স্ত্রী-মেয়েকে বাঁচাতে স্বামীর আকুতি

  • হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

স্ত্রী-মেয়েকে বাঁচাতে স্বামীর আকুতি। ছবি: বার্তা২৪.কম

স্ত্রী-মেয়েকে বাঁচাতে স্বামীর আকুতি। ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজিয়া সুলতানা, বয়স ২৮। প্রায় ৮ বছর ধরে তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। অর্থাভাবে যেখানে তার চিকিৎসা চালানো পরিবারের জন্য চরম কষ্টসাধ্য, তার ওপর নতুনভাবে যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা। ৮ মাস ধরে তার ১০ বছরের মেয়েটিও থ্যালাসেমিয়া রোগে ভুগছে।

স্ত্রী-মেয়ের চিকিৎসার খরচ বহনে দিনমজুর স্বামী আক্তার হোসেনের কান্না ছাড়া যেন কিছুই করার নেই। তাদের বাঁচাতে সরকারসহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আকুতি জানিয়েছে অসহায় পরিবারটি।

বিজ্ঞাপন

আক্তার হোসেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের সাইচা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কনফেকশনারি ব্যবসায়ী ছিলেন। স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে এক বছর আগে দোকানঘরসহ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত যাবতীয় সরঞ্জাম বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন দিনমজুরের কাজ করছেন তিনি।

জানা গেছে, ভারতের খ্রিস্টিয়ান মেডিকেল কলেজ ভেলোর-৪-ই মেডিকেলে বোর্ড বসিয়ে রাজিয়া সুলতানার চিকিৎসা চলছে। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা হলেন- দেবাশীষ ডান্ডা, জন ম্যাথিউ, রুচিকা গল, সানদিয়া, আশিষ জ্যাকব ম্যাথিউ ও অশিন এম নায়ার। রাজিয়া এখন তাদের চিকিৎসায় ওষুধ সেবন করছেন। অন্যদিকে তার মেয়েটি থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক এমএজে মৃণাল কান্তি সরকার ও সিওএল মিমি পারভীনের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আক্তার হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসকরা বলেছেন ওষুধের নির্ধারিত ৬ মাস শেষ হলে আমার স্ত্রীকে আবার ভারত হাসপাতালে নিতে হবে। সেখানে নিয়ে আবার চিকিৎসা করাতে পারলে তাকে সুস্থ করা সম্ভব হবে। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকার প্রয়োজন। আমার মেয়েও অসুস্থ। তার চিকিৎসার খরচও চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় স্ত্রী ও মেয়ের চিকিৎসার খরচ চালানোর সামর্থ্য আমার নেই। কেউ আমাকে সাহায্য করলে আমার স্ত্রী ও মেয়েকে বাঁচানো সম্ভব হত।’

সহযোগিতা পাঠাতে পারেন: আক্তার হোসেন, হিসাব নম্বর- ২১৫২১০১০৯৪৮১৪, পূবালী ব্যাংক, মীরের হাট শাখা, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর, বিকাশ ০১৭১২৫৫৯৪৮৭ (ব্যক্তিগত)।