যে কারণে বেকায়দায় নানক-রহমান, নাছিম-মোজাম্মেল



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, বাহাউদ্দিন নাছিম ও বিএম মোজাম্মেল হক

আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, বাহাউদ্দিন নাছিম ও বিএম মোজাম্মেল হক

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে নৌকার প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ৪ হাজার ২৩ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম ও বিএম মোজাম্মেল হক। মনোনয়নের খসড়া তালিকায় তাদের দুজনকে ‘স্থগিত’ ও অন্য দুইজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে গুঞ্জন চারদিকে।

সোমবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তাদের চারজনের অনুপস্থিতি এ গুঞ্জনকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট এসব প্রার্থীকে নিয়ে ছড়ানো গুঞ্জনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে বিভিন্ন মহলে।

সূত্র জানিয়েছে, ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩২ সংসদীয় আসনে প্রার্থী তালিকার খসড়া করেছে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড। এই তালিকায় নাম নেই দুই কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক এবং আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর কবির নানকের আসনে মনোনয়ন ‘স্থগিত’ রাখা হয়েছে। তারা দুজনেরই ১০ম জাতীয় সংসদে যথাক্রমে ফরিদপুর-১ ও ঢাকা-১৩ থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনকে খুব কঠিন হচ্ছে ধরে নিয়ে প্রার্থী নির্বাচনে বেশ সতর্ক আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে জিতে আসার মত ক্লিন ইমেজের প্রার্থীদের মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ। গতবারের মত মুখ দেখে প্রার্থী এবার ঠিক করা হবে না। মনোনয়নের ক্ষেত্রে মাঠ জরিপ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার জরিপে এগিয়ে থাকা প্রার্থীরা মনোনয়ন পাবেন।

হেভিওয়েট প্রার্থীদের বাদ পড়ার পেছনে কারণ হিসেবে যেসব বিষয় এসেছে সেগুলো হচ্ছে জনপ্রিয়তা হারানো ও দলীয় কোন্দল। আবার জোট-মহাজোটের সমীকরণে পড়ে কারও কারও কপাল পুড়ছে বলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র জানিয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-১৩ আসনে জাহাঙ্গীর কবির নানক জনপ্রিয় হলেও তার ব্যাপারে আপত্তি আছে একটি প্রভাবশালী বিদেশী রাষ্ট্রের। কিছুদিন আগে রাতে রাজধানীর মোহম্মাদপুরে এক বিদেশী রাষ্ট্রের কূটনীতিকের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা হয়েছিল। এরপর থেকেই ওই এলাকার সাংসদ নানকের ব্যাপারে তাদের আপত্তি হয়। এছাড়া তার বিপক্ষে গ্রুপ্রিংয়েরও বিস্তর অভিযোগ আছে। এমনকি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র বিক্রিকালীন সময়ে মোহাম্মদপুরে দুই ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনাতেও বিব্রত হয় আওয়ামী লীগ। ওই ঘটনায় নানকের ভূমিকাতেও ‘নাখোশ’ দলীয় হাইকমাণ্ড। তাই ঢাকা-১৩ আসনে মহাজোটের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে সময় নিতে চায় মনোনয়ন বোর্ড।

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলা, আলফাডাঙা উপজেলা ও বোয়ালমারী উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-১ আসন গঠিত। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। তবে এ আসন থেকে এবার আওয়ামী লীগের রেকর্ড সংখ্যক ২২ মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি সাবেক এমপি কাজী সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি আরিফুর রহমান দোলন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, তিতাস গ্যাস লিমিটেডের পরিচালক ও ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খান মঈনুল ইসলাম মোস্তাক উল্লেখযোগ্য।

স্থানীয় সংগঠনকে দুর্বল করার অভিযোগ বর্তমান এমপি আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে। চার মনোনয়নপ্রত্যাশী একজোট হয়ে ইতোমধ্যে হাইকমাণ্ডের কাছে তার বিরুদ্ধে সে অভিযোগও করেছেন। তাই এই আসনের মনোনয়ন নিয়েও আরো আলোচনা করতে চান সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড সদস্যরা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আবদুর রহমান না হলে মনোনয়ন প্রাপ্তির দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে থাকবেন সাবেক এমপি কাজী সিরাজুল ইসলাম। কারণ ভোটারদের মধ্যে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। দু'বারের এমপি থাকাকালে তিনি ব্যাপক উন্নয়ন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। কাজী সিরাজুল ইসলাম ছাড়াও আলোচনায় আছেন আরিফুর রহমান দোলন।

মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগে রাজনীতিতে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের দ্বন্দ্ব বেশ পুরোনো। তাদের কারণে জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি দারুণভাবে বিভক্ত। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও বিভক্তির রাজনীতি চর্চা করছে। দুই নেতার অনুসারীরা দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কার্যক্রম পৃথকভাবে পালন করছে। তাদের দুজনের সংসদীয় আসনও এক। তাই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌমন্ত্রী শাজাহন খান মাদারীপুর-২ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচন করলে বাহাউদ্দিন নাছিমকে মাদারীপুর-৩ থেকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়। তবে এবার মাদারীপুর-৩ থেকে সাবেক যোগযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপও শক্ত প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। বাহাউদ্দিন যাতে মনোনয়ন না পান, সে বিষয়ে শাজাহান খান ও সৈয়দ আবুল হোসেন দুজনই তৎপর বলে দলীয় সূত্র জানায়।

অন্যদিকে আবদুস সোবহান গোলাপের প্রতি দলীয় সভাপতির ‘নেক নজর’ তাকে মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে দেয়।

শরীয়তপুর-১ আসনে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকও দুবারের সাংসদ। এই আসনে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় দলাদলিতে মোজাম্মেল অনেকটাই কোণঠাসা। শুধু তাই নয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে তার বিরুদ্ধে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ‘টাকার বিনিময়ে’ বিএনপি জামায়াতের লোকদেরকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া, সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। যার খেসারত হয়ত তাকে এবার দিতে হচ্ছে।

জানা গেছে, মনোনয়ন স্থগিতের খবর ছড়িয়ে পড়ায় জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান দুজনেই গণভবনে ছুটে যান। সেখানে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে দেখা করে আত্নপক্ষ সমর্থন করে কথা বলেন। অন্যদিকে ড. আবদুস সেবাহান গোলাপ ও ইকবাল হোসেন অপুর মনোনয়ন নিশ্চিত করার তথ্য জেলা ও উপজেলা অওয়ামী লীগের নেতাদেরও গণভবন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের অন্যতম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, ‘খসড়া তালিকা করা হয়েছে। আজ (সোমবার) ও আগামীকাল বসা হবে। চূড়ান্ত হওয়ার পর আমাদের মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে মনোনীত প্রার্থীদের চিঠি দেয়া হবে।’

সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যসচিব ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,‘আওয়ামী লীগ কারও মনোনয়নই চূড়ান্ত করেনি। দলের মনোনয়ন নিয়ে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তালিকা মনগড়া, এগুলোর বাস্তবসম্মত ভিত্তি নেই।’

   

নরসিংদীতে অতি গরমে প্রবাসীর শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল চাঁনপুরে অতি গরমে এক প্রবাসীর দেড় বছরের এক শিশু মারা গেছে। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের সওদাগর কান্দি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় চাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশুর নাম ইয়াসিন। সে রায়পুরা উপজেলার সওদাগর কান্দি এলাকার প্রবাসী এনামুল হকের ছেলে।

নিহত ইয়াছিনের নানা বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নাতীসহ মেয়ে নরসিংদী শহরের বাসাইলস্থ ভাড়া বাসা থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি সওদাগর কান্দিতে নিয়ে আসি। আর আজই আমার নাতিটা মারা গেলো। 

তিনি আরও জানান, দুপুর সোয়া ২টার দিকে ইয়াসিন তার মায়ের সাথে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত গরমে মাটিতে শুয়ে পড়ে। পরে তাকে সওদাগর কান্দি ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাব সেন্টারের নিয়ে গেলে দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট মিজানুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় মিজানুর রহমান জানান, শিশু ইয়াছিনকে তার কাছে আনার আগেই মারা গেছে। যারা নিয়ে এসেছে তাদের ভাষ্যমতে অতি গরমে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। 

 

 

 

;

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

শাহ আমানত বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরব আমিরাতের ৯০ হাজার দিরহামসহ শারজাহগামী এক যাত্রীকে আটক করেছে এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। উদ্ধার মুদ্রা ২৩ হাজার ৬৮৪ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিমানবন্দর টার্মিনালের আন্তর্জাতিক অ্যান্টি হাইজ্যাকিং গেইটে তল্লাশি এসব মুদ্রাসহ তাকে আটক করা হয়।

আটক যাত্রীর নাম মোহাম্মদ কায়সার হামিদ৷ তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা। রাত সোয়া আটটার এয়ার এরাবিয়া জি৯-৫২১ ফ্লাইট যোগে শারজাহ গমনিচ্ছুক ছিলেন হামিদ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন- বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।

তিনি জানান, বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দা ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে পতেঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করছে। উদ্ধার করা বিদেশি মুদ্রাগুলো শুল্ক গোয়েন্দার মাধ্যমে বিমানবন্দর কাস্টমসের নিকট হস্তান্তর করা হবে, যা পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক জব্দ হবে।

তিনি আরও জানান, যাত্রী বৈদেশিক মুদ্রা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ (১ বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ইউএস ডলার বা এর সমমূল্যের অন্য কোনো বৈদেশিক মুদ্রা) এর বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করায় তার নিকট হতে প্রাপ্ত সমুদয় বৈদেশিক মুদ্রা যাত্রীসহ আটক করা হয়।

;

চট্টগ্রামে ১২ মেট্রিক টন বিটুমিনসহ গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ মেট্রিক টন চোরাই বিটুমিনসহ চক্রের ২ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) র‌্যব-৭ পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানাধীন দক্ষিণ নালাপাড়া এলাকায় একটি গোডাউনে অবৈধ উপায়ে ক্রয়-বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে চোরাই বিটুমিন মজুদ করছে-এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার র‌্যাব সাতের একটি বিশেষ আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাব আসামি সুমন চন্দ্র দে (৩৮) ও মোঃ আব্দুল্লাহ আজিজকে (৪০) আটক করতে সক্ষম হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা স্বীকার করে যে, পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে বিটুমিন সংরক্ষণ করে এবং পরবর্তীতে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করে আসছে তারা। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিটুমিন পরিবহনে ব্যবহৃত ১টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়।

জব্দকৃত চোরাই বিটুমিনের আনুমানিক মূল্য ১২ লাখ টাকা বলে জানায় র‌্যাব।

;

বর্জ্যবাহী গাড়ির ধাক্কায় নিহতের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: তাপস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মুগদায় করপোরেশনের বর্জ্যবাহী গাড়ির ধাক্কায় নিহত স্কুল শিক্ষার্থী মাহিন আহমেদের পরিবারের পাশে থাকার এবং এ দুর্ঘটনায় দোষী সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মাহিন আহমেদের পরিবারকে সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানাতে নিহতের বাড়িতে যান। পরে তিনি গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, গতকাল রাত আনুমানিক নয়টার সময় মুগদার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র হতে বর্জ্য স্থানান্তরকালে করপোরেশনের বর্জ্যবাহী গাড়িতে দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে ছোট্ট বালক মাহিন নিহত হয়। এ দুর্ঘটনায় আমরা অত্যন্ত শোকাহত। আমরা জানাজায় অংশগ্রহণ করেছি। ছোট্ট শিশু হারানোর ঘটনায় বাবা-মাকে কোন ভাষাতেই সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমাদের নেই। আমরা নিহতের পরিবারের পাশে থাকব।

এ দুর্ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, এ দুর্ঘটনায় ইতোমধ্যে মামলা নেওয়া হয়েছে। আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি চাইছি। এই দুর্ঘটনায় যেন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু বিচার হয় সেটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, আমাদের নির্ধারিত গাড়িচালক গাড়ি না চালিয়ে অন্যকে দিয়ে ভাড়া খাটিয়ে গাড়িটি চালানো হচ্ছিল। আমরা এ ধরনের অনিয়ম কোনভাবে বরদাশত করবো না। এ ঘটনায় কঠোরতর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ রকম কার্যক্রমে যারা জড়িত তাদের সকলের বিরুদ্ধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এ ধরনের ঘটনায় আগেও আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। জড়িতদের চাকুরিচ্যুত করেছি, ছাটাই করেছি। আবার অনেক নতুন নিয়মিত গাড়িচালক নিয়োগ দিয়েছি। ফলে বিগত ২ বছর করপোরেশনের গাড়ি দ্বারা কোনো রকম দুর্ঘটনা ঘটেনি। গতকালের এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা আমাদেরকে অত্যন্ত শোকাহত করে তুলেছে। এবারও আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিবো। যাতে করে এ ধরনের দুর্ঘটনার আর কোনো পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, অঞ্চল-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সিরাজুল ইসলাম ভাট্টি, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মাকসুদা শমশের প্রমুখসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;