বাঁচতে চান ক্যানসারে আক্রান্ত সুজন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাঁচতে চান ক্যানসারে আক্রান্ত সুজন। ছবি: বার্তা২৪.কম

বাঁচতে চান ক্যানসারে আক্রান্ত সুজন। ছবি: বার্তা২৪.কম

মো. সুজন, বয়স ২৪ বছর। তিন বছর ধরে তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে আছেন। উন্নত চিকিৎসা পেলে সুস্থ হয়ে তিনি আবার স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসার খরচ চালাতে পারছে না তার পরিবার। সরকার, সমাজের বিত্তবান ও সর্বস্তরের জনগণের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন তিনি।

সুজন লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের ছিলাদী গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির কৃষক নরুল আমিনের ছেলে। তিনি নিজেও একজন কৃষক ছিলেন। তার সংসারে স্ত্রী ও দুই বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পরিবার সূত্র জানায়, সুজনকে সর্বশেষ চলতি বছরের ৯ অক্টোবর আহছানিয়া মিশন ক্যানসার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। বর্তমানে ওই হাসপাতালের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ মাহবুবুল আলমের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।

এদিকে সুজনকে প্রতি ২৩ দিন পর পর ৫টি কেমো ও এক মাস পর পর ৫টি রেডিও থেরাপি দিতে হচ্ছে। এতে প্রায় ৮ লাখ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। ধার-দেনা করে প্রথমটি দিতে পারলেও পরবর্তী চিকিৎসা চালানো পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, গত তিন বছর আগে সুজনের প্রস্রাবের থলিতে একটি টিউমার হয়। তখন অপারেশন করে টিউমারটি ফেলে দেওয়া হয়। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে ২০১৬ সালের অক্টোবরে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন চিকিৎসকের পরামর্শে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে তার ক্যানসার ধরা পড়ে। গত তিন বছর ধরে বড় ভাই ওমান প্রবাসী সাইফুল ইসলাম সুমন তার চিকিৎসার খরচ চালিয়ে আসছেন। তার বাবাও এখন আর কাজ করতে পারছেন না। এ জন্য পুরো সংসারের খরচ প্রবাসী সুমনকে চালাতে হচ্ছে। সামান্য উপার্জন করায় এখন ভাইয়ের চিকিৎসার খরচ দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে সুজনের চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে ছোট ভাই দিদার হোসেনের পড়ালেখায় প্রভাব পড়ছে। দিদার আগে ছাত্রাবাসে থেকে পড়ালেখা করলেও এখন বাড়িতে থাকতে হয়। প্রতিদিন সাইকেল চালিয়ে তাকে বাড়ি থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে যেতে হয়।

দিদার হোসেন জানান, তার ভাইয়ের চিকিৎসার খরচ চালানো পরিবারের পক্ষে কষ্টসাধ্য। ভাইকে বাঁচাতে তিনি সরকার, সমাজের বিত্তবান ও সর্বস্তরের জনগণের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন।

সহযোগিতা পাঠাতে: নাম- কহিনুর বেগম (সুজনের চাচি), হিসাব নম্বর- ০৬১২০৫০০৪৪২৫৮, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড, মান্দারী শাখা, লক্ষ্মীপুর এবং যোগাযোগ করতে দিদার হোসেনের ফোন নাম্বার ০১৭৮৫০৯৪২৫২।