অবহেলায় প্রসূতি ও শিশু মৃত্যুর অভিযোগে মামলা, গ্রেফতার ২



সেন্ট্রাল ডেস্ক ২

  • Font increase
  • Font Decrease
বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতি ও গর্ভের শিশুর মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতাল মালিকসহ চার জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপক আমিনুর (২৮) ও ওয়ার্ড বয় ইউসুফ (৪৫)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার পৌর শহরের হামছায়াপুর কাঁঠালতলায় এলাকায় পাল্স জেনারেল হাসপাতালে প্রসূতি মা ও শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। শনিবার গভীর রাতে প্রসব ব্যথা উঠলে প্রসূতি পুতুল রানী (৩০)-কে শেরপুর পাল্স জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কৌশলে ভর্তিফর্মে সিজারিয়ান অপারেশনের বদলে ‘আমরা দুজন আর সন্তান নেবো মর্মে স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির অপারেশন করতে রাজি আছি’ লিখে নিয়ে প্রসূতিকে ভর্তি করায় দায়িত্বে থাকা ওয়ার্ডবয়। তখন হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। এ অবস্থায় প্রসূতির স্বজনদের কিছু না জানিয়ে নার্স এবং আয়ারা ভোর পর্যন্ত সন্তান প্রসব করাতে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরদিন রোববার সকালে বগুড়া শহর থেকে একজন গাইনি চিকিৎসক এনে অপারেশনের মাধ্যমে পুতুল রানীর মৃত সন্তান প্রসব করায়। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে হাসপাতালেই রেখে দেয়। পরে সন্ধ্যার দিকে প্রসূতিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, অনেক আগেই পুতুলু মারা গেছেন। এ সংবাদ জানার পর পুতুলের স্বামী ক্ষুব্ধ শিবেন হালদার বাদী হয়ে হাসপাতাল মালিক ডা. আখতারুল আলম আজাদসহ চারজনকে আসামি করে শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই হাসপাতালের ম্যানেজার ও ওয়ার্ড বয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, হাসপাতাল থেকে প্রসূতির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, ঘটনার পরই গা ঢাকা দিয়েছেন পালস জেনারেল হাসপাতালের মালিক ডা. আখতারুল আলম আজাদ। তবে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সুষ্ঠু বিচার পাইয়ে দেওয়ার আশ^াস দিয়েছেন।
   

অসাম্প্রদায়িক ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার অন্যতম হাতিয়ার সংস্কৃতি: অর্থ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, আমাদের পৃথিবীতে এখন সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়েছে। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি যখন দুঃসময় পার করছিল তখন সংস্কৃতি শক্তভাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পাশে ছিল, আশা করি আগামীতেও থাকবে। অসাম্প্রদায়িক ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে সংস্কৃতি।

শুক্রবার (১০ মে) নগরীর চকবাজারস্থ আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে সঙ্গীত ভবনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বনবীতি সেনগুপ্তার ৩৩তম মৃত্যু বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবনে শিক্ষাগুরুর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বনবীতি সেনগুপ্তার কাছ থেকে সঙ্গীত শিক্ষা গ্রহণ করে আজকে অনেকে বড় শিল্পী হয়ে উঠেছেন। সঙ্গীত ভবন থেকে শুরু করে সঙ্গীতের জন্য বনবীথি সেনগুপ্তার অবদান অপরিসীম। তিনি আমাদের কাছে সবসময় স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে থাকবেন। 

অনুষ্ঠানে সঙ্গীত ভবনের সভাপতি ড. সেকান্দার চৌধুুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী কমোডর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। এছাড়াও অনেক গুণী শিল্পী ও সঙ্গীততজ্ঞ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। 

;

হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন। 

শুক্রবার (১০ মে) রাতে রাজধানীর পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ এই বামপন্থী নেতা।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জলি তালুকদার।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনো গুরুতর অসুস্থাবস্থায় গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রেখে বিশেষ পদ্ধতিতে অক্সিজেন দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (০৭ মে) এই তথ্য জানান জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে লেনিন চৌধুরী লেখেন, ‘রাজনীতিবিদ ও লেখক হায়দার আকবর খান রনো তীব্র শ্বাসতন্ত্রীয় অসুখ (টাইপ-২ রেসপিরেটরি ফেইল্যুর) নিয়ে পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি। তার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা বাড়ছে। তাকে এইচডিইউতে রেখে বিশেষ পদ্ধতিতে অক্সিজেনের জোগান দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার অবস্থা এখনো অস্থিতিশীল।’ ওই সময় চিকিৎসার প্রয়োজনে স্বজন-শুভার্থীদের হাসপাতালে ভিড় না করার অনুরোধ করেন ডা. লেনিন চৌধুরী

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নেতা হায়দার আকবর খান রনো তার জীবদ্দশায় একাধিক বই লিখে গেছেন। মার্ক্সবাদী এই তাত্ত্বিক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রনোর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায়। তার পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে দীর্ঘদিন থাকলেও ২০১০ সালে মতভিন্নতার কারণে দলটি ছেড়ে সিপিবিতে যোগ দেন হায়দার আকবর খান। ২০১২ সালে তাকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। এরপর সিপিবির উপদেষ্টা নির্বাচিত হন তিনি।

;

সীমান্তে নিহত দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার খয়খাটপাড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আব্দুল জলিল (২৪) ও ইয়াসীন আলী (২৩) নামে নিহত দুই বাংলাদেশির মরেদহ দুই দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যার দিকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ি জিরো লাইন সীমান্ত দিয়ে মরদেহ দুটি ভারতের ফাঁসিদেওয়া থানা পুলিশ বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এসময় পুলিশ, বিজিবি ও বিএসএফের কর্মকর্তাসহ নিহত দুইজনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে নিহত দুই যুবকের মরদেহ গ্রহণ করা হয়েছে। ভারতে মরদেহ ময়নাতদন্ত হওয়ায় আমরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দুই পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছি।

এর আগে গত ৮ মে ভোরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার খয়খাটপাড়া সীমান্তে বিএসএফের ১৭৬ ব্যাটালিয়নের ফকিরপাড়া ক্যাম্পের সদস্যদের গুলিতে ওই দুই বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ নিয়ে যায় তারা।

;

মোটরসাইকেলে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু, তরুণী হাসপাতালে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন বিশ্বরোড এলাকায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় রাহুল (২৮) নামে মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছেন। মোটরসাইকেলের পেছনে বসা অর্পিতা নামে এক তরুণী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১০ মে) রাত আটটার দিকে নিমতলা বিশ্বরোড সংলগ্ন ফায়ার সার্ভিস ক্যাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রাহুল নগরীর চকবাজার চেরাগি পাহাড় রাজা পুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা। আহত অর্পিতা কোতোয়ালীর গোয়ালপাড়া এনায়েত বাজার রাজমহর সরকারের বাড়ির রিপন সরকারের মেয়ে। তারা সম্পর্কে প্রেমিক-প্রেমিকা বলে জানা গেছে।

ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান ফায়ার সার্ভিসের সদস্য মফিজুর রহমান।

তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা তখন ক্যাম্পে ছিলাম। হঠাৎ শব্দ শুনে গিয়ে দেখি রাস্তার মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি মোটরসাইকেলসহ যুবক ও তরুণী পড়ে আছেন। একজন অন্যজনের হাত ধরা ছিল। প্রথমে আমরা ছেলেটি উদ্ধার করে গাড়িতে তুলি, তারপরও মেয়েটিকেসহ দুজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যায়। জরুরি বিভাগের নেওয়ার পর চিকিৎসক ছেলেটিতে মৃত ঘোষণা করেন এবং মেয়েটিতে ওয়ার্ডে ভর্তি দেন।

ছেলেটি মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন, মেয়েটি পেছনে বসা ছিল। ধারণা হচ্ছে, একটি দ্রুত গতির কাভার্ড ভ্যান মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। ছেলেটির কোমড়ে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে। বাম পাও ভেঙে গেছে। মেয়েটিও পায়ের আঘাত পেয়েছে। ওদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে যতটুকু বুঝেছি, তারা স্বামী-স্ত্রী না। অনেকদিনের পরিচিত, অর্থাৎ প্রেমিক-প্রেমিকা বলে মনে হচ্ছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এ সদস্য।

মৃত্যুর বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপপরিদর্শক) নুরুল আলম আশিক। 

তিনি বলেন, 'কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাহুল নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করে এবং অর্পিতাকে ২১ নাম্বার ওয়ার্ডে ভর্তি দেন।' 

;