর ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী এলাকায়। এলাকার নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সমস্যা, রাজনৈতিক মামলার খোঁজ খবর নেয়া ছাড়াও নির্বাচনী কাজ করে যাচ্ছেন। এদিকে নতুন করে লিফলেট বিতরণ শুরু করেছেন সারিয়াকান্দি পৌরসভার সাবেক মেয়র ও সাবেক বিএনপি নেতা টিপু সুলতান। এছাড়াও সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও সোনাতলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহসানুল তৈয়ব জাকিরের নাম শোনা গেলেও তিনি নিজ  এলাকা ছাড়াও নির্বাচনী পোস্টার লাগিয়েছেন বগুড়া শহরে। আর ঢাকায় বসবাসরত শিল্পপতি আলহাজ্ব মোরাশফ হোসেন মাঝে মধ্যে সোনাতলা উপজেলা আসেন এবং ভোটারদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।