আলেম সমাজের কাছে নির্বাচনের জন্য দোয়া চাইলেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলেম-উলামাদের বিশাল সমাবেশে দাঁড়িয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য আলেম সমাজের দোয়া চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের দোয়া চাই। সামনে নির্বাচন আছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যদি ইচ্ছা করেন নিশ্চয়ই তিনি আবার বাংলাদেশের জনগণের খেদমত করার সুযোগ আমাকে দেবেন। আর আল্লাহ না চান দেবেন না, আমার কোনো আফসোস থাকবে না। কারণ আমি এর সবকিছুই আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি।’

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আরও বলেন, পিতা-মাতা, ভাই-বোন সব হারিয়েছি। আমি নি:স্ব, রিক্ত। আমি এতিম। আমরা দু’টি বোন আছি। আমাদের জন্য একটু দোয়া করবেন। আমাদের ছেলেমেয়ে, নাতি-পুতির জন্য দোয়া করবেন। তারা যেন সুন্দরভাবে, সুস্থভাবে থাকতে পারে। আর দোয়া করবেন বাংলাদেশের জনগণের জন্য। আমি যখনি নামাজ পড়ে দোয়া করি, তখন আমি আমার ছেলে মেয়ে নাতি-পুতিদের জন্য যেমন দোয়া করি, ঠিক সেইসঙ্গে আমার সঙ্গে যারা কাজ করে তাদের জন্য যেমন দোয়া করি, দোয়া করি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জন্য। আল্লাহর কাছে শুধু এইটুকুই চাই যে, আল্লাহতায়ালা আমাকে যে শক্তি দিয়েছেন, আমি যেন বাংলাদেশের মানুষের, জনগণের খেদমত করে যেতে চাই। এ দেশকে একটা সুন্দর দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলেম-উলামাদের বিশাল সমাবেশে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবার কাছ থেকে শিখেছি একমাত্র আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন ছাড়া কারও আর কাছে মাথা নত করবে না। তিনিও করতেন না, আমিও তা করি না। শুধু আল্লাহর কাছে ছাড়া কারও কাছে মাথা নত করি না। আল্লহ ছাড়া কাউকে আমি ভয়ও করি না।

রোববার (৪ নভেম্বর) আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কাওমিয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত শুকরানা মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দাওরায়ে হাদিসের মাস্টার্স সমমান স্বীকৃতি প্রাপ্তিতে কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর শুকরানা মাহফিলের আয়োজন করে।

যারা দ্বীন ইসলামের খেদমত করছেন তাদের মধ্যে উপস্থিতি হতে পারা সৌভাগ্যের বিষয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাকে যখন আল্লামা শফী সাহেব বললেন তিনি সংবর্ধনার আয়োজন করবেন। আমি বললাম, না; আমার জন্য না। এটা হবে আল্লাহর জন্য শুকরিয়া আদায় করা। কারণ আমি এটা বিশ্বাস করি যে, আমাদের ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম। ইসলাম ভ্রাতৃত্বের ধর্ম। ইসলাম ধর্ম মানুষকে শান্তির পথ দেখায়। আর সেই দ্বীন শিক্ষা যারা দেন তারা কেন অবহেলিত থাকবেন। কাজেই তাদের কখনো অবহেলিত থাকতে দেওয়া যায় না।’

‘জাতির পিতা বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন, যাতে ইসলাম ধর্মের শিক্ষা সমগ্র বাংলাদেশে ভালোভাবে প্রচার ও প্রসার ঘটে। তিনি এদেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। টঙ্গিতে যে বিশ্ব ইজতেমা হয়, সেই জায়গায় বাংলাদেশে যাতে আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব ইজতেমা হতে পারে সেটা আদায় করে তিনিই এনেছিলেন। ইসলামিক সম্মেলন ওইআইসির যে সদস্য পদ সেটাও আমরা পেয়েছিলাম জাতির পিতার উদ্যোগে। আমাদের হাজীরা যাতে নিরাপদে অল্প খরচে যেতে পারেন তার জন্য তিনি একটি জাহাজ ক্রয় করে জাহাজে হাজীদের পাঠিয়েছিলেন হজপালনের জন্যে। এভাবে তিনি সবসময় ইসলামের জন্য কাজ করেছেন। তার কন্যা হিসেবে এদেশের স্বাধীনতাকে অর্থবহ করা এবং বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/04/1541326374540.jpg

‘ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমানদের শিক্ষাগ্রহণের প্রথম উপায়টা ছিল কওমি মাদরাসা। কওমি মাদরাসার মাধ্যমেই কিন্তু মুসলমানরা শিক্ষাগ্রহণ শুরু করে। যারা ওই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন শুরু করেছিলেন তারাই কওমি মাদরাসা চালু করেন।কাজেই তাদের সবসময় আমরা সম্মান করি’- বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শুকরানা মাহফিলে কওমি সনদের স্বীকৃতি দেওয়ায প্রধানমন্ত্রীকে শুকরানা স্মারক তুলে দেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। অন্যদিকে কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়ে সংসদে পাস হওয়া বিলের কপি আল্লামা শাহ আহমদ শফীর হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

হেফাজতে ইসলামের আমির ও আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উদ্বোধনী বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল জয়নুল আবেদিন, স্বাগত বক্তব্য দেন আল্লামা আবদুল কুদ্দুস।

মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন আল্লামা আশারাফ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহ, মাওলানা আজহার আলী আনোয়ার শাহ, আল্লামা ফরিদউদ্দীন মাসউদ, আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন, মাওলানা সুলতান জওক নদভীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য দেন আবু তাহের নদভী, মাওলানা আরশাদ মাদানী, মাওলানা আব্দুল বছির, ও মাওলানা নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

মাহফিল সঞ্চালনা করেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হক ও গওহরডাঙ্গা শিক্ষা বোর্ডের মুফতি মাকসুদুল হক।

প্রধানমন্ত্রী গভীর মনোযোগ দিয়ে আলেম-ওলামাদের বক্তব্য ও দাবী দাওয়ার কথা শোনেন।

মাহফিলকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যানজটসহ যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে উদ্যান ও তার আশেপাশের এলাকার সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সকাল ৯টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে মাহফিল শুরু হয়। এদিকে মাহফিলকে কেন্দ্র করে সারাদেশ থেকে কওমি মাদরাসা সংশ্লিষ্টরা সকাল থেকেই উদ্যানে আসতে থাকে। প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে মঞ্চে এসে উপস্থিত হন।

প্রধানমন্ত্রী আসার আগেই গোটা মাহফিলস্থল লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। বহুলোক উদ্যানে প্রবেশ করতে না পেরে পাশের ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, টিএসসি, দোয়েল চত্বর এলাকাতেও অবস্থান নেন।

আল্লামা আহমদ শফীর মোনাজাতের মাধ্যমে শুকরানা মাহফিল শেষ হয়।

   

থাই পিএমও-তে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই প্রধানমন্ত্রী জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানান।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দু’নেতা দ্বিপাক্ষিক পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে। এরপর কিছু ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে সই হবে।
দুই নেতা একান্তেও বৈঠক করবেন।

গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন অভ্যর্থনা জানান এবং এরপর সেখানে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে তাকে লাল গালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী গার্ড পরিদর্শন করেন।
শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসের অতিথি বইতে স্বাক্ষর করেন এবং এরআগে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন।

গভর্নমেন্ট হাউস ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ড গেছেন।

সূত্র-বাসস

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৯



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কে. এন. রায় নিয়তি জানান, আসামিদের কাছ থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, ২২ কেজি ৫৮৯ গ্রাম গাঁজা, ১৯০ গ্রাম হেরোইন ও ১০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে ডিএমপির থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

;

বীর মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহ, পৌর মেয়রের বিচারের দাবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. মঞ্জুরুল আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করে প্রকাশ্যে অবমাননার ঘটনায় মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের একটি চাইনিজ রেস্তোরায় মেয়র রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অবমাননার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুবিচার চেয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মঞ্জুরুল আলমের ব্যবসায়ীক অংশীদার সৈয়দ আহম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজল ইসলাম, জাফর আহমেদ ভূঁইয়া ও মোকতার আহমেদ ভূঁইয়া।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মঞ্জুরুল আলম বলেন, ২০২২ সালে রায়পুর থানা মসজিদ সংলগ্ন আমি ও আমার অংশীদার যৌথভাবে একটি ৯ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করি। শুরু থেকেই মেয়র রুবেল ভাট আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে আসছে। কিন্তু আমি চাঁদা দেবো না বলছি। এরমধ্যেই পঞ্চম তলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ষষ্ঠ তলার কাজ চলমান রয়েছে। গত ৪ মার্চ মেয়র রুবেল ভাটের লোকজন এসে আমাদের ভবনের সামনে রাউন্ড দেওয়াল ভেঙে দেয়। আমি এসে কারণ জানতে চাইলে তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। একইদিন আমি ওমরাহর জন্য রায়পুর থেকে চলে যায়। আমার অংশীদার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ আহম্মদ অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপরও পরদিনের একটি মারামারির ঘটনা সাজিয়ে মেয়র তার কার্যালয়ের কার্যসহকারী মহিন উদ্দিন বিপুকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ চাঁদা দাবির ঘটনায় আমি মেয়র রুবেলভাটসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে ২১ এপ্রিল মামলা দায়ের করি। এর জের ধরে আমার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে মেয়রের লোকজন আমার কুশপুত্তলিকা দাহ ও ঝাড়ু মিছিল করেছে। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মঞ্জুরুল আলমের ব্যবসায়ীক অংশীদার সৈয়দ আহম্মদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বর্তমান সরকারের অন্যতম স্লোগান। এরপরও মেয়র রুবেল ভাট একজন মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে। মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করিয়েছে। যারা দেশ স্বাধীন করেছে তাদের এমন অপমান কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। আগে জানতাম না, পরে শুনেছি। আমি পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র আমার পক্ষে লোকজন আসতেই পারে। কেউ যদি এসে মিছিল বা অন্য কিছু করে তাতো আমার বিষয় না। পক্ষে-বিপক্ষে লোকজন থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, মেয়রের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে আদালতের নির্দেশনা পেয়েছি। আগামি ৬ জুনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এছাড়া পৌর কর্মচারী বিপুও একটি মামলা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে। দুটি মামলাই তদন্ত চলছে। মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহের ঘটনাটি জানা নেই।

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মিছিল হয়েছে শুনেছি। কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘটনাটি জানা নেই। কেউ আমাকে বলেনি। এমন ধরণের ঘটনা অবশ্যই ঘৃণিত কান্ড। এ ঘটনায় তিনি মানহানি মামলা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁকে সহযোগীতা করা হবে।

;

বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের আশুলিয়ায় একটি বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মুখ ও মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত নারীর নাম আনজু খাতুন (৩১)। তিনি গাইবান্ধা জেলার সদর থানার ঘাগোয়া ইনিয়নের মৃত মনোয়ার হোসেনের মেয়ে।

নিহত আনজু খাতুন আশুলিয়ার নরসিংহপুরের হা-মীম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকার একটি বাঁশবাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ওই এলাকার একটি বাঁশবাগানের ভেতর নারী পোশাক শ্রমিকের মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেউ তাকে হত্যা করে ওই স্থানে ফেলে রেখে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভজন চন্দ্র রায় বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকান্ডের কারন উদঘাটনের চেষ্টা করছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

;