ভোটে শান্তি চান প্রার্থীরাও



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোটের বাকি আর মাত্র চারদিন। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় সরগরম সারাদেশ। নির্বাচন কমিশনেও (ইসি) চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। জাতীয়-আন্তর্জাতিক সকল মহলের প্রত্যাশা শান্তিপূর্ণ ভোট। আর ভোটে শান্তি চান প্রার্থীরাও। তাদের প্রত্যাশা অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিয়ে নির্বিঘ্নে বাড়িতে ফিরতে পারবেন। শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভোটারদের মুখোমুখি হতেও প্রস্তুত এই শান্তিকামী প্রার্থীরা।

বেশ কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু হলে ফলাফল যাই হোক তারা তা মেনে নেবেন। সবাই চান ভোটের দিন কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকুক। কোনভাবেই যেন ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকাবেন বলেও জানা তারা।

নানা কারণেই আলোচিত ঢাকা-১৩ আসন। ঢাকার দুটি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে একটি ঢাকা-১৩ আসন। ফলে এই আসনের ভোটে নজর রয়েছে সবার। এছাড়াও ভোটের মাঠে প্রচারণায় বাধা ও গ্রেফতারের অভিযোগ রয়েছে বিএনপি প্রার্থীর। অন্যদিকে এই আসনের ভোটে কোন সংঘাতের সুযোগ নেই দাবি আওয়ামী লীগের। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোটের বিষয়ে একমত এই আসনের প্রার্থীরা।

ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাদেক খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, “আমি শতভাগ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পক্ষে। কারণ ভোটে অশান্তি হওয়ার কোন কারণ নেই। সবাইকে ভোটারের কাছে যেতে হবে, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রিক করতে হবে। ভোটার যাকে পছন্দ করবে তাকেই ভোট দেবে। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ভোট চাই। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির সালাম সাহেবকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। ভোটের শান্তির জন্য আমরা সব কিছু করতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে এক মঞ্চে সকল প্রার্থীদের ভোটারদের মুখোমুখি করতে যদি কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়, আমি সেই মঞ্চে একসঙ্গে দাঁড়াতে চাই। কারণ নির্বাচন তো একজনকে নিয়ে হয় না, সবাইকে নিয়েই হয়।”

এই আসনে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির প্রার্থী আব্দুস সালাম বলেন, আমি সবসময় শান্তিপূর্ণ ভোটের পক্ষে। ভোটের মাঠে প্রচারণায় এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে কোন দ্বন্দ্ব হয়নি। ভোটে শান্তির নিশ্চয়তা দেয়ার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। ভোটরদের নিশ্চিয়তা দেবে সেখানে কোন সমস্যা হবে না। শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য প্রশাসনকে যেখানে কঠোর হওয়া দরকার কঠোর হতে হবে, যেখানে নমনীয় হওয়া দরকার নমনীয় হতে হবে। প্রয়োজনে আমি সকল প্রার্থীর সঙ্গে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রচারণা চালাতে প্রস্তুত আছি। ভোটাররা যাকে ইচ্ছা ভোট দেবেন। কিন্তু ভোটকেন্দ্রে যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে। কেউ যেন সন্ত্রাসের শিকার না হন।

ঢাকা-১২ আসনের প্রার্থী গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা অবশ্যই ভোটে শান্তি চাই। শান্তিপূর্ণ ভোটের বিষয়ে আমরা আশাবাদি। শান্তিপূর্ণ ভোট আয়োজনের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন ও সরকারের। কিন্তু  এখন পর্যন্ত তাদের যে ভূমিকা আমরা দেখতে পারছি তাতে শান্তিপূর্ণ ভোট ও জনগণের অংশগ্রহমূল পরিবেশ নিশ্চিত হয়নি। আমরা মনে করি জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সক্রিয় হবেন। এবং তারা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চাইলে ভোট দখলের যারা চিন্তা করেন তারা সফল হবে না। তারপরেও আমরা আশাবাদি। আমরা জনগণের উপর ভরসা রাখতে চাইছি।

শান্তিপূর্ণ ভোট চান নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও। নড়াইলে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেছেন, ‘যেহেতু ইলেকশন। জয় পরাজয় তো আছেই। তাই প্রতিপক্ষও আছে। কিন্তু আমি চাই না যে, প্রতিপক্ষকে কেউ মানসিক বা শারীরিকভাবে আঘাত করুক। আপনারা একটু দেখবেন এটা, আমাদের প্রতিপক্ষ যারা আছেন তাদেরকে যেন কোনোভাবেই আঘাত না করা হয়। এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রচার-প্রচারণা চালানোর অনুরোধ জানান মাশরাফি। জনগণকে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।

শান্তিপূর্ণ ভোটের বিষয়ে আশাবাদি বিশিষ্টজনরা। তবে এ ক্ষেত্রে প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলোর সহনশীলতা জরুরি বলে মনে করেন তারা। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য প্রার্থীদের এক মঞ্চে দাঁড়ানোর বিষয়টি অবশ্যই ইতিবাচক। তবে প্রার্থীরা হয়ত সমস্যা নয়, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতি উৎসাহ ও  রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন রকমের হামলার বিষয়গুলো সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। আমরা শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য আশাবাদি হতে চাই। তবে অবস্থা এখন পর্যন্ত ইতিবাচক নয়।

সম্প্রতি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই) আয়োজিত 'শান্তিতে বিজয়' শীর্ষক প্রচারণা অনুষ্ঠানে এক মঞ্চে দাঁড়িয়েছিলেন বরিশাল-৫ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম, জাতীয় পার্টির মরতুজা আবেদীন ও বিএনপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। এসময় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে এবং উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা। ভোটের দিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন শান্তিকামী এই প্রার্থীরা।

এদিকে শান্তিপূর্ণ ভোটের বিষয়ে আশাবাদি প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতারাও। তারাও মনে করেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে একাধিকবার শান্তিপূর্ণ ভোটের বিষয়টি উঠে এসেছে।

প্রসঙ্গত ৩০০ আসনে জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ে আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট হবে। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ জন। এরমধ্যে ৫ কোটি ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৯ জন পুরুষ ভোটারের বিপরীতে নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৫১ জন। ২ কোটি ৪০ লাখ তরুণ ভোটার প্রথম ভোট দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা মোট ভোটারের ২২ শতাংশ। এবারের ভোটে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪০ হাজার ১৮৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬ হাজার ৪৭৭টি।

   

সরকারের চলতি মেয়াদে ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর টার্গেট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকার চলতি মেয়াদে আগামী ৫ বছরে ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী জানান, বঙ্গবন্ধুর কুটনৈতিক তৎপরতায় স্বাধীন বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে ৬ হাজার ৮৭ জন কর্মী বিদেশে পাঠানো হয়। সর্বশেষ ২০২২-২৩ সালে তা বেড়ে ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬০ জনে উন্নীত হয়েছে। বিদেশে কর্মী প্রেরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। অধিকহারে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৭৬টি দেশে কর্মী পাঠানো হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, জনশক্তি রপ্তানীতে অসখ্য দালালচক্র দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে। এসব দালাল চক্র দমনের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সতর্ক রয়েছে। বিদেশগামী কর্মীরা যাতে প্রতারণার শিকার না হয় সেজন্য বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। তাছাড়া, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে দেশের সব বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে সচেতনতামূলক সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ চলছে। ভিসা দালাল ও মানবপাচার সংক্রান্ত কোনো গুরুতর অভিযোগ এ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হলে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়।

এছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যবিশিষ্ট আন্তঃমন্ত্রণালয় ভিজিলেন্স টাস্কফোর্স কমিটি (ভিটিএ) অভিযান পরিচালনা করছে। আর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার অপরাধে জড়িত রিক্রুটিং এজেন্ট, মধ্যস্বত্ত্বভোগী ব্যক্তি ও অন্যান্য অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থ দণ্ড প্রদান করছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, কোন দেশে কত জন বৈধ কর্মী কাজ করছেন তার কোনো ডাটা বেইজ মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই, এটা তৈরিতে কাজ চলছে। তিনি আরো জানান, বিদেশগমন ও আগমনকালে কর্মীদের সাময়িক অবস্থানের জন্য ঢাকাস্থ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সন্নিকটে ‘বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টার’ স্থাপন করা হয়েছে।

সরকারি দলের সদস্য মাহবুব উর রহমানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রবাসে মৃত প্রতিটি কর্মীর পরিবারকে ৩ লাখ টাকা হারে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রবাসে মৃত ৬ হাজার ১৮৮ জন কর্মীর পরিবারকে ১৮৩ কোটি ৫০ লাখ ৭৭ হাজার ২৮৮ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। প্রবাসে কোনো কর্মী মারা গেলে বিমান বন্দরেই তার স্বজনের হাতে মরদেহ পরিবহন ও দাফনের জন্য ৩৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এ বাবদ ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৪ হাজার ১৪৩ জনকে ১৪ কোটি ৫০ লাখ ৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়েছে।

একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, অসুস্থ কর্মী দেশে আনা, হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসার্থে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। ২০১২-১৩ অর্থ-বছরে ৪২৩ জন আহত ও অসুস্থ কর্মীকে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রবাসে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণকারী কর্মীর মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ, বকেয়া বেতন, ইন্স্যুরেন্স ও সার্ভিস বেনিফিট আদায়ের ব্যবস্থা নেওয়া ও ওয়ারিশদের নিকট বিতরণ; ক্ষতিপূরণ, বকেয়া বেতন, ইন্স্যুরেন্স ও সার্ভিস বেনিফিট হিসেবে ২০২২-২৩ অর্থ-বছরে এক হাজার ৪৬১ জন প্রবাসী কর্মীর অনুকূলে ৯৪ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ৮১৬ টাকা আদায় করে তাদের পরিবারকে দেওয়া হয়েছে।

;

হকার উচ্ছেদ বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে ডিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বংশাল, কোতোয়ালী, সূত্রাপুর, সদরঘাট ও কামরাঙ্গীচর এলাকায় ফুটপাত থেকে বিকল্প পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে নির্বিচারে হকার উচ্ছেদ বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন ও উচ্ছেদ হওয়া হকাররা।

বুধবার (৮মে) রাজধানীর লালবাগ উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে লালবাগ ডিসি বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন সংগঠনটির নেতারা।

জীবন-জীবিকা রক্ষায় হকারদের ১০ দফা দাবিগুলো হলো- পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা চলবে না। হকারদের অর্থনৈতিক অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। জীবিকা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। চাঁদাবাজি বন্ধ করে হকারদের নিকট থেকে রাজস্ব আদায় করতে হবে। হকারদের উপর মামলা-গ্রেফতার দমন-পীড়ন-নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। প্রকৃত হকারদের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। দখলকৃত সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করে হকারদের বরাদ্দ দিতে হবে। হকারদের পুনর্বাসনের জন্য ৫ বছর মেয়াদী মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। জাতীয় বাজেটে হকারদের জন্য বরাদ্দ দিতে হবে। হকার্স মার্কেটগুলোতে প্রকৃত হকারদের নামে বরাদ্দ দিতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাশিম কবির, সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মো. ফিরোজ মোল্লা, বংশাল থানা হকার্স ইউনিয়নের উপদেষ্টা সালাউদ্দীন, কোতোয়ালি থানার সভাপতি কায়ুম, সূত্রাপুর থানার সাধারণ সম্পাদক নাদিম, মহিলা সম্পাদিকা শাহিনা আক্তার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের বংশাল, কোতোয়ালী, সূত্রাপুর, সদরঘাট ও কামরাঙ্গীচর এলাকায় নির্বিচারে হকার উচ্ছেদ ও মালামাল ধ্বংস করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এর ফলে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ লাখো মানুষের জীবনে অবর্ণনীয় ক্ষতি নিয়ে এসেছে।

তারা বলেন, পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ হলে বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি, দিন আনে দিন খায় এই অসহায় হকাররা কি করবে? কোথায় যাবে? পরিবারের ভরণ-পোষণ দিতে পারছে না, বৃদ্ধ মা-বাবার ওষুধের ব্যবস্থা করতে পারছে না, বাড়ি ভাড়া বকেয়া, সমিতির কিস্তি বকেয়ার হয়রানি হতে হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে ফুটপাতের হকারদের বিরুদ্ধে চলছে এক নির্মম ও নিষ্ঠুর অভিযান। উচ্ছেদের নামে প্রতিদিন ব্যাপক ভাঙচুর, মালামাল নষ্ট, লুটপাট চালানো হচ্ছে। হাজার হাজার স্বল্প পুঁজির হকার মালামাল হারিয়ে, রুটি-রুজির জায়গা থেকে বিতাড়িত হয়েছে। এই মানুষগুলো সর্বশান্ত অবস্থায় পরিবার, পরিজন নিয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।

;

খুলনায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান, জরিমানা আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনায় দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়।

বুধবার (৮ মে) খুলনার ডুমুরিয়ার থুকড়া এলাকার আনন্দ আশ্রয় ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার-কে মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট সংরক্ষণ ও ব্যবহার ও প্রতিশ্রুত সেবা প্রদান না করার অপরাধে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ৩৫ হাজার টাকা এবং সিটি বাইপাস রোড এলাকার খুলনা রিজিওনাল ক্যান্সার হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটকে মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট সংরক্ষণ ও ব্যবহার করার অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় খুলনা ডুমুরিয়া থানার থুকড়া ও সিটি বাইপাস এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে। এসময় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী, চাল, ঔষধ, ডাব, তরমুজ, বিদেশি ফল, ডিম, ডায়াগনস্টিক, হসপিটাল ও ফ্যানের বাজার দর ও ক্রয় ভাউচার যাচাই করা হয়। তাছাড়া সকল ব্যবসায়ীকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা প্রদান করে।

তদারকিকালে সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি মূল্য নিলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিম এর নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিব, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জি, ক্যাব খুলনার সদস্য জেড. এন. সুমন, আনসার ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ।

;

‘খাদ্যদ্রব্য পচনরোধে আধুনিক কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে পচনশীল খাদ্যদ্রব্য মজুতের লক্ষ্যে আধুনিক কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করা হবে বলে সংসদে জানিয়েছে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

আধুনিক হিমাগার নির্মাণের বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘পেঁয়াজসহ পচনশীল কৃষিজাত পণ্যদ্রব্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে আধুনিক হিমাগার নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।

কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণের জন্য ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চারশত ২৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা সম্পূর্ণ জিওবি অনুদানে ব্যয়ে মার্চ ২০২৪ হতে জুন ২০২৭ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে । টিসিবি থেকে প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি ১০০% জিওবি অনুদানে বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে অর্থ বিভাগের অনুমতি গ্রহণের জন্য অর্থ বিভাগে পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অর্থ বিভাগের অনুমোদন পাওয়া গেলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ফরিদপুরে ১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি এবং পাবনা জেলায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি হিমাগার নির্মিত হবে। এতে সর্বমোট ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ অথবা পচনশীল কৃষিজাত পণ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করা যাবে। সংরক্ষিত পণ্যদ্রব্য দেশের বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। মৌসুমের সময় পেঁয়াজসহ পচনশীল কৃষিজাত পণ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করে কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে।

;