অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উওরার ৪নং সেক্টরের ৬নং রোডের ৫৩ নং বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিসি উত্তরা রওনক জাহান।
বিস্তারিত আসছে...
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার হাজারী গলি এলাকায় দুর্বৃত্তের হামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১২ সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁরা নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে গেলে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, উদ্ধার অভিযানের একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে এসিড ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে ৬জন পুলিশ সদস্য এবং ৬ জনসেনা সদস্য আহত হন।
যৌথ বাহিনীর টাস্কফোর্স-৪ চট্টগ্রাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় রাত সাড়ে ১২টায় হামলাকারীদের শনাক্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলছে। এ বিষয়ে বুধবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে বুধবার বিকেলে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একাংশ হাজারী গলির মিয়া শপিং সেন্টারের একজন মালিকের দোকান ভাঙচুর করেন এবং ও দোকানিকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধারে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়।
কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব রজপাড়া গ্রামে সরকারি খালের মাটি অবৈধভাবে কেটে ইটভাটায় বিক্রি করায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যাতায়াতের প্রধান সড়কটি।
প্রায় ৩০০ ফুট দীর্ঘ এবং ১২ ফুট চওড়া এই সড়কটি প্রতিদিন হাজারো মানুষের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। রজপাড়া, টিয়াখালী বাজার, ধানখালী ও চম্পাপুর এলাকার মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সানী ও ফেরদৌস নামে দুই ব্যক্তি গত বছর খালের মধ্যে মাছ চাষের জন্য খালের মাটি কেটে নেন এবং তা ইটভাটায় বিক্রি করেন। সম্প্রতি মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে মধ্যরাতে পানি সেচের কাজ শুরু করলে সড়কের একটি বড় অংশ খালের মধ্যে ধসে পড়ে। স্থানীয়রা এ সময় বাধা দিলেও তা উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাওয়া হয়।
বর্তমানে সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে বড় ধরনের ফাটল ধরেছে, যা এলাকাবাসীর জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। সড়কের এ ভাঙনকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সাদিক জানিয়েছেন, সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে জনসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করা হবে এবং প্রভাবশালীদের অবৈধ কার্যকলাপে আর কোনো সড়ক বা খাল ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সজিব তরফদারকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় সজীবের সঙ্গে একই মোটরসাইকেলে থাকা তার চাচা কামাল হোসেন তরফদার (৬৫) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার মির্জাপুর জামে মসজিদের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
আহত কামাল তরফদারের চোখে শটগানের গুলি লেগেছে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সজীব বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি ডেমা গ্রামের সিদ্দিক তরফদারের ছেলে।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সাইদুর রহমান জানান, এদিন দুপুরে সজিব তরফদার বাগেরহাটে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ৭ নভেম্বরের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা শেষে ডেমা গ্রামে ফিরছিলেন। তারা দু’টি মোটরসাইকেলে তিনজন ছিলেন। একটি মোটরসাইকেলে সজিব চালাচ্ছিলেন। তারা মির্জাপুর জামে মসজিদের কাছে এলে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুর্বৃত্তরা সজিবকে গুলি ও কুপিয়ে আহত করে। তার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক বলেন,সজীবকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে । জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। সজীব ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। এটিও একটি কারন হতে পারে।
তিনি আরো জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সজিবের লাশ, গুলির খোসা, সজিবের মোটরসাইকেল ও আরো দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। আহতদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সজীবের বড় ভাই নাজমুল তরফদার বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সজীবকে হত্যা করেছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে কারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ বলেন, ঘটনাস্থলে পাওয়া বুলেটের খোসা থেকে বোঝা যায়, এটা শটগানের গুলি। ধারণা করছি, শটগান দিয়ে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা নিশ্চিত করতে একাধিক দল ছিল। হত্যাকারীরা মুখোশ পরা ছিল। নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
খুব দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।