কুষ্টিয়ার দেড়শ ইটভাটার মধ্যে ১২৪টিই নিয়ম বর্হিভূত



এস এম জামাল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশসেরা উর্বরা কৃষি জমি ও উদ্বৃত্ত খাদ্য শস্য উৎপাদনের অঞ্চল খ্যাত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা কুষ্টিয়া। জেলার মোট ১লাখ ৬২হাজার হেক্টর জমির মধ্যে প্রায় ১ লাখ ১৭হাজার হেক্টর কৃষি জমি হিসেবে চিহ্নিত। এর মধ্যে অতি উর্বরা তিন বা অধিক ফসলি কৃষি জমির পরিমাণ মাত্র ৭৬ হাজার হেক্টর।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, প্রতি বছর এসব কৃষি জমিতে উৎপাদিত খাদ্য শস্য জেলার প্রায় ২২ লাখ মানুষের বার্ষিক খাদ্য চাহিদা পূরণ করেও উদ্বৃত্ত খাদ্য শস্য দেশের অন্যান্য জেলায় খাদ্য সরবরাহের যোগান দিচ্ছে।

সর্বশেষ উৎপাদন বর্ষেও এই জেলা থেকে অন্তত ২লাখ ১ হাজার মে.টন উদ্বৃত্ত খাদ্য অন্যত্র সরবরাহ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করছেন জেলার কৃষি বিভাগ। খাদ্য শস্য উৎপাদনে এমন গৌরবময় অর্জন থাকলেও জেলায় ক্রমবর্ধমান কৃষি জমি ধ্বংসের শঙ্কার কথা জানাচ্ছেন তারা।

বিশেষ করে বেপরোয়া ইটভাটা মালিকদের কৃষি জমি আগ্রাসনকে এক আত্মঘাতি ঘটনা হিসেবে দেখছেন কৃষি বিভাগ।

ইটভাটা মালিকরা তাদের কাজকে বেআইনি বলে স্বীকার করেই বলছেন, কিছুই করার নেই; কারণ এসব দেখার দায়িত্বে যারা আছেন তাদের সবাইকে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে ম্যানেজ করেই হচ্ছে এসব। কেউবা বলছেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু প্রকৃত চিত্র হলো- নামকাওয়াস্তে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই একটি অভিযান পরিচালিত হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/19/1542644664759.jpg

বিধি মতে, জেলায় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থানের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে যথাযথ নিয়ম মেনে লাইসেন্সসহ আনুষঙ্গিক ছাড়পত্র নিতে হয়।

জেলা প্রশাসন ইটভাটা স্থাপনে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ইতিবাচক ছাড়পত্র আছে কি না সে বিষয়টি দেখেন। তবে কুষ্টিয়া জেলার ছয়টি উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কৃষি জমিতে গড়ে উঠা কেবলমাত্র তালিকাভুক্ত প্রায় ১৫২টি ইটভাটার মালিকদের কেউই উল্লেখিত নিয়ম মেনে ভাটা স্থাপন করেননি।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান, ভূমি জোনিং এ্যাক্ট-২০১০, কৃষি জমি সুরক্ষা আইন-২০১৫, পরিবেশ সুরক্ষা আইন-১৯৯৫সহ  ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনে আইনগত নীতিমালা-২০১৩ সবই লঙ্ঘিত হয়েছে উপজেলার সকল ইটভাটা স্থাপনের ক্ষেত্রে। সরেজমিনে অভিযানে গিয়ে তাদের কাছে ইটভাটা স্থাপনে লাইসেন্স বা ছাড়পত্র কিছুই পাওয়া যায়নি।

কয়েকটি ইটভাটা মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমরা ভ্যাট-ট্যাক্সসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরেই নিয়মিত টাকা দিচ্ছি। আমরা যদি অবৈধ হই তাহলে আমাদের কাছ থেকে এসব টাকা কেন নেয়া হচ্ছে ? আবার কেনইবা মাসে মাসে প্রশাসন অভিযানের নামে এসে জরিমানা আদায় ও ভাটা ভাঙচুরসহ নানা ভাবে আমাদের আর্থিক ক্ষতিসাধন করছেন? আমরাও তো দেশ উন্নয়নে অবকাঠামো নির্মাণের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ইট তৈরি করছি। আমরাও চাই এর একটা সঠিক সমাধান হোক।

কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভূতিভূষণ সরকার বলেন, কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে কৃষি ধ্বংসের একমাত্র এবং অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইটভাটা। বিগত এক দশকে জেলার অতি উর্বর তিন ফসলি ৭৫ হাজার ৮৮০হেক্টর কৃষি জমির মধ্যে ২৮৮হেক্টর জমিতে গড়ে উঠা দেড় শতাধিক ইটভাটা প্রত্যক্ষভাবে ধ্বংস করেছে। এছাড়া এসব ইটভাটার দুষণ ও বিরূপ প্রভাবে চতুর্দিকে আরও ৪ গুণ জমি ফসলহানির শিকার হচ্ছে।

এত কিছু জানার পর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষি জমিতে কিভাবে ভাটা স্থাপনে ছাড়পত্র দেবে? কৃষি বিভাগ থেকে কোন প্রকার ছাড়পত্র ছাড়াই কৃষি জমিতে দেদারসে ইটভাটা গড়ে উঠলেও আমাদের হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা না থাকায় কিছুই করার নেই। ইটভাটা মালিকদের ‘সবাইকে ম্যানেজ’ প্রক্রিয়ার সাথে কৃষি বিভাগ কোন ভাবেই জড়িত নয় বলে তিনি দাবি করে  জানান, এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) ড. হায়াৎ মাহমুদ জেলার কৃষি উৎপাদনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, দিনে প্রতি একজনের মাথাপিছু খাদ্য চাহিদা ৪৮৭গ্রাম হিসেবে ধরে জেলার ২২লক্ষ মানুষের একদিনের খাদ্য যোগানে প্রয়োজন ১০৭১.৪ মে. টন এবং  বার্ষিক খাদ্য চাহিদা যোগানে প্রয়োজন ৩ লাখ ৯১ হাজার ৬১ মে.টন খাদ্যশস্য। জেলার সর্বশেষ বার্ষিক খাদ্য শস্য উৎপাদনে অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ছিলো- ৫লাখ ৯২ হাজার মে. টন (শুধুমাত্র চাল, গম ও ভুট্টার হিসেব ধরে) যা বার্ষিক খাদ্যের যোগান দিয়েও ২ লাখ এক হাজার মে.টন খাদ্য শস্য উদ্বৃত্ত ছিলো।

এছড়াও অন্যান্য খাদ্য শস্য যেমন চিনি, সবজি, ডাল বীজ কলা প্রভৃতিও রয়েছে। উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য উৎপাদনে দেশের হাতে গোনা কয়েকটি জেলার  মধ্যে কুষ্টিয়া অন্যমত। এই সফলতা অর্জনে জেলার কৃষি বিভাগ নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এতদ্সত্ত্বেও নানাবিধ কারণে উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদনের এই ধারা অব্যাহত রাখাটা ক্রমান্বয়ে শঙ্কাগ্রস্ত হয়ে উঠছে। বিশেষ করে কৃষি জমিগুলি ক্রমবর্দ্ধমান গতিতে যেভাবে নানামুখি অকৃষিজ খাতে চলে যাচ্ছে তাতে কৃষি উৎপাদনের মূল আঁধার যে জমি তার সিংহভাগই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/19/1542644701921.jpg

এদিকে কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়া ম্যানেজ করে ইটভাটা নির্মাণের সত্যতা পেয়েছেন বলে জানালেন দুদক কুষ্টিয়ার সহকারি পরিচালক হাফিজুল ইসলাম।

পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সিনিয়র কেমিস্ট মিজানুর রহমান বলেন,  জেলায় প্রায় দেড় শতাধিক ইটভাটার মধ্যে মাত্র ২৬টি ইটভাটা স্থাপনে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেয়া থাকলেও অন্যদের কোন ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। তবুও কিভাবে এসব ভাটা চলছে তা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বলতে পারবেন। তবে এসব অবৈধ ভাটা মালিকদের সাথে পরিবেশ অধিপ্তরের কারো সাথে কোন অনৈতিক সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন তিনি।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ ওবাইদুর রহমান জানান, জেলায় ভাটা স্থাপনের ক্ষেত্রে ভাটা মালিকরা নীতিমালা লংঘন করেই এসব করছেন। তবে ব্যক্তিগতভাবে কেউ ইচ্ছে করলেই জমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে পারবেন না। কৃষি জমিকে অকৃষিজ দেখিয়ে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে এমন অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্প্রতি কুষ্টিয়ায় দুটি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব ইটভাটার কারণে পরিবেশ ধ্বংস, ফসলি জমির উর্বরতা বিনষ্ট ও জীববৈচিত্র্য ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে। দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

   

র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক ফিরোজ, নিজ বাহিনীতে ফেরত যাচ্ছেন আরিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলিট ফোর্স র‍্যাব-৩'র নতুন অধিনায়ক (সিও) হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর। তিনি লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ফিরোজ তার দায়িত্ব বুঝে নিবেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) র‍্যাব সদরদফতরের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ নিজ বাহিনীতে (সেনাবাহিনী) ফেরত যাচ্ছেন। তিনি র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক হিসেবে দুবছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। মেধাবী ও সৎ অফিসার হিসেবে পরিচিত এই সেনা কর্মকর্তা ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিযান, মাদক-অস্ত্র উদ্ধার, খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যাপক অভিযান চালান। যা ব্যাপক প্রশংসিত হয়।

এদিকে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া ফিরোজ কবীর সর্বশেষ র‍্যাব-৬'এর দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি তাকে বদলি করে র‍্যাব সদরদফতরে আনা হয়। গত মে মাসে তিনি র‍্যাব-৬'র অধিনায়কের দায়িত্ব পান। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর পুলিশ সপ্তাহে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক- বিপিএম পান।

অন্যদিকে ১৮ এপ্রিল র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনকে নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। তার জায়গায় নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। গত বুধবার আরাফাত তার বুঝে নেন। আর র‍্যাব-১৩'র অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার কামরুল হাসান।

রাজধানীর ব্যাংক পাড়া খ্যাত মতিঝিল, মুগদা, শাহ্জাহানপুর, পল্টন, খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা, হাতিরঝিল, শাহবাগ ও রমনা থানা মিলে র‍্যাব-৩ এর আওতাধীন এলাকা। 

;

লামায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দারবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামা উপজেলায় অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে বন্দুকসহশ জুয়েল ত্রিপুরা (২৮) নামের এক পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি নাইক্ষ্যংমুখ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক জুয়েল ত্রিপুরা(২৮) হলেন অনজাহা ত্রিপুরার ছেলে । সে লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুরে জুয়েল ত্রিপুরা সহ আরও দুই জন সংঘবদ্ধ হয়ে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম নাইক্ষংমুখ এলাকায় বন্দুকের ভয় দেখিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল। সেই সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর টহল দল দেখতে পেয়ে বিষয়টি অবহিত করে। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল হাতেনাতে জুয়েল ত্রিপুরা কে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করেন। এর আগে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য দুই জন পালিয়ে যায়।

এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম শেখ বলেন, এ ঘটনায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

নরসিংদীতে অতি গরমে প্রবাসীর শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল চাঁনপুরে অতি গরমে এক প্রবাসীর দেড় বছরের এক শিশু মারা গেছে। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের সওদাগর কান্দি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় চাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশুর নাম ইয়াসিন। সে রায়পুরা উপজেলার সওদাগর কান্দি এলাকার প্রবাসী এনামুল হকের ছেলে।

নিহত ইয়াছিনের নানা বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নাতীসহ মেয়ে নরসিংদী শহরের বাসাইলস্থ ভাড়া বাসা থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি সওদাগর কান্দিতে নিয়ে আসি। আর আজই আমার নাতিটা মারা গেলো। 

তিনি আরও জানান, দুপুর সোয়া ২টার দিকে ইয়াসিন তার মায়ের সাথে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত গরমে মাটিতে শুয়ে পড়ে। পরে তাকে সওদাগর কান্দি ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাব সেন্টারের নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট মিজানুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় মিজানুর রহমান জানান, শিশু ইয়াছিনকে তার কাছে আনার আগেই মারা গেছে। যারা নিয়ে এসেছে তাদের ভাষ্যমতে অতি গরমে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। 

 

 

 

;

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরব আমিরাতের ৯০ হাজার দিরহামসহ শারজাহগামী এক যাত্রীকে আটক করেছে এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। উদ্ধার মুদ্রা ২৩ হাজার ৬৮৪ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিমানবন্দর টার্মিনালের আন্তর্জাতিক অ্যান্টি হাইজ্যাকিং গেইটে তল্লাশি এসব মুদ্রাসহ তাকে আটক করা হয়।

আটক যাত্রীর নাম মোহাম্মদ কায়সার হামিদ৷ তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা। রাত সোয়া আটটার এয়ার এরাবিয়া জি৯-৫২১ ফ্লাইট যোগে শারজাহ গমনিচ্ছুক ছিলেন হামিদ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন- বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।

তিনি জানান, বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে পতেঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করছে। উদ্ধার করা বিদেশি মুদ্রাগুলো শুল্ক গোয়েন্দার মাধ্যমে বিমানবন্দর কাস্টমসের নিকট হস্তান্তর করা হবে, যা পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক জব্দ হবে।

তিনি আরও জানান, যাত্রী বৈদেশিক মুদ্রা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ (১ বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ইউএস ডলার বা এর সমমূল্যের অন্য কোনো বৈদেশিক মুদ্রা) এর বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করায় তার নিকট হতে প্রাপ্ত সমুদয় বৈদেশিক মুদ্রা যাত্রীসহ আটক করা হয়।

;