শনিবার চালু হচ্ছে বাংলাদেশের দীর্ঘতম রেলপথ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শনিবার চালু হচ্ছে বাংলাদেশের দীর্ঘতম রেলপথ, ছবি: বার্তা২৪.কম

শনিবার চালু হচ্ছে বাংলাদেশের দীর্ঘতম রেলপথ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে ঢাকা থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত ট্রেন। ৫০৭ কিলোমিটার পথ মাড়িয়ে ২৩টি স্টেশন ঘুরে এটি পৌঁছাবে পঞ্চগড়। দূরত্বের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম রেলপথ।

রেলভবন জানায়, শনিবার (১০ নভেম্বর) পঞ্চগড় থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হবে। এরপর ৭টা ৫৮ মিনিটে ঠাকুরগাঁও পৌঁছাবে। সকাল ৮টায় আবার ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে দ্রুতযান এক্সপ্রেস।

আবার একতা এক্সপ্রেস রাত ৯টায় পঞ্চগড় ছেড়ে ঠাকুরগাঁওয়ে পৌঁছাবে রাত ৯টা ৩৮ মিনিটে। সেখান থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে দিনাজপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

এতদিন ঢাকা থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত চলত দ্রুতযান ও একতা এক্সপ্রেস। এই দুটি ট্রেনই এখন দিনাজপুর হয়ে পঞ্চগড় যাবে। সাপ্তাহিক বিরতি থাকবে না। দ্রুতযানে এক্সপ্রেসে ৯৪৪টি এবং একতায় ৮৯৪টি আসন রয়েছে।

এতদিন পঞ্চগড়ের যাত্রীরা ঢাকা থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত যেয়ে, বাকি পথ শাটল ট্রেনে যেতেন। সরাসরি ট্রেন চালুর পর বন্ধ হয়ে যাবে শাটল ট্রেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/09/1541777947422.jpg

নতুন চালু হওয়া ট্রেন সম্পর্কে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী জানান, ঢাকা-দিনাজপুরের মধ্যে চলাচলকারী দ্রুতযান এক্সপ্রেস এবং একতা এক্সপ্রেস ট্রেন একই ধরনের কোচ, কম্পোজিশনে লাল-সবুজ রংয়ে ইন্দোনেশিয়ান কোচ দিয়ে পরিচালনা করা হবে। ট্রেনগুলো তিনটি রেক দিয়ে চালানো হবে।

ঢাকা থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত দ্রুতযান ও একতায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বার্থের ভাড়া ১ হাজার ৯৪২ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৫৩ টাকা, নন এসি বার্থের ভাড়া ১ হাজার ১৪৫ টাকা ও শোভন চেয়ারের ভাড়া ৫৫০ টাকা।

গত ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁও এসে আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হবে বলে আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন। এরপর মূলত রেল মন্ত্রণালয় উদ্যোগী হয় এ ট্রেন চালুর বিষয়ে। যা কাল থেকে চলাচল শুরু করবে।

   

চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আপাতত সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত সরকারের নেই। তবে আগামীতে চাকরিতে বয়সসীমা বাড়াব কী-বাড়াব না, বাড়ালে ভালো হবে কিনা, এটি আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আরো আলাপ-আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সোমবার (০৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে পৃথক দুটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সম্পূরক প্রশ্নে চাঁদপুর-৫ আসনের রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম ও সংরক্ষিত আসনের এমপি ফরিদা ইয়াসমিন চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে কিনা তা জানতে চান।

রফিকুল ইসলাম তার প্রশ্নে বলেন, সরকারি চাকরিতে যোগদানের যে বয়সসীমা রয়েছে তা অনেক আগে নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে আমাদের দেশের মানুষের আয়ুষ্কাল ৬২ বছর থেকে ৭২ বছরে এসে পৌঁছেছে। এখন এটা অত্যন্ত যৌক্তিক হবে- সরকারি চাকরিতে যোগদানের বর্তমান বয়সসীমা শিথিল করে অন্তত ৩৫ বছরের কাছে নিয়ে যান। এটা হলে কর্মসংস্থানের অভাবে আমাদের হতাশাগ্রস্ত তরুণ ও যুব সমাজ প্রতিযোগিতায় এসে সরকারি চাকরিতে ঢুকতে পারবে। আমি সরকারকে অনুরোধ করব, বয়সসীমা শিথিল করার সময় এসেছে। সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টির সময় হয়েছে। আমাদের ‘না’ একটা মনোভাব রয়েছে- এটা থেকে বেরিয়ে ‘হ্যাঁ’-তে চলে আসতে হবে।

জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চাকরির বয়স ছিল ২৭ বছর, সেখান থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সেটা ৩২ বছর করা হয়েছে। চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছে। আমরা সবসময় যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জনবল কাঠামো ও নিয়োগ প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন করে থাকি। যুগের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে আমরা পরিবর্তনও করে থাকি।

চাকরিতে প্রবেশ ও বেরিয়ে যাওয়ার (অবসর) বয়সটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরি ঘিরে এখন বেশ আকর্ষণ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত মেধাবীরা ক্যাডার সার্ভিসে যোগদান করছেন। সরকারি চাকরির পরিবেশ থেকে শুরু করে বেতন কাঠামো নতুন প্রজন্মের কাছে বড় আকর্ষণ তৈরি করেছে। সরকারের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা একটি সম্মানের বিষয়। আবার চাকরির নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বেতন কাঠামো অত্যন্ত সুন্দর এবং কাজের পরিবেশও সুন্দর হয়েছে।

বয়স বাড়ানো প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা সবসময় বলে আসছি, ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট যারা তাদের রিক্রুট করতে চাই। এটা সরকারের একটা পলিসি। আমরা বিসিএস-এর মাধ্যমে দেখে থাকি ২২/২৩ বছর বয়স থেকেই তারা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকেন। তারা ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকেন। এজন্য তারা যোগদানের যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি সংসদে জানিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় যুগের প্রয়োজনে নতুন যেটা করলে ভালো হবে সেটা চিন্তা-ভাবনা করে থাকি। তবে আমি মনে করি, এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। আমরা চাকরির বয়স-আগামীতে বাড়াব কী বাড়াব না, বাড়ালে ভালো হবে কিনা?— এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। এটা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারব।

সংরক্ষিত আসনের ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী একটি আধাসরকারি পত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন। সরকারের এটা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা?

জবাবে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের একটি পত্র আমরা ইতিমধ্যে পেয়েছি। আগেই বলেছি এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও আলাপ-আলোচনা করব। তবে আপাতত চাকরির প্রবেশের বয়স বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত নেই। এটা নিয়ে আরও আলোচনা-পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে দেখব।

;

সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের সুপারিশ সাঈদ খোকনের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের সুপারিশ সাঈদ খোকনের

সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের সুপারিশ সাঈদ খোকনের

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা শহরে সিটি টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের সুপারিশ করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

সোমবার (৬ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে এই সুপারিশ করেন তিনি।

বৈঠকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি এবং হয়রানির চিত্র তুলে ধরেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি চলছে। এ চাঁদাবাজদের কবল থেকে রিকশাচালকরাও রক্ষা পাচ্ছেন না। শিক্ষার্থীরা স্কুল ব্যাগ নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার সময়ও রিকশা থামিয়ে চাঁদা আদায় করা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে দেশের উন্নয়ন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়াসহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই সিটি টোল আদায় বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণে সুপারিশ করেন মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

এর আগে বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠকের কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

এ ছাড়া বৈঠকে কমিটি সদস্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

‘জলবায়ু সহনশীল মৎস্য প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কাজ চলমান’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণতা, সমুদ্রের পানির উচ্চতা এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় এলাকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ প্রেক্ষিতে জলবায়ু সহনশীল মৎস্য চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নিয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণতা, সমুদ্রের পানির উচ্চতা এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় মৎস্য সম্পদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এছাড়া, নদীসমূহে লবণাক্ত পানি অনুপ্রবেশের ফলে মিঠাপানির মাছ ও প্রাথমিক উৎপাদনশীলতায় পরিবর্তন ঘটছে। উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে মাছের আবাসস্থল, বিচরণক্ষেত্র, অভিপ্রায়ণ ও প্রজনন প্রভাবিত হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে, বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণ ও দেশীয় মাছের বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণা পরিচালনা করে আসছে।

মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট হতে মৎস্য সম্পদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নির্ণয়ের জন্য সম্প্রতি ‘Effect of Climate Change on the Ecology and Biodiversity of Inland Open Water Fishes’ শীর্ষক একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, মেঘনা, তেঁতুলিয়া, আন্ধারমানিক, গলাচিপা, পায়রা, পশুর, ময়ুর, ডাকাতিয়া, শিবসা, রায়মঙ্গল ও বলেশ্বর নদীর নিম্নাঞ্চলেও লবণাক্ততা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে মিঠাপানির নদ-নদীর নিম্নাঞ্চলে মাঝে-মধ্যে লোনাপানির মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। এ প্রেক্ষিতে, উপকূলীয় অঞ্চলে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য লবণাক্ততা সহিষ্ণু তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ উপকূলীয় ঘেরে চাষ করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, দেশে মিঠাপানির জলাশয়ে ২৬১ প্রজাতির মাছ আছে। আইইউসিএন ২০১৫ সালে ৬৪ প্রজাতির দেশীয় মাছকে বিলুপ্তপ্রায় হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত করে। দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় মাছসমূহ সুরক্ষায় দেশে প্রথম বারের মতো ২০২০ সালে ময়মনসিংহস্থ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে লাইভ জীন ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত এ লাইভ জীন ব্যাংকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দেশীয় প্রজাতির মাছকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রকৃতি থেকে কোন মাছ হারিয়ে গেলে এই লাইভ জীন ব্যাংকে সংরক্ষিত মাছকে হ্যাচারিতে কৃত্রিম উপায়ে পোনা উৎপাদন করে জলাশয়ে ছেড়ে দেয়া যাবে এবং চাষাবাদ করা যাবে।

এতে করে প্রকৃতি থেকে কোন মাছ হারানোর ঝুঁকি আর থাকবে না। এছাড়াও ইনস্টিটিউট থেকে দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে জাতীয় চাহিদার নিরিখে গবেষণা পরিচালনা করে এ যাবত পর্যন্ত ৩৯টি বিলুপ্তপ্রায় মাছের প্রজনন এবং চাষাবাদ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে।

;

দেশে বিচারাধীন মামলা ৩৭ লাখ ২৯ হাজার: আইনমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ৬৪ জেলায় বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ২৩৫টি বলে সংসদে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এসব মামলার মধ্যে ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৪৪টি দেওয়ানি এবং ২১ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৪টি ফৌজদারি মামলা।

সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এ কে আবদুল মোমেনের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন।

আইনমন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের ১০ জুন থেকে ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এক লাখ ১০ হাজার ৫৪৮টি দলিল ই-রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে।

বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী জানান, মামলার জট কমাতে উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত আইন তৈরির কার্যক্রমও শেষ করে আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, মামলার জট বেড়েছে সঠিক এবং তার সাথে সাথেও কিন্তু আমরা আদালত তৈরি করে বিচারকের সংখ্যা বাড়িয়েছি। যেটা আগে কখনো হয়নি, সেটা হচ্ছে- আগে কখনো বিচারকের পদ শুন্য হওয়ার আগে বাংলাদেশ জুটিশিয়াল সার্ভিস ক্যাডারে পরীক্ষা নিয়ে এটা রিজার্ভ বিচারকের ব্যবস্থা ছিলো না। এখন কিন্তু আমরা সেটা করি যাতে কোনো বিচারক অবসরে গেলে সেই পদটা যেনো খালি না থাকে, তড়িৎ যেন আমরা সেখানে বিচারক দিতে পারি। দ্বিতীয় যেটা করা হচ্ছে, বিচারকের পদ সৃজন এবং আদালত সৃজন দুইটার জন্যই আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখেছি এবং সেইখানে ১৭৮টি পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেটা আসলে আমর মনে হয় মালার জট কমানোর চেষ্টা করবে। মামলার জট কমানোর জন্য অন্যান্য চেষ্টাও হচ্ছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, হাইকোর্ট বিভাগে অন্ততপক্ষে বিচারপতি ছিলেন ১০০ জন, এখন সেটা কমে এসছে, অবসরে গেছেন অনেকে, আপিল বিভাগে গেছেন অনেকে। সেই ক্ষেত্রে এখন নেমে এসেছে ৮৪ জনে। রাষ্ট্রপতি তার সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করে খুব শিগগিরই হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। বিচাপতি নিয়োগের জন্য আইন যেটা করার সেটাও কিন্তু আমরা শেষ করে এনেছি। হাইকোর্টেও বিচারপতি নিয়োগের ব্যাপারে যে আইনটা সেটার জন্য স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলাপ করার জন্য খুব শিগগিরি একটা সময় ও তারিখ দেওয়া হবে।

;