দোকানে ক্রেতা আছে, বিক্রেতা নেই

  • হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সততা স্টোর। ছবি: বার্তা২৪.কম

সততা স্টোর। ছবি: বার্তা২৪.কম

পণ্য আছে, ক্রেতাও আছে, কিন্তু দোকানে নেই কোনো বিক্রেতা। দোকানের নাম দেয়া হয়েছে সততা স্টোর। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিকল্পনায় লক্ষ্মীপুরের প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে চালু করা হয়েছে এ ‘সততা স্টোর’। এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগে শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়দের মাঝে দুর্নীতিমুক্ত চেতনা বিকাশে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।

জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে সম্প্রতি চালু করা হয়েছে এই সততা স্টোর। এখানে বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণের পাশাপাশি রয়েছে শিক্ষার্থীদের রকমারি নাস্তাও। তবে দোকানে নেই কোনো বিক্রেতা। শিক্ষার্থীরা ইচ্ছে মতো পণ্য নিয়ে নির্ধারিত বাক্সে টাকা রেখে মূল্য পরিশোধ করে। এ বিদ্যালয়কে অনুকরণ করে অন্যান্য বিদ্যালয়েও চালু হচ্ছে সততা স্টোর। ন্যায্যমূল্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এখান থেকে কিনতে পেরে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৎ চেতনাবোধ সৃষ্টি এবং ভবিষ্যত কর্মজীবনে দুর্নীতিমুক্ত মনোভাব সৃষ্টি করার জন্যই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিকল্পনায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত, সৎ ও আদর্শবান নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। জেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ে যদি এভাবে সততা স্টোর চালু করা হয়, তাহলে শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত নতুন প্রজন্ম গড়ার ক্ষেত্রে এটি ফলপ্রসূ হবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/04/1541324942515.gif

শিক্ষার্থীরা বলে, ‘সততা স্টোরে কোনো বিক্রেতা থাকে না। নিজেদের পছন্দ মতো পণ্য কিনি। আবার নিজ হাতেই মূল্য পরিশোধ করি। এতে আমাদের নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া সৎ মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার শিক্ষা পাই এখান থেকে।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, দুদকের পরিকল্পনায় সততা স্টোর করা হয়েছে। প্রত্যেক বিদ্যালয়েই এরকম দোকান করা দরকার। এতে শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধ বাড়বে।

প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম আলাউদ্দিন জানান, সততা স্টোর চালু করে একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা হয়েছে। এখানে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের পণ্য নিজেরা কিনে। আবার পণ্যের মূল্যও নিজেরা পরিশোধ করে। এতে কোনো অপব্যবহারও হয় না।