চমকহীন প্রার্থী কিশোরগঞ্জ বিএনপিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চমকহীন প্রার্থী কিশোরগঞ্জ বিএনপিতে, ছবি: সংগৃহীত

চমকহীন প্রার্থী কিশোরগঞ্জ বিএনপিতে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের ৬টি সংসদীয় আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়নের চিঠি দিয়েছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত নেতাদের চিঠি হস্তান্তর করা হয়।

কিশোরগঞ্জ বিএনপির প্রার্থী মনোনয়নে নেই কোনো চমক। উল্টো কোনো কোনো আসনে দ্বন্দ্বের আভাস পাওয়া গেছে। মিশ্র প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। বিশেষ করে, ত্যাগী ও তৃণমূল সংশ্লিষ্ট নেতা শহীদুজ্জামান কাকনকে বিকল্প প্রার্থী করায় কিশোরগঞ্জ-২ আসনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টির মধ্যে চারটিতেই একাধিক প্রার্থীকে ধানের শীষের প্রাথমিক মনোনয়নের চিঠি দেওয়ায় বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। কে হবেন মূল প্রার্থী, তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অস্পষ্টতা।

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম খান চুন্নু। এ আসন থেকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. শরীফুল ইসলাম শরীফকেও প্রার্থী রাখা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদি-পাকুন্দিয়া) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন নানা কারণে আলেচিত মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন। এখানে জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ছাত্রদল নেতা শহীদুজ্জামান কাকনকেও প্রার্থী রাখা হয়েছে। আবার দলে ফেরা মেজর রঞ্জনের বহু আগে থেকেই কাকন বিএনপির স্থানীয় রাজনীতি ধরে রেখেছিলেন। তাকে বিকল্প প্রার্থী করায় সংগঠনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল মোহাম্মদ গাউস। যদিও এখানে সাবেক মন্ত্রী ও মামলার কারণে বিদেশে অবস্থানকারী ড. ওসমান ফারুক কথাও বলা আছে। কিন্তু তার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিটামন-অষ্টগ্রাম) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দু’বারের সংসদ সদস্য প্রেসিডেন্টপুত্র রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের বিরুদ্ধে লড়তে হবে তাকে। ইতিপূর্বে এ আসনে বার বার নির্বাচন করে পরাজিত হন তিনি। দলের বিজয়ের রেকর্ড তৈরির জন্য নতুন ও তরুণ প্রার্থী দেওয়ার দাবি ছিল। এ আসনে মাত্র একবার বিজয় অর্জনকারী বিএনপির ফরহাদ আহমদ কাঞ্চনের পুত্রকে দলীয় প্রার্থী করার চাপ ছিল তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের।

কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলি) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল। এ আসন থেকে প্রয়াত সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান মঞ্জুর ছেলে মাহমুদুর রহমান উজ্জলকেও প্রার্থী রাখা হয়েছে। তবে জোটের পক্ষে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হবেন পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক গভর্নর আবদুল মোনেম খানের জেষ্ঠ্যপুত্র, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান খসরু- এমনটিই এলাকায় প্রচার পেয়েছে।

কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপি সভাপতি মো. শরীফুল আলম।

   

থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ সমঝোতা ও চুক্তি সই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট বা অভিপ্রায়পত্র সই হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। আমাদের দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাণবন্ত অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে আমরা থাইল্যান্ডকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গতিশীল অংশীদার হিসেবে দেখছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছি। আমি থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগের এবং বিশেষভাবে একটি এসইজেড এই সুযোগ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে গেছেন।

দুই পক্ষ ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য মন্ত্রীরা এই বিষয়ে একটি আগ্রহপত্রে সই করেছেন।

থাই এবং বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মধ্যে সহজ যোগাযোগের সুবিধার্থে ঢাকা এবং ব্যাংকক অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য একটি চুক্তি রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য থাইল্যান্ড জ্বালানি সহযোগিতায় নিয়োজিত একটি সম্ভাব্য অংশীদার। জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অনুসন্ধান করতে, শক্তি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর এখানে স্বাক্ষরিত দ্বিতীয় নথি।

শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তার বিষয়ে তৃতীয় সমঝোতা স্মারকটি সই হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাই জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সেরা পর্যটন অনুশীলন থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য আমরা পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছি।

তিনি বলেন, জনগণের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই পক্ষ কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা অনুসন্ধান করেছে।

সামুদ্রিক যোগাযোগের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করেছে। থাইল্যান্ডের ফ্ল্যাাগশিপ ‘ল্যান্ডব্রিজ প্রকল্প’ বাংলাদেশ অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে অনুসরন করছে।

 

;

বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশেষ অর্থনৈতিক খাত, হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশি স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখারও প্রস্তাব দিয়েছি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও একান্ত বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি-একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি আগ্রহপত্র সই হয়।

বাংলাদেশ একটি নিকট প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সাথে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। আমাদের দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাণবন্ত অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে আমরা থাইল্যান্ডকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গতিশীল অংশীদার হিসেবে দেখছি।

বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়ে তারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বর্তমান পরিধি বাড়ানোর জন্য দীর্ঘ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং শক্তিশালি দ্বিমুখী প্রবৃদ্ধি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছি। আমি থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগের এবং বিশেষভাবে একটি এসইজেড এই সুযোগ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।

দুই পক্ষ ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য মন্ত্রীরা এই বিষয়ে একটি আগ্রহপত্রে সই করেছেন।

থাই এবং বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মধ্যে সহজ যোগাযোগের সুবিধার্থে ঢাকা এবং ব্যাংকক অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য একটি চুক্তি রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য থাইল্যান্ড জ্বালানি সহযোগিতায় নিয়োজিত একটি সম্ভাব্য অংশীদার। জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অনুসন্ধান করতে, শক্তি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর এখানে স্বাক্ষরিত দ্বিতীয় নথি।

শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তার বিষয়ে তৃতীয় সমঝোতা স্মারকটি সই হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাই জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সেরা পর্যটন অনুশীলন থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য আমরা পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছি।

তিনি বলেন, জনগণের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই পক্ষ কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা অনুসন্ধান করেছে।

সামুদ্রিক যোগাযোগের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করেছে। থাইল্যান্ডের ফ্ল্যাাগশিপ ‘ল্যান্ডব্রিজ প্রকল্প’ বাংলাদেশ অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে অনুসরন করছে।

তিনি বলেন, আমি থাই পক্ষকে দুই দেশের মধ্যে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি।

দুই প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করেছেন। চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শীর্ষ সম্মেলনে বর্তমান সভাপতি ও আয়োজক হিসেবে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের কাছে সভাপতিত্ব হস্তান্তর করবে।

তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, বিমসটেক মোট ১৮০ কোটি জনসংখ্যার আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি। রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছে।

তিনি দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফরের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।

এ সময় শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনকে বাংলাদেশে সফরের আমন্ত্রণ জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে গেছেন।

সূত্র- বাসস

;

টাঙ্গাইলে ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গোসাই জোয়াইর এলাকায় ছুরিকাঘাতে মো. সাইম (১৪) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের রানাগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় সাইম। পরে তার বন্ধুরা সাইমকে ধরাধরি করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এসময় সাইমের মা ছেলের কি হয়েছে জানতে চাইলে তারা বলে মাচায় (বাঁশ দিয়ে তৈরি বসার স্থান) থেকে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে। পরে সাইমের মাথায় পানি ঢালতে গিয়ে স্বজনরা দেখে তার বুক থেকে রক্ত বের হচ্ছে। পরে তাড়াতাড়ি টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইমকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘারিন্দা ইউনিয়নের মেম্বার সাদ্দাম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমি দ্রুত সাইমকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দীন বলেন, সাইম সারা দিন রোজা ছিলো। ওর বন্ধুর ডাকে সাইমরা চার বন্ধু ওই গ্রামের ওবায়দুল পাগলার বাড়িতে যান। ওবায়দুল পাগলার বাবার সাথে তাদের কোন এক বন্ধুর পরিবারের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওবায়দুল ছুরিকাঘাত করে। তখনই সাইমের মৃত্যু হয়। পরে ওবায়দুল পাগলাকে পালিয়ে যেতে দেখে স্থানীয়রা। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

;

তালতলীতে বৈদ্যুতিক পাখা ঠিক করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলীতে বৈদ্যুতিক পাখা মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আফজাল মাতুব্বর (৫০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের ছোট ভাইজোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আফজাল মাতুব্বর একই গ্রামের ফুলমিয়া মাতুব্বরের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রচণ্ড গরম থেকে স্বস্তি পেতে নিজ ঘরের বৈদ্যুতিক পাখা (ফ্যান) মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন আফজাল মাতুব্বর। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে দুপুরে ঘরের পুরাতন বৈদ্যুতিক পাখা মেরামত করছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন।

তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক ডা. আইরিন আলোম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন আফজাল মাতুব্বর। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিৎ কুমার সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;