‘স্বপ্ন দেখতে শিখেছি আমরাও’



নাহিদ রেজা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
একতা প্রতিবন্ধী স্কুল। ছবি: বার্তা২৪.কম

একতা প্রতিবন্ধী স্কুল। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আমরা প্রতিবন্ধীরাও স্বপ্ন দেখতে শিখেছি। আমরা আর পিছিয়ে থাকতে চাই না। সুযোগ পেলে আমরাও সমাজ তথা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারি।’

ঠিক এভাবেই কথাগুলো বলছিল একতা প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষার্থী সুবর্ণা আক্তার। শুধু সুবর্ণাই নয় তার মতো প্রায় ৪২০ জন প্রতিবন্ধী শিশু আজ স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। পিছিয়ে পড়ে থাকতে চায়না কেউই।

প্রতিবন্ধীরা আমাদের সমাজের বোঝা নয়। এমন চিন্তা নিয়ে ২০০৮ সালে প্রথম ১৫ জন প্রতিবন্ধী শিশু নিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে আমিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে একটি স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র চালু করেন। এর নাম দেন একতা প্রতিবন্ধী স্কুল।

সমাজের মাঝে প্রতিবন্ধী শিশুদের মেধা বিকাশ করাই ছিল আমিরুল ইসলামের মূল লক্ষ্য। আর এই উদ্যোগে সফল হয়েছেন তিনি। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে তার এখানে মোট ৪২০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।

ঠাকুরগাঁও শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে রায়পুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চুনিহাড়ি এলাকায় ১৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়ে চলে এই স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রটি। যেখানে রয়েছে ৩ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের প্রায় শত শত প্রতিবন্ধী শিশু।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/06/1541510887130.gif

স্কুলটির সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের আশপাশের ৩ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী শিশুরা এই পুনর্বাসন কেন্দ্রে লেখাপড়া করার সুযোগ পাচ্ছে। ৪২০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এখানে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ৮০ জন, বাক-প্রতিবন্ধী ৫৭ জন, শ্রবণ-প্রতিবন্ধী ৩০ জন, শারীরিক-প্রতিবন্ধী ৬২ জন, দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী ৪০ জন, মানসিক-প্রতিবন্ধী ৩৬ জন, অটিজম-প্রতিবন্ধী ৬২ জন, সেরিব্রাল ৫০ জন।

জানা গেছ, যাতায়াতের সুবিধার ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের পরিচালক নিজ উদ্যোগে দুটি পিকআপ গাড়ি কিনে প্রতিবন্ধী শিশুদের বাড়ি থেকে নিয়ে এসে যাতায়াত করতেন। তবে বর্তমানে গাড়ি দুটি অকেজো অবস্থায় রয়েছে। এরপরেও ২০ জন এতিম প্রতিবন্ধীকে রাখা হচ্ছে পুনর্বাসন কেন্দ্রে।

স্কুলের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী জিল্লুর রহমান, সাবিনা ইয়াসমিন জানায়, স্কুলে আসতে তাদের অনেক ভালো লাগে। কারণ এখানকার শিক্ষকরা তাদের অনেক ভালোবাসে। তাদের অনেক ভালোভাবে পড়ালেখা শেখায়। আজ তারা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। তাদের স্বপ্ন তারা বড় হয়ে সমাজের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবে। আর এই স্বপ্ন দেখার মূল কারণ হচ্ছে একতা প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রটি।

একতা প্রতিবন্ধী স্কুলের পরিচালক আমিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে গিয়ে আমাকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষ, টেবিল-চেয়ার, স্কুলের সীমানা প্রাচীর অর্থের অভাবে এখনো করতে পারছি না। প্রতিবন্ধী শিশুদের পাঠদানের জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানে কোনো প্রজেক্টর ও কম্পিউটার নেই। শিশুদের চিকিৎসার জন্য আমাদের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র থাকলেও ডাক্তার ও ওষুধের অভাবে তা ব্যাহত হচ্ছে।’

ঠাকুরগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমি ওই একতা প্রতিবন্ধী স্কুলটি পরিদর্শন করেছি। স্কুলটির ভেতরে অনেক সুন্দর পরিবেশ রয়েছে। সেখানকার বাচ্চারা এগিয়ে যেতে চায় এটা অনেক ভালো ব্যাপার। আমরা চেষ্টা করব তাদের জন্য ভালো কিছু করার।’

   

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে রাশেদুল ইসলাম (৫৪) নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের চামটার হাট বাজারে তার মৃত্যু হয়। 

মৃত রাশেদুল ইসলাম লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বিছনদই গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে। তিনি আগে পেপার বিক্রেতা ছিলেন। 

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে অটোরিক্সা নিয়ে ভোটমারী গোলাম মৃর্তজা ক্লিনিকের মাইকিং করতে করতে চামটার হাট বাজারে যান। সেখানে একটি হোটেলে খাবার খেয়ে বের হওয়ার সময় অসুস্থা হয়ে পড়েন। পরে অসুস্থ হওয়ার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করার সময় ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। 

ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভেকেট মশিউর রহমান বার্তা ২৪ কমকে জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে সেখানে তিনি হিট স্ট্রোক করে মারা যান।



;

প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা আছে: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূল ধারায় আনার জন্য একটা বড় প্রচেষ্টা রয়েছে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নীতিমালা তৈরি করা ও আইন তৈরি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসব ঢাকা-২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা প্রতিবন্ধীতায় আক্রান্ত তারা শারীরিক মানসিক নানা ধরনের শিকার হলেও বুদ্ধি ও মননশীলতায় স্বাভাবিক মানু্ষদের মত যে তাই নয়, বরং সৃজনশীলতায় অনেক ক্ষেত্রে বেশিও। তিনি বলেন, আমরা সবসময় কথা বলি বৈষম্য হীনতার সেই স্বপ্নের কথা, সেই সমাজ তৈর করার কথা বলি। আমরা যখন জাতির পিতার কথা বলি তখনো বলি তার বৈষম্যহীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন সে কথা।

আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি উল্লেখ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আইসিটি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি। আমাদের অনেক কিছু আছে আবার অনেক কিছু নেই সেটাও সত্যি। তবে যেটা সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা সেটা আছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। সেটা অনেক জায়গায় থাকে না। আমার সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করাটা এখন প্রয়োজন। আমাদের সরকারি ভবন, কর্মস্থল, পাবলিক স্পেস সব পর্যায়ে আমরা যেন অভিগমনতা নিশ্চিত করতে পারি এটা করা আমাদের জন্য জরুরি।

দীপু মনি বলেন, আমরা চাই বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার যে শিশুরা রয়েছে তারা যেন সাধারণ সবার সাথে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা তৈরি করা। আর যাদের পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয় তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। সবার মতই তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্রীড়া চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা ব্যবস্থা করা। এটা সবার মতই তাদের জন্যও অপরিহার্য। 

;

মানিকগঞ্জে সেলফি তুলতে গিয়ে আগুনে পুড়ে নারীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জে বাসন্তী দেবীর কপালে সিদুর দেওয়ার সময় সেলফি তুলতে গিয়ে শাড়িতে আগুন লেগে দগ্ধ হয় মলি রানী (৪৬) নামের এক নারী। এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মলি রানী। মানিকগঞ্জ জেলা শহরের গঙ্গাধর পট্টি এলাকার অশোক্নসাহার স্ত্রী মলি রানী।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাসন্তী পূজার দশমীর দিন গত ১৮ এপ্রিল শহরের কালীবাড়ী মন্দিরে বাসন্তী দেবীর কপালে সিদুর দেয়ার সময় দেবীর সাথে সেলফি তুলছিলেন মলি। এ সময় পাশে থাকা প্রদীপের আগুন শাড়িতে লেগে দেহের ৩০ ভাগেরও বেশি পুড়ে যায়।

পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। প্রায় ১ সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে শুক্রবার সকাল ১০টায় চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাসন্তি পূজার সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি ছিলো মলি। এরপর সেখানেই চিকিৎসাদীন তার মৃত্যু হয়।

;

মানিকগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু

মানিকগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জে ছাদে খেলার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে পড়ে মাহিয়া আক্তার (১৭) নামের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার বাসস্ট্যান্ডের আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহিয়া আক্তার মানিকগঞ্জের সিংগাইরের বড় কালিয়াকৈর এলাকার আল মামুনের মেয়ে। সে আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্রী ছিল।

মাদরাসার শিক্ষিকা শারমিন আক্তার জানান, সকালে ক্লাসের ফাঁকে মাদরাসার ছাদে খেলাধুলা করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাদরাসার ভবনের চার তলা থেকে নিচে পড়ে যায় মাহিয়া। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থার অবনতি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;