বিষ্ণু মন্দিরের জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ



জিয়াউর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নেত্রকোনা, বার্তা২৪.কম
নেত্রকোনায় বিষ্ণু মন্দিরের জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

নেত্রকোনায় বিষ্ণু মন্দিরের জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নেত্রকোনায় ৬০০ বছরের পুরনো বিষ্ণু মন্দিরের জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের একমাত্র এ বিষ্ণু মন্দিরটির সামনের জায়গা দখল করে স্থানীয় সুশীল রায় নামে এক ব্যক্তি বাড়ি নির্মাণ করছেন বলে জানা গেছে।

ঐতিহ্যবাহী বিষ্ণু মন্দিরের প্রধান ফটকের গোড়া থেকে পুরো খোলা চত্বরটি দখলে নিয়ে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

তবে মন্দিরের সামনের ১০ শতাংশ পতিত জায়গা নিজেদের সাফকাওলামূলে ক্রয়কৃত দাবি করে দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুশীল রায়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মোহনগঞ্জ পৌর শহরের দৌলতপুর এলাকার শিয়ালজানি খালের তীর ঘেঁষে বিষ্ণু মন্দিরটি ৮৫৫ বঙ্গাব্দে নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে বংশ পরম্পরায় এলাকার হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিষ্ণু ভক্তরা নিয়মিত এ মন্দিরে পূজা-অর্চনা করে আসছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিষ্ণু মন্দিরের পুরো চত্বরটি দখল করে জনৈক সুশীল রায় ও তার ভাইয়েরা মিলে সেখানে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। এতে করে বিষ্ণু মন্দিরের পূজারী, ভক্তবৃন্দ ও দর্শানার্থীদের খোলা চত্বরে বসার স্থানটিও আর রইল না। অবশিষ্ট নেই মন্দিরে প্রবেশের একমাত্র রাস্তাটিও।

অভিযুক্ত সুশীল রায় বলেন, ‘নরেন্দ্র কিশোর রায়ের বাড়িতে পারিবারিকভাবে গড়ে উঠা এ মন্দিরে পারিবারিকভাবে পূজা করে আসছিলেন। নরেন্দ্র কিশোর রায়ের ছেলে ধীরেন্দ্র কিশোর রায়ের কাছ থেকে ৯ বছর আগে এই মন্দিরের সামনের প্রায় ১০ শতক জায়গা সাফ কাওলামূলে আমরা তিন ভাই মিলে ক্রয় করি।’

তিনি আরো বলেন, মন্দিরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল, সংস্কার করে নিয়মিত সেখানে পূজা করে আসছি। মন্দিরের কোনো জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করছি না।’

এই জায়গার সাবেক মালিক ধীরেন্দ্র কিশোর রায়ের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা অমল চৌধুরী অভিযোগ করে জানান, ‘সার্বজনীন দেবোত্তর বিষ্ণু মন্দিরটির দখলকারী সুশীল রায় মন্দির কমিটির সম্পাদক বিপ্লব রায়ের আত্মীয়। তাই তিনি কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।’

বিষ্ণু মন্দির কমিটির সম্পাদক বিপ্লব রায় বলেন, ‘সুশীল রায় জায়গা কিনে ও তিনি তার ক্রয় করা জায়গা থেকে মন্দিরের রাস্তার জন্য তিন ফুট জায়গা রেখেই সেখানে বাড়ি নির্মাণ করছেন।’

মোহনগঞ্জ উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অমল সরকার ও সাধারণ সম্পাদক বিমল পাল জানান, বিষ্ণু মন্দির রক্ষার যাবতীয় দায়িত্ব মন্দির পরিচালনা কমিটির। এ বিষয়ে তাদেরকেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে তারা মনে করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেহেদী মাহমুদ আকন্দ বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

   

গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রী মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচ তলার এক কক্ষ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. ইসরাফিল (১৭) শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার হলদি গ্রামের মো. মফিজুল হকের ছেলে ও মোছা. রোকেয়া খাতুন (১৫) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গত ৭/৮ মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করেছেন বলে স্বজনরা জানায়। ইসরাফিল স্থানীয় একটি ওয়ার্কসপে ও রোকেয়া স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন।

মরদেহ উদ্ধারের সময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। ওই চিরকুটে লেখা ছিল, 'মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিও, আমি তোমাদের সাথে থাকতে পারলাম না। আমার জান আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলেছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষারোপ করি না। কারও কোনো দোষ নাই। আমার জান আমার জন্য অপেক্ষা করতাছে। মা আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিও মা। মা আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁস দিল। তার জন্য সম্পন্ন আমি দায়ী। এতে কারও কোনো দোষ নাই। সবাই ভালো থাকবা। মো. ইসরাফিল।' 

নিহত রোকেয়ার ভাই মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ৭-৮ মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করে। তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। সম্প্রতি ইসরাফিল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়েছিল। সকালে তাদের মৃত্যুর খবর পাই।

শ্রীপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রথমে স্ত্রী আত্মহত্যা করে। স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি স্বামী সইতে না পেরে তিনিও আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 

;

ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, দিনাজপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার অ্যান্ডটি মোড়ে ভুট্টা বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে সার বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন ভুট্টার ট্রাকের চালক জয়পুরহাট সদর উপজেলার চৌমিহনী গ্রামের বাসিন্দা গোলাম রাব্বী (৩৮) ও তার সহকারী (হেলপার) একই এলাকার রেজওয়ান হোসেন (৩২)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার টিঅ্যান্ডটি মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, টিঅ্যান্ডটি মোড়ে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই এক ট্রাকের চালক-হেলপার নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

;

মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সবজি বিক্রেতা নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, আব্দুস সালাম (৫০) এবং অপরজন হলেন ছানোয়ার হোসেন (৪৫)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সবজি বিক্রেতাদের বাড়ী মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রাম এলাকায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলড়া হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো: শাহ আলম বলেন, সকালে মানিকগঞ্জের জাগীর সবজি আড়ত থেকে সবজি ক্রয় করে কাটিগ্রাম এলাকার মৃত সাইজুদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম এবং আব্দুস সামাদের ছেলে ছানোয়ার হোসেন নিজ এলাকায় যাচ্ছিলো।

যাত্রাপথে তাদের বহন করা ভ্যানটিকে অজ্ঞাত একটি গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যায়। এসময় ভ্যান চালক রাস্তার পাশে পড়ে গেলেও ওই দুই সবজি বিক্রেতা মারা যায় বলে জানান তিনি।

গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত এক জনের মরদেহ জেলা হাসপাতালে এবং একজনের মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে। নিহতদের পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

সিলেটে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর অমিত দাস শিবুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর হাজারিবাগ এলাকার পেছনের মাঠে তার মরদেহ পড়েছিল। খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটনের (এসএমপির) বিমানবন্দর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।

নিহত অমিত দাস শিবু গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তিনি নগরীর বাগবাড়ি নরসিং টিলা এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।

জানা যায়, অমিত দাস শিবু প্রতিদিনের মতো আজ রাতেও উত্তরপূর্ব পত্রিকা অফিসে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন। রাত পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।

এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তার মরদেহের পাশে মোটরসাইকেলটি চাবি লাগানো অবস্থায় রাখা ছিল। তবে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থলেই দেখাচ্ছে। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন মিলেনি। এরপরও ঘটনাটিকে রহস্যজনক ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

;