হংসবলাকা পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
উদ্বোধনের সময়  হংসবলাকার ককপিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,  ছবি: সংগৃহীত

উদ্বোধনের সময় হংসবলাকার ককপিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যোগ হয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ হংসবলাকা।

বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন এ উড়োজাহাজটি পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করবে হংসবলাকা।

জানা গেছে, রেজিস্ট্রেশন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সব প্রক্রিয়া শেষ হতে প্রায় সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। ঢাকা-লন্ডন ফ্লাইটের মধ্য দিয়ে এটি প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচল শুরু করবে।

উড়োজাহাজটির ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেকট্রিক (জিই)। উড়োজাহাজটির শব্দ কমাতে ইঞ্জিনের সঙ্গে শেভরন প্রযুক্তি যুক্ত রয়েছে।

উড়োজাহাজের নিয়ন্ত্রণ হবে ইলেকট্রিক ফ্লাইট সিস্টেমের মাধ্যমে। কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি হওয়ায় এই উড়োজাহাজটি ওজনে হালকা। ভূমি থেকে উড়োজাহাজটির উচ্চতা ৫৬ ফুট। দুটি পাখার আয়তন ১৯৭ ফুট। এর মোট ওজন ১ লাখ ১৭ হাজার ৬১৭ কিলোগ্রাম, যা ২৯টি হাতির সমান! এর ককপিট থেকে টেল (লেজ) পর্যন্ত ২৩ লাখ যন্ত্রাংশ রয়েছে।

হংসবলাকা দিয়ে লন্ডন, দাম্মাম ও ব্যাংকক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম উড়োজাহাজটি চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় শতকরা ২০ ভাগ কম জ্বালানী খরচ হবে। ঘণ্টায় ৬৫০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারবে। এর আসন রয়েছে ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস।

বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো বানিয়েছে অ্যাসটেলা। আর ইকোনমি ক্লাসের আসনগুলো হেইকোর বানানো। বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো ৬৫ ইঞ্চি পিচ, ইকোনমি ক্লাসের আসন৩১ ইঞ্চি পিচ। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরমদায়কভাবে বিশ্রাম নিতে পারবেন।

দুপাশের প্রত্যেক আসনের পাশে রয়েছে বড় আকারের জানালা। একসঙ্গে জানালার শাটার বন্ধ করা ও খোলা যাবে বোতাম টিপে। জানালা থেকে শুরু করে কেবিনেও রয়েছে মুড লাইট সিস্টেম। ফলে যাত্রীরা সহজেই পরিবর্তন করতে পারবেন লাইটিং মুড। দীর্ঘ সময় ভ্রমণেও যাত্রীরা যেন ক্লান্তি অনুভব না করেন সেজন্য এর ভেতরে এয়ার কমপ্রেসর সিস্টেম অন্যান্য উড়োজাহাজের তুলনায় উন্নত।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য দুই দশমিক এক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে। হংসবলাকা যোগ হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমানবহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫টি।

   

তাপদাহে পুড়ছে দেশ, সিলেটে মুষলধারে বৃষ্টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে যখন তীব্র তাপদাহ চলছে তখন সিলেটে বারবার দেখা যাচ্ছে ব্যতিক্রম চিত্র। টানা কয়েকদিন গরমের কারণে হাঁসফাঁস করছিল লোকজন। এর মধ্যে মুষলধারে বৃষ্টিতে ভিজলো সিলেট।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১১টা থেকে সিলেটে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টিপাত। রাত সোয়া ১টায় পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। বৃষ্টির সাথে ছিল ঝড়ো হাওয়া। এতে কমে গরমের অস্বস্তি ভাব।

সিলেট নগরীর শেখঘাট এলাকার গৃহবধূ ঝর্ণা আক্তার বলেন, সারাদিন অনেক গরম ছিল।বাচ্চাদের নিয়ে অনেক কষ্টে দিন পার করতে হয়েছে। রাতের বৃষ্টি হওয়া শীতল হাওয়া লাগছে।

গোলাপগঞ্জের সাকিব আল-মামুন বলেন, ছুটির দিন হওয়াতে অনেকেই বাইরে ঘুরতে বের হন।কিন্তু প্রচুর গরম হওয়ার কারণে অনেকেই অস্বস্তি বোধ করতে দেখা যায়।আমাদের এখানে দেশের অন্যান্য স্থান থেকে গরম অনেক কম।

এর আগে গত ২১ এপ্রিলও সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে সিলেটে স্বস্তির বৃষ্টি দেখা মিলে।

এদিকে আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারাদেশে একই তাপমাত্রা থাকলেও বিপরীত চিত্র সিলেটে। সিলেটের তাপমাত্রা দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে একটু সহনশীল। যার কারণে নাগরিক জীবনে কোনো অস্বস্তিকর প্রভাব পড়েনি। মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থান ও বৃষ্টি প্রবণ এলাকা হওয়ায় সিলেটে এখনো তাপমাত্রা কম রয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন বলেন, ‘কালবৈশাখি মৌসুমে আবহাওয়া এমনই থাকবে। কখনো বৃষ্টি হবে, কখনো ঝড় হবে আবার কখনো তীব্র তাপপ্রবাহ হবে। বৃষ্টি হবে যে সেটার পূর্বাভাস আগেই ছিল। তবে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সিলেটে দেশের অন্যান্য জায়গার চেয়ে গরম অনেক কম অনুভূত হচ্ছে।’ 

;

অস্থির রাখাইনের উত্তাপ বাংলাদেশ সীমান্তে: ঢাকায় সিবিআইএফের আন্তর্জাতিক সংলাপ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান গৃহযুদ্ধের উত্তাপ ছড়িয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায়। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংকট ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অস্থিতিশীলতার প্রভাব নিয়ে ঢাকায় বিভিন্ন দেশের বিশ্লেষকদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সংলাপ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম (সিবিআইএফ) এর উদ্যোগে বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স’ (বিসিআইপিএ) এর সহযোগিতায় রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে এই আয়োজন।

"সম্প্রীতির সেতু নির্মাণ: গৃহযুদ্ধ পরবর্তী আরাকান/রাখাইনে সামাজিক সংহতি, শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য সামগ্রিক কৌশল" শিরোনামে অনুষ্ঠাতব্য এই সংলাপে মডারেটর ও আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, জাপান ও মিয়ানমারের অভিজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ অংশ নিচ্ছেন।

আলোচনায় বাংলাদেশ থেকে রয়েছেন, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের সাবেক প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহফুজুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল (অব.) শাহিদুল হক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাখাওয়াত হোসেন, বিসিআইপিএ এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক শাহাব ইনাম খান, গবেষক ও লেখক আলতাফ পারভেজ সহ অনেকে।

মিয়ানমার থেকে ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট- এনইউজির ফেডারেল ইউনিয়ন বিষয়কমন্ত্রী

লিয়াং মং সাখং, মানবাধিকার বিষয়ক উপমন্ত্রী অং ক্য ম, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী মু জৌ উ, এনইউজি প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র জ ক্য, সাবেক সংসদ সদস্য ইউ সুয়ে মং, আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল এল্যায়েন্স এর চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তা হিসেবে থাকছেন।

এছাড়াও জাতিসংঘ, বিভিন্ন দেশের দূতাবাস থেকে আসা প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিসহ অনেকেই বক্তব্য রাখবেন আলোচনায়।

সংলাপে বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন কক্সবাজারের স্থানীয়রা বলে জানান সিবিআইএফ এর যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন শর্মা।

সিবিআইএফ এর যুগ্ম আহ্বায়ক মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম বলেন, "কক্সবাজারের বিভিন্ন সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে ও টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে থাকে সিবিআইএফ, যার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক এই সংলাপের আয়োজন।"

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের পর "নেভিগেটিং দ্য রিপল অ্যাফেক্ট : এক্সামিনিং দ্য ইম্প্যাক্ট অব দ্য রোহিঙ্গা ক্রাইসিস অন হোস্ট কমিউনিটি অ্যান্ড চার্টিং পাথস টু ডিউরেবল সলিউশনস" শিরোনামে ওয়েবিনারের আয়োজন করে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম। 

;

ফেনীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাংয়ের ৬ সদস্য অস্ত্রসহ আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধানসহ ৬ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। কিশোর গ্যাংটি ‘এসডব্লিউএজি ৪৭’ নামে পরিচিত।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র‍্যাব। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে শহরের রামপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- ফেনী সদর উপজেলার সুন্দরপুর এলাকার মাইনুদ্দিনের ছেলে মো. সৈকত (১৭), বারাই গনি এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. বাবু (১৯), সোনাগাজী উপজেলার বাদাদিয়া এলাকার মাইনুদ্দিন মানিকের ছেলে মো. মাহি (২২), গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জরম নদী এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. মানিক (১৮),পাঁচগাছিয়া এলাকার রাজিবের ছেলে মো. আরমান (১৯) এবং মিয়াজী রোডস্থ মৃত স্বপনের ছেলে মো. আসিফ (১৮)।

র‍্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের রামপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। রামপুর পাকা রাস্তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে স্টিলের চাকু ও ফোল্ডিং চাকু উদ্ধার করা হয়।

ফেনীস্থ র‍্যাব-৭ এর কোম্পানি অধিনায়ক মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা শহরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। র‍্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক করে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আটককৃত আসামিদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

;

পঞ্চগড়ে নদীতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড় সদর উপজেলায় চাওয়াই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে আলমি আক্তার (১২) ও ইসরাত জাহান সিফাত (৯) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নেট চাওয়াই নদীর চৈতন্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিহত আলমি ওই এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে এবং সিফাত সাইফুল ইসলামের মেয়ে। তারা দুজনে সম্পর্কে ফুফু-ভাতিজি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে আলমি ও সিফাত বাড়ির পাশে চাওয়াই নদীতে গোসল করতে যায়৷ নদীতে গোসল করতে গিয়ে সিফাত পানিতে ডুবে যেতে থাকলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে আলমি৷ পরে দুজনে পানিতে ডুবে যায়। এসময় নদীর পাড়ে থাকা অন্য আরেক শিশু বিষয়টি দেখে দৌড়ে তাদের পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মৃত অবস্থায় পানির নিচ থেকে তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

খবর পেয়ে পুলিশ মৃত দুই শিশুদের মরদেহের সুরতহাল করে।

পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, দুই শিশুর মধ্যে একজন সাঁতার জানতো, আরেকজন জানতো না। একজন আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে দুজনেই একসাথে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মরদেহ সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

;