অচল আশুগঞ্জ ও আখাউড়া স্থলবন্দর

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অচল আশুগঞ্জ ও আখাউড়া স্থলবন্দর। ছবি: বার্তা২৪.কম

অচল আশুগঞ্জ ও আখাউড়া স্থলবন্দর। ছবি: বার্তা২৪.কম

সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও চলছে পরিবহন ধর্মঘট। আর এতে করে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর ও আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম।

পাশাপাশি জেলার বাসস্ট্যান্ডগুলো থেকে দূরপাল্লার কোনো যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়নি। আর এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হয় সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮। এতে দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনের চালক জামিন পাবেন না বলে উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে চালক অপরাধী হিসেবে প্রমাণিত হলে ৩০২ ধারায় ফাঁসির বিধানও রাখা হয় এই আইনে। এরপর থেকেই আইনটি সংশোধনের জন্য দাবি জানিয়ে আসছে পরিবহন শ্রমিকরা। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার ভোর ৬টা থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

ধর্মঘটে ট্রাক চলাচল না করার কারণে অচল হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর ও আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম। এখানে কর্মরত শ্রমিকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময় পার করছে। তাই তারা দাবি জানান, অবিলম্বে এই ধর্মঘট প্রত্যাহার করার।

বিজ্ঞাপন

এদিকে জেলার কোনো বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়নি। আর এতে করে বিভিন্ন এলাকায় চলাচলকারী যাত্রীরা পড়েছে দুর্ভোগে।

আশুগঞ্জ স্থলবন্দরের শ্রমিক জাহাঙ্গীর মিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, মহাসড়কে ট্রাক চলাচল করতে না পারার কারণে আশুগঞ্জ বন্দর থেকে কোনো মালামাল পরিবহন হচ্ছে না। এতে করে শ্রমিকরা অলস সময় পার করছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের শ্রমিক জুলহাস বার্তা২৪.কমকে জানান, ধর্মঘটের কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে পাথর ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে ট্রাক বন্দরে পৌঁছাতে না পারার কারণে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সারাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্য আমাদের আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে আগরতলায় যায়। ধর্মঘটের কারণে এসব পণ্য আসছে না। আর এতে করে ব্যবসায়ীদের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, পাশাপাশি শ্রমিকদেরও ক্ষতি হচ্ছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. আজিজুল হক বার্তা২৪.কমকে জানান, ধর্মঘটের কারণে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার যাত্রীদেরও ভোগান্তি হচ্ছে। তাই অবিলম্বে এই ধর্মঘট প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।’