‘নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি’
একাদশ সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।
মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে নির্বাচনে মানবাধিকারের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এবার নির্বাচনের ভোটারদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছে। তাই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা খুবই কম। আর সে কারণেই নারী ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পেরেছে। যার ফলে ২২ জন নারী সরাসরি নির্বাচিত হয়েছেন। ৮০ শতাংশ ভোট কাস্ট থেকেই বোঝা যায় অন্যান্য যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে।’
দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার প্রসঙ্গে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘প্রত্যেকবার দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। এতে সহিংসতা অনেক কমে আসে। সবাই সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পূর্ববর্তী, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী তিন সময়ে আমাদের কন্ট্রোল রুমে মোট ৫২ টি অভিযোগ এসেছিল। অভিযোগগুলো ভয় ভীতি জনিত কারণে কেন্দ্রে যেতে পারবে না এ ধরনের ছিল। আমরা বিষয়গুলো আমলে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে ইমেইলের মাধ্যমে অবহিত করেছি।’
অপরদিকে সাংবাদিকদের করা নির্বাচনকালীন সহিংসতার ঘটনার প্রশ্নের উত্তরে রিয়াজুল হক বলেন, ‘নির্বাচনে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তাছাড়া নিহতের ঘটনার কোনো অভিযোগ ও মানবাধিকার কার্যালয়ের কেউ করেনি। আমরা গণমাধ্যমের সূত্রে জানতে পেরেছি।’
ভোট কেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতির সম্পর্কে এই মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি ঢাকার অনেকগুলো কেন্দ্র ঘুরেছি। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ছিল না। ভোটাররা ভোট দিতে পারছে না এমনটা দেখিনি। দু-একটি কেন্দ্র এজেন্ট না থাকলেও বাকি সব কেন্দ্রে বিরোধী দলের এজেন্টদের দেখতে পেয়েছি।’