নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে চায় জাপা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে জাতীয় পার্টি।

বুধবার (০৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে সম্মিলিত জাতীয় জোটের প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার এ কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। তারা আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। আমরা আট দফা নিয়ে বক্তব্য রেখেছি।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, নির্বাচনের তফসিলের তারিখ ৮ তারিখেই করা হোক। আমরা যতদুর জানি আজকের পর কোন সংলাপ হবে না। সুতরাং সংলাপের অজুহাত দিয়ে কমিশনের কাছে তারিখ পেছানোর দাবির কোন যুক্তি থাকতে পারে না।

নির্বাচনের মনোনয়েন সহজ করার প্রস্তাব করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কালো টাকার প্রভাবমুক্ত করতে হবে। নির্বাচনের সময় যাতে কোনভাবেই অস্ত্রের ব্যবহার না হয় তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন প্রচারকালে সংঘাত বা সহিংসতা রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। মোটর সাইকেল বা গাড়ি বহরের ব্যবহার সীমিত করার ব্যবস্থা নিতে হবে। পোস্টার ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একক পোস্টার দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন।

নির্বাচনকালে সেনাবাহনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখতে হবে দাবি করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ইভিএম ব্যবহরের ক্ষেত্রে জনগণের মাঝে দ্বিধা সন্দেহ রয়েছে। এটা আধুনিক ভোটের পদ্ধতি হলে ইভিএম ব্যবহারে এখনও অভ্যস্ত না। এটা ব্যবহারের আরও পরীক্ষা নীরিক্ষা করতে হবে। বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য আরও সময়ের প্রয়োজন হবে। সর্বোপরি নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে এবং নিশ্চয়তা দিতে হবে তারা অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন নিশ্চিত করবেন। এবং সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন করতে হবে। তারা অনেক ক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেন, আগামী কাল তফসিল ঘোষণা করা হবে। জোট নেতাদের উদ্দ্যেশে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আপনারা জানেন আমরা এর আগেও সংসদ নির্বাচন নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। আশাকরি, কাল তফসিল ঘোষণা করা হবে।

এরপর নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সবাইকে উদ্দ্যেশ করে বলেন, এখানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উপস্থিত আছেন। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনে জন্য আশাকরি একটি ফলপ্রসু আলোচনা হবে। এরপর সচিব সবাইকে তার পরিচিতি দিয়ে বক্তব্য রাখার অনুরোধ জানান।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার  মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদত হোসেন চৌধুরী ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত  ছিলেন জাপার মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যরিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এমএ সাত্তার, জিয়াউদ্দিন বাবলু, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মশিউর রহমান রাঙ্গা, মুজিবুর হক চুন্নু, জাতীয় ইসলাম মহাজোটের চেয়ারম্যান আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক ও বিএনএ চেয়ারম্যান সেকান্দার আলী মনি।